রোমানিয়ান সীমান্ত পুলিশ বিভিন্ন আফ্রো-এশীয় দেশ থেকে আসা ১১৫ জন বিদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করেছে। যারা বিভিন্ন উপায়ে লুকিয়ে অবৈধভাবে হাঙ্গেরি সীমান্ত অতিক্রম করার চেষ্টা করেছিল। অভিবাসী পাচারের অপরাধে গাড়িচালকদেরও গ্রেফতার করা হয়েছে।
সপ্তাহান্তে রোমানিয়ার আরাদ জেলার নাদলাখ বর্ডার ক্রসিং পয়েন্টে, রোমানিয়ায় নিবন্ধিত একটি গাড়ি ও তুরস্কে নিবন্ধিত গাড়ির চালকরা তিন তুর্কি নাগরিক এবং একজন রোমানিয়ান- পণ্যের সঙ্গে থাকা নথি অনুসারে ট্রাক চালকরা স্লোভাকিয়া, পোল্যান্ড এবং ইতালি থেকে বাণিজ্যিক সংস্থাগুলোর জন্য প্লাস্টিক পণ্য এবং অ্যালুমিনিয়াম প্রোফাইল পরিবহণ করছিলেন এবং রোমানিয়ান নাগরিক একটি প্ল্যাটফর্মে দুটি গাড়ি পরিবহণ করছিলেন।
গোপন খবরের ভিত্তিতে সীমান্ত পুলিশ ট্রাকগুলোর ওপর তল্লাশি চালায়। এভাবে প্রথমদিন মোট ৭৮ জন বিদেশি নাগরিককে ট্রাকের কার্গো বগিতে লুকিয়ে থাকা এবং প্ল্যাটফর্মের গাড়িগুলোতে আরও ৪ জন লোককে পাওয়া যায়।
সব ব্যক্তিকে তুলে নিয়ে তদন্তের জন্য পুলিশ সেক্টরের সদর দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, যেখানে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরে সীমান্ত পুলিশ নিশ্চিত করেছে যে তারা সিরিয়া, ইথিওপিয়া, ইরান, তুরস্ক, মিশর, মরক্কো, শ্রীলংকা এবং বাংলাদেশের নাগরিক কিছু রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী এবং অন্যরা শ্রম আইনে রোমানিয়ায় প্রবেশ করেছে। সবাই পশ্চিম ইউরোপীয় দেশে অবৈধভাবে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা করেছিল।
এছাড়া নাদলাখ বর্ডার পুলিশ সেক্টরের একটি টহল পুলিশ দল নিশ্চিত করেছে যে নির্দিষ্ট রাষ্ট্রীয় সীমান্ত নজরদারি মিশনের অনুশীলনের সময় তারা দেখতে পায় হাঙ্গেরির সীমান্তের কাছে, একজন সার্বিয়ান নাগরিক ভ্যান চালাচ্ছিলেন। যা দেখে তারা সন্দেহ করে সব যানবাহনের উপর তল্লাশি চালায় এবং সেই সময় পণ্য পরিবহণের ট্রাকের বগিতে ১৩ জন লোককে পাওয়া যায়।
চালক, ট্রাক এবং লুকানো ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সেক্টরের সদর দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়। যেখানে এটি প্রমাণ হয় যে লুকানো ব্যক্তিরা বাংলাদেশের নাগরিক। যারা শ্রম আইনে রোমানিয়ায় প্রবেশ করেছিল।
এছাড়া নাদলাখ বর্ডার পুলিশ সেক্টরে, এ সময়ের মধ্যে টহলদাররা তাদের দায়িত্ব পালনের জন্য প্রতিবেশী জেলার দিকে মাঠের মধ্যে বেশ কয়েকটি দলকে এগিয়ে যেতে দেখেছে; যারা জঙ্গলে ঘেরা পাহাড় অতিক্রম করার চেষ্টা করে।
সীমান্ত পুলিশ সংশ্লিষ্ট গ্রুপ যেখানে ছিল তারা সেখানে গিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। তাদের অতিরিক্ত তল্লাশির জন্য পুলিশের সদর দফতরে নিয়ে যায়।
সীমান্ত পুলিশ চালকদের জন্য অভিবাসী চোরাচালানের অপরাধের তদন্ত করছে। হেঁটে লুকিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করার জন্য ১১৫ বিদেশি নাগরিক, যাদের মধ্যে বেশিরভাগ বাংলাদেশি। তাদের আইনি শাস্তির পর যার যার স্বদেশে পাঠানো হবে বলে পুলিশ জানায়।