ইরান বলেছে, দেশটির পরমাণু স্থাপনাগুলোর পাশাপাশি সেখানে কর্মরত বিজ্ঞানীদের বিরুদ্ধে ইসরাইলের যেকোনো ধরনের সন্ত্রাসী তৎপরতার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী থাকতে হবে।
তাসনিম নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সচিব আলী শামখানি এমন মন্তব্য করেছেন। মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভানের এক মন্তব্যের জবাবে নিজের অফিসিয়াল টুইটার পেজে দেওয়া এক পোস্টে এমন কথা বলেন তিনি।
এর আগে সুলিভান দাবি করেন, ইরানের পরমাণু অস্ত্র অর্জনের প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করতে ইসরাইল ‘যে কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে স্বাধীন।’ এমনকি তেল আবিব এ ধরনের পদক্ষেপ নিলে ইসরাইলের পাশে থাকবে ওয়াশিংটন।
প্রসঙ্গত, ইরান বার বারই বলে আসছে যে, তাদের পরমাণু কর্মসূচি সম্পূর্ণ বেসামরিক কাজে পরিচালনা করার জন্য। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা দাবি করছে, তেহরান পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতেই পরমাণু চুল্লিতে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ জোরদার করেছে।
জ্যাক সুলিভানের বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে টুইটার পোস্টে আলী শামখানি লিখেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই স্বীকারোক্তি প্রমাণ করে যে, ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলোর পাশাপাশি সেখানে কর্মরত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ইসরাইলের সব ধরনের সন্ত্রাসী তৎপরতার দায় আমেরিকাকে সমানভাবে নিতে হবে। আবর এক্ষেত্রে ইরান যে পাল্টা ব্যবস্থা নেবে তার দায়ভারও বহন করতে হবে ওয়াশিংটনকে।
ইরানি গণমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, দখলদার ইসরাইল এখন পর্যন্ত সাতজন ইরানি পরমাণু বিজ্ঞানীকে হত্যা করেছে। এ ছাড়াও ইরানের বিভিন্ন পরমাণু স্থাপনার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকবার নাশকতামূলক তৎপরতা চালিয়েছে তেল আবিব।
সাম্প্রতিক সময়ে ইসরাইল ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলোতে সরাসরি সামরিক হামলার হুমকি দিয়েছে।
এই হুমকির জবাবে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি গত সপ্তাহে বলেছেন, ইসরাইল হামলার মতো কোনো ভুল কর বসলে তেহরানের পাল্টা হামলার প্রথম মুহূর্তেই ধ্বংস হয়ে যাবে দখলদার রাষ্ট্রটি।