সর্বজনীন পেনশন স্কিমের টাকা মোবাইল ব্যাংকিং সেবা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জমা দিলে প্রতি হাজারে অতিরিক্ত খরচ হবে সাত টাকা। প্রতি একশ টাকায় খরচ হবে ৭০ পয়সা।
বাণিজ্যিক ব্যাংক বা অন্যভাবে টাকা জমা দিলে এই বাড়তি খরচ হবে না। মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় পেনশন স্কিমের টাকা জমা দেওয়ার পর গ্রাহককে মেসেজ দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে ইতোমধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এর আলোকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে সোমবার একটি সার্কুলার জারি করে মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদাতা কোম্পানিগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
দেশে এখন ১৩টি মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদাতা কোম্পানি রয়েছে। এদের মাধ্যমে পেনশন স্কিমের টাকা জমা দেওয়া যাবে।
অর্থ বিভাগের পরিপত্রে বলা হয়েছে, দেশের সর্বস্তরের জনগণকে টেকসই পেনশন কাঠামোর আওতায় অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। এই আইনের অধীন চাঁদাদাতারা অনলাইন প্ল্যাটফর্মে রেজিস্ট্রেশন করে যে কোনো একটি পেনশন স্কিমে যুক্ত হতে পারবেন।
সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি ও সরকারের অন্যান্য কার্যক্রমের নগদ অর্থ এমএফএসের মাধ্যমে বিতরণের জন্য অভিন্ন ক্যাশআউট চার্জ দশমিক ৭০ শতাংশ নির্ধারণ করে ২০২০ সালের ১২ নভেম্বর পরিপত্র জারি করা হয়েছে। সর্বজনীন পেনশন স্কিম সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমের একটি অংশ বিধায় এক্ষেত্রেও চাঁদা প্রদানে সেবা মাশুল একই রকম, অর্থাৎ শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ প্রযোজ্য হবে।
চাঁদাদাতারা অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে রেজিস্ট্রেশনের পর পেনশন কর্তৃপক্ষের হিসাবে অর্থ জমা করলে মোবাইলে আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো চাঁদাদাতা বরাবর নিশ্চিতকরণ বার্তা প্রেরণ করবে।
সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় স্কিমভেদে প্রতি মাসে ৫০০ টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা জমা দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে।