পুলিশের ওপর হামলা ও জ্বালাও-পোড়াওয়ের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাহিনীর মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। তিনি বলেন, লে. জেনারেল (অব.) চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কথিত উপদেষ্টা জাহিদুল ইসলাম মিয়া ওরফে মিয়া আরেফি রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্রে যুক্ত কি না, তা–ও তদন্ত করা হচ্ছে।
আজ বুধবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পুলিশ সদস্যদের খোঁজখবর নেওয়ার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইজিপি এসব কথা বলেন।
চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, কী উদ্দেশ্যে আন্দোলনকারীরা বিশৃঙ্খলা করছেন, গ্রেপ্তার বিএনপি নেতাদের জিজ্ঞাসাবাদে তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। তিনি আরও বলেন, অবরোধের নামে যাঁরা মানুষের চলাচলে বাধা সৃষ্টি করবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, ২৮ অক্টোবর পুলিশ তার দায়িত্ব পালন করেছে, যেটুকু শক্তি প্রয়োগ করা দরকার ছিল, তা–ই করা হয়েছে। এদিন বিএনপির নেতা-কর্মীদের বারবার অনুরোধ করার পরও তাঁরা শোনেননি।
সাংবাদিকদের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, এসব ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত। তদন্ত করে সব ঘটনার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢামেক সূত্র জানায়, বর্তমানে পুলিশের তিন সদস্য ও এক আনসার সদস্য হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁদের মধ্যে নায়েক আবদুর রাজ্জাকের অবস্থা গুরুতর। তিনি আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। বাকি দুজন আবদুস সামাদ ও আনসার সদস্য হুসাইন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। এ ছাড়া গতকাল মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে আহত পুলিশ কনস্টেবল নুরুল হকও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।