নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তাঁর নাম মহিন উদ্দিন (৪২)। তিনি চট্টগ্রামে খাবারের হোটেল ব্যবসায়ী ছিলেন। উপজেলার ডমুরুয়া ইউনিয়নের হরিণকাটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সেনবাগ থানা-পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিবেশী এক চাচার মৃত্যুর খবর পেয়ে কয়েক দিন আগে চট্টগ্রাম থেকে গ্রামের বাড়িতে আসেন মহিন উদ্দিন। বাড়িতে তাঁর স্ত্রী, এক মেয়ে ও দুই ছেলে থাকে। এই দিকে রাত ১১টার দিকে মুঠোফোনে কল আসার পর ঘর থেকে বের হন তিনি। এরপর রাত তিনটার দিকে বসতঘরের দরজার সামনে তাঁকে আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্ত্রী রজ্জবের নেছা ওরফে রিনা চিৎকার দেন।
এ সময় প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে অচেতন অবস্থায় মহিনকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক কিংবা সহকারী কাউকে না পেয়ে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে নেওয়া হয়। সেখানেও চিকিৎসক না পেয়ে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে জেলা শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে যান তাঁরা। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসক মহিনকে মৃত ঘোষণা করেন।
মহিনের স্ত্রী রজ্জবের নেছা বলেন, রাতে খাওয়ার পর তাঁর স্বামী বাইরে যান। এরই মধ্যে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। পরে তিনটার দিকে হঠাৎ তাঁর ঘুম ভাঙে। ঘরের দরজায় যেতেই দেখেন, সেখানে রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁর স্বামী পড়ে আছেন। মাথা থেকে রক্ত বের হচ্ছিল তাঁর। কে বা কারা তাঁর স্বামীকে হত্যা করেছে, তিনি জানেন না। তিনি এই হত্যার বিচার চান।
সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী বলেন, নিহত ব্যক্তির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় এখনো কোনো অভিযোগ করা হয়নি। কে বা কারা এই হত্যার সঙ্গে জড়িত, সে সম্পর্কে পরিবারের কাছ থেকেও সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে।