মালয়েশিয়ার শ্রম ও অভিবাসন আইন লঙ্ঘন করছে এমন নিয়োগকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিবে বলে দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় বলছে, মালয়েশিয়ার শ্রম ও অভিবাসন আইন মেনে চলতে এবং অভিবাসী শ্রমিকদের নিয়োগে শিথিলকরণ কর্মসূচি চলাকালীন নিয়োগকর্তাদের দ্বারা পরিচালিত যে কোনো প্রতারণামূলক কার্যকলাপের অভিযোগ পেলে নিয়োগকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিবে মানবসম্পদ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
রোববার (২২ অক্টোবর) মানব সম্পদ মন্ত্রী ভি. শিবকুমার এক বিবৃতিতে বলেছেন, নিয়োগকর্তা এবং বেসরকারী কর্মসংস্থান সংস্থা যারা আইন লঙ্ঘন করেছে, বিদেশী কর্মীদের আবেদন এবং নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারের নীতি ও নির্দেশের অপব্যবহার করেছে তাদের কালো তালিকাভুক্ত করা হবে। সরকার এ বিষয়গুলো গুরুত্ব সহকারে দেখছে এবং সমস্যাগুলি সমাধানে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
শিবকুমার বলেন, আমরা বিদেশী কর্মীদেরও সাহায্য করব, যারা নিয়োগকর্তাদের কাছ থেকে প্রতারণার শিকার হয়েছে। ভুক্তভোগী যারা এমপ্লয়ার্স এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের অপব্যবহার করেছে তাদের শাস্তি হবে। এই প্রোগ্রামের আওতায় কর্মীদের হস্তান্তর করার আগে নতুন নিয়োগকর্তাকে শ্রম বিভাগ এবং ইমিগ্রেশন বিভাগ দ্বারা যাচাই করা হবে।
তিনি বলেন, সরকার শিথিলকরণ কর্মসূচির পর্যালোচনা করেছে, যা ১৮ মার্চ থেকে বন্ধ হয়েছে। কিছু নিয়োগকর্তা প্রদত্ত নমনীয়তার অপব্যবহার করেছেন। যার ফলে অনুমোদিত কোটা নিয়োগকারীদের প্রকৃত চাহিদাকে ছাড়িয়ে গেছে। এটি নিঃসন্দেহে অনেক বিদেশী কর্মীকে বেতন প্রদান না করা, চাকরি না দেওয়া এবং দেশের আইন অনুসারে উপযুক্ত বাসস্থান না দেওয়ার অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে।
মানবসম্পদ মন্ত্রনালয় স্পষ্ট করতে চায়, মালয়েশিয়ায় বিদেশী কর্মীদের ব্যবস্থাপনা স্থানীয় কর্মীদের অগ্রাধিকার দেওয়ার নীতির সাপেক্ষে এবং সেক্টর অনুসারে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত মানদণ্ডের ওপর ভিত্তি করে তাদের (নিয়োগকর্তা) প্রকৃত চাহিদার মূল্যায়ন করা হয়।
সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, নতুন কোটার জন্য আর কোনো অনুমোদন থাকবে না এবং এটি শুধুমাত্র অনুমোদিত কোটার ভিত্তিতে কর্মীদের প্রবেশের ব্যবস্থা করবে। যাতে ২০২৫ সালের মধ্যে মালয়েশিয়ায় বিদেশী কর্মীদের সংখ্যা ২.৪ মিলিয়নের বেশি না হয়।