দেশের ফুটবলের অন্যতম কিংবদন্তী গোলকিপার মোহাম্মদ মহসিনের বর্তমান অবস্থা নিয়ে খবর প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসেছেন সবাই।
সাবেক তারকা এই ফুটবলারের শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে তার চিকিৎসাও শুরু হয়েছে।
মো.মহসিনকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে গেছেন জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পাওয়া ফুটবলার ও বিশিষ্ট সংগঠক আবদুল গাফফার। হাসপাতালে মহসিনকে দেখে তিনি বলেন, ওজন কমে যাওয়া, ডিমেনশিয়া ও পারকিন্স এই তিনটি শারীরিক দুরবস্থা আমাদের কাছে মনে হচ্ছে। চিকিৎসকদের সামগ্রিকভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার অনুরোধ জানিয়েছি। শারীরিক দিকের পাশাপাশি মানসিক চিকিৎসাও দেওয়া হবে মহসিনকে।
সাবেক ফুটবলারদের এবং বেক্সিমকোর সহযোগিতায় চলছে মহসিনের এই চিকিৎসা। কারণ তার চিকিৎসার ভার নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
মূলত বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসানের নির্দেশনায় বেক্সিমকোর স্টাফরাও মহসিনের সঙ্গে সার্বক্ষণিক হাসপাতালে রয়েছেন। গত কয়েক মাস ধরে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে সব দিক দিয়েই মহসিনের দুরবস্থা চলছে। সবকিছু হারিয়ে চিকিৎসাও ঠিকমতো করতে পারছিলেন না। রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী সার্কুলার রোডে ছোট ভাইয়ের একটিফ্ল্যাটে কোনোমতে জীবন কাটাচ্ছেন ৬০ বছর বয়সী সাবেক ফুটবলার।
তারকা ফুটবলার আশরাফউদ্দিন চুন্নুর হাত ধরে মহসিন আবাহনীতে অনুশীলন করে মোহামেডানে খেলা শুরু করেন। সাদা-কালো জার্সিতে প্রায় অর্ধ যুগ খেলে আবাহনীতে নাম লেখান। সেখানে সফলতার ছাপ রাখেন। এরপর খেলেন মুক্তিযোদ্ধায়। ক্লাবের পাশাপাশি জাতীয় দলেও দাপটের সঙ্গে খেলেছেন।
১৯৮২ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত গোলপোস্টের নিচে ছিলেন অতন্দ্র প্রহরী। ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি উচ্চতার ফুটবলার দারুণ পারফরম্যান্স করে একসময় জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারও পেয়েছেন। খেলা ছেড়ে কানাডায় পাড়ি জমিয়েছিলেন মহসিন। সেখানে ভালোই ছিলেন। তবে একসময় স্ত্রীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ির পর ঢাকায় ফিরে আসেন,অনেকটা নিঃস্ব হয়ে।