বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) পশুপালন অনুষদের এক শিক্ষার্থীর শ্লীলতাহানির ঘটনায় বিক্ষোভ মিছিল করেছেন তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা। এছাড়া প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়েছেন তারা। রোববার সকালে পশুপালন অনুষদীয় গেট থেকে ছাত্রী শ্লীলতাহানির বিচারের দাবিতে মিছিলটি বের হয়।
এদিকে এই ঘটনার পরে সম্মানহানির অভিযোগ তুলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা একযোগে পদত্যাগপত্র জমা দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আজহারুল ইসলাম বলেন, যেখানে শিক্ষকদের সম্মান নেই সেখানে কাজ করা অসম্ভব। আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের ব্যক্তিগত আক্রমণ করে গালিগালাজ করেছে। আমরা প্রক্টরিয়াল বডির (প্রক্টর এবং সহকারী প্রক্টরবৃন্দ) সদস্যরা স্বাক্ষর করে একযোগে পদত্যাগপত্র প্রক্টরিয়াল অফিসে জমা দিয়েছি।
পরে দুপুরে প্রশাসনিক ভবনের তালা খুলে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে ওই শিক্ষার্থীরা আলোচনায় বসেন। এ সময় সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের নিকট তাদের দাবিগুলো তুলে ধরেন। শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হচ্ছে- বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট রাস্তা ব্যতীত সিএনজি, অটো চলাচল নিষিদ্ধ এবং রিকশাগুলোর নির্ধারিত কোড ও রিকশাচালকদের নির্দিষ্ট পোশাকের ব্যবস্থা, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মের রাস্তাগুলোতে অবিলম্বে নিরাপত্তা জোরদার এবং ঘটে যাওয়া ঘটনার অবিলম্বে বিচার করা।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো যৌক্তিক। বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল প্রবেশ পথগুলোতে নিরাপত্তাকর্মী বাড়ানো ও সাধারণ নম্বর দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মের রাস্তাগুলোতে কাল থেকেই নিরাপত্তা জোরদার করা হবে এবং শ্লীলতাহানির ঘটনার উপযুক্ত বিচারের জন্য পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা হয়েছে। প্রক্টর এবং ছাত্রদের মধ্যে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। বিষয়টির সমাধান করা হচ্ছে। প্রক্টররা আবার কর্মস্থলে যোগদান করবেন।