মানুষ অবশেষে মহাকাশ ভ্রমণে যেতে শুরু করেছে! ভার্জিন গ্যালাক্টিকের ভিএসএস ইউনিটি একদল পর্যটককে নিয়ে এই প্রথম মহাকাশ ভ্রমণের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে সফলভাবে পৌঁছেছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, স্পেস ফর হিউম্যানিটি একটি অলাভজনক সংস্থা। এই যাত্রার জন্য একটি পুনঃব্যবহারযোগ্য রকেটচালিত মহাকাশ বিমান ব্যবহার করা হয়। ‘গ্যালাকটিক ০২’ নামে পরিচিত মিশনটি নিউ মেক্সিকোতে স্পেসপোর্ট আমেরিকা থেকে সকাল ১১টার কিছুক্ষণ পরেই যাত্রা করে।
মহাকাশযানটিতে ৬ ব্যক্তি ভ্রমণে গিয়েছেন। যার মধ্যে স্পেস প্লেনের কমান্ডার ও প্রাক্তন নাসা মহাকাশচারী সিজে স্টারকো, পাইলট কেলি ল্যাটিমার ও ভার্জিন গ্যালাক্টিকের প্রধান মহাকাশচারী প্রশিক্ষক বেথ মোসেস, যারা ফ্লাইটের আগে ক্রুদের প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন।
মহাকাশযানে স্বাস্থ্য ও সুস্থতার কোচ কেইশা শাহাফ ও তার ১৮ বছর বয়সী কন্যা আনাস্তাসিয়া মায়ার্সও আছেন। এই প্রথম কোনো মা-মেয়ে একসঙ্গে মহাকাশ ভ্রমণে গিয়েছেন।
মিশনটি মহাকাশে একটি একক মিশনে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক নারী উড়েছেন। প্রাক্তন অলিম্পিয়ান জন গুডউইনকেও বহন করেছে মহাকাশযানটি, যিনি মিউনিখে ১৯৭২ সালের অলিম্পিকে ক্যানোয়েস্ট হিসেবে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
‘গ্যালাকটিক ০২’ হলো একটি সাবঅরবিটাল ফ্লাইট। যদিও ভিএসএস ইউনিটি কক্ষপথে এটি পৌঁছায় না, তবে ট্র্যাজেক্টোরি ভ্রমণকারীদের পৃথিবীর বক্রতা দেখাতে যথেষ্ট উচ্চতায় কয়েক মিনিটের ওজনহীনতা অনুভব করতে দেয়।
আপনি যদি মহাকাশযানের ভেতরের লাইভ ফুটেজটি দেখেন তাহলে দেখবেন, যাত্রীরা মহাকাশযানে ভেসে যাওয়ার সময় তাদের আসনে বসে জানালা দিয়ে উপরের দিকে তাকিয়ে পৃথিবী দেখছেন।