• রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:০৪ পূর্বাহ্ন

দেশে আসেনি ১৪০ কোটি ডলার

Reporter Name / ১৯৩ Time View
Update : সোমবার, ৮ মে, ২০২৩

রপ্তানি আয় ও বিদেশে বাংলাদেশি মালিকানাধীন কোম্পানির মুনাফা ১৪০ কোটি ডলার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দেশে আসেনি। এর মধ্যে ২৫ কোটি ৫০ লাখ ডলার আটকে আছে রপ্তানির আদেশের বিপরীতে কম পণ্য সরবরাহ করার কারণে বিল পরিশোধ না করায়।

৪ কোটি ৮০ লাখ ডলার আটকে আছে রপ্তানিকারক দেউলিয়া হয়ে পড়ায় ও ২ কোটি ডলার আটকে আছে আমদানিকারক দেউলিয়া হওয়ার কারণে। ভুয়া রপ্তানির কারণে আটকে আছে ১২ কোটি ৫০ লাখ ডলার। বিভিন্ন মামলার কারণে আটকে রয়েছে ২৫ কোটি ১০ লাখ ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক এ তথ্য জানিয়েছেন।

সম্প্রতি আইএমএফ রপ্তানি বিল দেশে না আসায় বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছে। বিদেশে কত অর্থ আটকে রয়েছে, সেগুলো কেন দেশে আনা হচ্ছে না সে বিষয়েও জানতে চেয়েছে। এসব বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র আরও বলেন, রপ্তানি তথ্যের সংজ্ঞার গরমিলের কারণে রপ্তানি আয় দেশে না আসার পরিমাণ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কোনো পণ্য রপ্তানি হওয়ার ১২০ দিনের মধ্যে দেশে আসার নিয়ম রয়েছে। আবার বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশিদের মালিকানাধীন কোম্পানির মুনাফাও দেশে আনতে হয় তাদের হিসাববর্ষ শেষ হওয়ার পর।

তিনি আরও বলেন, দেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো থেকে যখন কোনো পণ্য বিক্রি হচ্ছে, সেটিকে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) রপ্তানি হিসাবে দেখাচ্ছে। কিন্তু এ জন্য দেশে কোনো রপ্তানি আয় আসছে না। কারণ এটি দেশেই বিক্রি হচ্ছে এবং স্থানীয় মুদ্রায়। ফলে দেশে কার্যত কোনো রপ্তানি আয় দেশে আসছে না। এখানেই ১০০ থেকে ২০০ কোটি ডলারের পার্থক্য তৈরি হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র সরোয়ার হোসেন বলেন, পণ্য রপ্তানি হওয়ার ১২০ দিনের মধ্যে দেশে অর্থ আসার কথা। এরপর না এলে তা অপ্রত্যাবাসিত হিসাবে ধরা হয়। তখন ওইসব অর্থ দেশে আনার জন্য ব্যাংকগুলোকে তাগাদা দেওয়া হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category