পাকিস্তান সেনাবাহিনীর নৃশংসতায় বিপর্যস্ত দেশটির পশতুন সংখ্যালঘুরা এখন আলাদা দেশের দাবি জানাতে শুরু করেছে।
রাস্তায় নেমে তারা বলেছেন, দেশের পরিস্থিতির উন্নতি না হলে তারা পৃথক রাষ্ট্রের দাবি আরও জোরদার করবেন।
ইসলামাবাদের সুপ্রিমকোর্টের সামনে পাকিস্তানের পশতুনরা একটি বিশাল সমাবেশের আয়োজন করে।ওই সমাবেশ থেকে এসব হুশিয়ারি দেন তারা।
সমাবেশে পশতুন নেতা মনজুর পাশতিনকে সেনাবাহিনীকে চ্যালেঞ্জ করে বলতে দেখা যায়, তারা পৃথক দেশের দাবি অব্যাহত রাখবে।
পশতুন তাহফুজ মুভমেন্টের (পিটিএম) এই নেতা বলেন, পাকিস্তানের নেতারা সেনাবাহিনীর জেনারেলদের দাস।
তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানের বিভিন্ন এলাকায় হামলা চালানো তালেবানদের পেছনে পাকিস্তান সেনাবাহিনীও রয়েছে। পশতুনদের বিরুদ্ধে নৃশংসতা বন্ধ করতে হবে এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনীর উচিত অবিলম্বে তালেবানদের থামানো।
শুক্রবারের সমাবেশে পাশতিন বলেন, ‘আপনারা যদি পাকিস্তান সঠিকভাবে চালাতে না পারেন, তাহলে আপনাদের প্রতিদিন একই সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে, যা আমাদের স্বাধীনতার দাবিতে বাধ্য করবে।’
মনজুরের সংগঠন পিটিএম মূলত পাকিস্তানের পশতুভাষীদের নাগরিক অধিকার আন্দোলন। আফগানিস্তান সীমান্ত-সংলগ্ন পশতু জনপদে সক্রিয় এরা। তাদের সমাবেশ ও ‘লংমার্চ’ গুলোতে বিপুল জনসমাবেশ ঘটছে। নিজেদের এলাকায় সশস্ত্রবাহিনীর মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়েই তাদের যত ক্ষোভ।
২০২০ সালের ২৭ জানুয়ারি পেশোয়ার থেকে মনজুর পাশতিনকে গ্রেফতার করেছিল পাকিস্তান সরকার। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অন্যতম প্রধান বেসামরিক প্রতিপক্ষ বিবেচনা করা হয় তাকে।
সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে ও হিন্দুস্তান টাইমস