ইউক্রেন সীমান্তের কাছে একটি রুশ মালবাহী ট্রেনে বিস্ফোরণের পর আগুন ধরে যায়। তার একদিন পর আরেকটি ট্রেনেও একই ঘটনা ঘটল।
রাশিয়ার পশ্চিম ব্রায়ানস্ক অঞ্চলের গভর্নর আলেকজান্ডার বোগোমাজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। খবর এএফপির।
তিনি বলেন, একটি ‘অজ্ঞাত বিস্ফোরক যন্ত্র’ ট্রেনটিকে লাইনচ্যুত করেছে।
তিনি আরও বলেন, ইউক্রেন এবং বেলারুশ সীমান্তের কাছাকাছি প্রায় তিন লাখ ৭০ হাজার জনসংখ্যার শহর ব্রায়ানস্কের আঞ্চলিক কেন্দ্রের বাইরে স্নেজেটস্কায়া স্টেশনে ট্রেনটি অবস্থান করছে।
তিনি জানান, একটি লোকোমোটিভ এবং ট্রেনের বেশ কয়েকটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
এর আগে ব্রায়ানস্ক অঞ্চলে বিস্ফোরণের পর লাইনচ্যুত হয়ে যায় ট্রেনের বেশ কয়েকটি বগি।
স্থানীয় প্রশাসন জানায়, আকস্মিক বিস্ফোরণের কবলে পড়ে তেল ও কাঠবাহী ট্রেনটি। দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে বেশ কয়েকটি বগিতে। এ সময় লাইনচ্যুত হয়ে দুমড়েমুচড়ে যায় অন্তত সাতটি বগি। ঘটনাস্থল থেকে একটি বিস্ফোরক ডিভাইস উদ্ধার করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। বিস্ফোরণটি কারা ঘটিয়েছে তা নিয়ে শুরু হয়েছে তদন্ত।
ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় সন্দেহের তীর ইউক্রেনের দিকেই। তবে ইউক্রেন এসব হামলার দায় স্বীকার করেনি।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, অবশ্যই আমরা সচেতন যে কিয়েভ সরকার, যারা এ ধরনের অনেক হামলার পেছনে রয়েছে। তারা এ হামলা চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে। আমাদের সব গোয়েন্দা সংস্থা নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় সব কিছু করছে।
এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার ভূখণ্ড ও ক্রিমিয়া অঞ্চলে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ধারাবাহিক হামলার ঘটনা ঘটেছে। ২০১৪ সালে ক্রিমিয়াকে নিজেদের অন্তর্ভুক্ত করে রাশিয়া।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গত চার দিনে বিস্ফোরণে দুটি ট্রেন লাইনচ্যুত হতে দেখা গেছে। একটি সন্দেহভাজন ড্রোন ক্রিমিয়ার একটি তেল ডিপোতে আঘাত করেছে, যা সেন্ট পিটার্সবার্গের কাছে একটি বিশাল অগ্নিকাণ্ডের সৃষ্টি করে। এ ঘটনায় সেখানকার একটি বিদ্যুতের লাইন উড়ে গেছে।