২০০৯ সালে ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবাহনীকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল মোহামেডান। চৌদ্দ বছর পর ফেডারেশন কাপে সেই একই চিত্রনাট্যের পুনরাবৃত্তি ঘটলো। আবারও টাইব্রেকারে আবাহনীকে হারিয়ে ফেডারেশন কাপের শিরোপা জিতে নিয়েছে মোহামেডান। যা ৯ বছর পর জেতা কোনো শিরোপা মতিঝিল পাড়ার দলটির।
এর আগে ২০১১ সালে সুপার কাপের ফাইনালে আবাহনীর মুখোমুখি হয়েছিল মোহামেডান। ১২ বছর পর আবার ফাইনালে আকাশি-নীল জার্সিধারীদের মুখোমুখি হয়ে দারুণ এক জয় তুলে নিলো সাদা-কালো শিবির।
কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে শুরুতেই দুই গোলে পিছিয়ে পড়ে মোহামেডান। এরপর সোলেমান দিয়াবাতের অসাধারণ দক্ষতায় সমতায় ফেরে তারা। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা ৩-৩ গোলের সমতা নিয়ে শেষ হয়।
এরপর ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানে একটি করে গোল করে উভয় দল। তাতে ১২০ মিনিটের খেলা ৪-৪ গোলের সমতায় শেষ হয়। সমতা ভাঙতে এরপর ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে আবাহনীকে ৪-২ ব্যবধানে হারিয়ে শিরোপা জিতে নেয় সাদা-কালো শিবির।
একাই ৪ গোল করা সোলেমান দিয়াবাদের পর টাইব্রেকারে মোহামেডানের জয়ের নায়ক বদলি গোলরক্ষক আহসান হাবিব দিপু। তিনি আবাহনীর দুই-দুটি শট ফিরিয়ে দেন। তার মধ্যে বিশ্বকাপে খেলা দানিয়েল কলিনদ্রেসের শটও ছিল।
এদিন অবশ্য ম্যাচের শুরুতে মোহামেডানের ওপর আাধিপত্য বিস্তার করে খেলে আবাহনী। ম্যাচের ১৫ মিনিটের মাথায় ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের গোলে এগিয়ে যায় আকাশি-নীল জার্সিধারীরা। এরপর ৪৩তম মিনিটের মাথায় বিশ্বকাপে খেলা কোস্টারিকার দানিয়েল কলিনদ্রেস গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। তাতে ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ধানমন্ডির ক্লাবটি।
বিরতির পর অবশ্য ম্যাচে দারুণভাবে ফেরে মোহামেডান। আর সেটা সম্ভব হয় অধিনায়ক সোলেমান দিয়াবাতের অসাধারণ দক্ষতায়। মাত্র চার মিনিটের ব্যবধানে (৫৬ ও ৬০ মি.) তিনি জোড়া গোলে সমতায় ফেরান মোহামেডানকে।
তবে ৬৫ মিনিটের মাথায় নাইজেরিয়ান এমেকা গোল করে আবার এগিয়ে নেন আবাহনীকে। ৮৩ মিনিটে গোল করে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন দিয়াবাত। তাতে আবারও ফেরে সমতা। ৩-৩ গোলের সমতা নিয়ে শেষ হয় নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা।