ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর ও চরমোনাই পির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, সরকারের পাপের প্রায়শ্চিত্ত করার সময় হয়ে গেছে। দেশ ও জাতির সঙ্গে প্রতারণার কুফল সরকারকে ভোগ করতেই হবে। ভোটের সংস্কৃতি নির্মূল, উন্নয়নের নামে দেশের সম্পদ লুট করা, সন্ত্রাস ও অর্থপাচার করে দেশকে নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দেওয়ার কারণে সরকার এখন গণধিকৃত ও কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। সরকারের লোকজনের বেফাঁস কথাবার্তা শুনেই বোঝা যায়, দেশি বিদেশি চাপে তারা বেসামাল হয়ে গেছে। ক্ষমতা হারানোর ভয়ে দিশেহারা সরকার। টালবাহানা করে এবার রেহাই নাই।
তিনি বলেন, ডাকাত যতই শক্তিশালী হোক, বাড়ির মালিক একটু হুমকি দিলেই সে ভয় পায়। সুতরাং ভোট ডাকাতদেরকে রুখে দাঁড়ালেই তারা তল্পিতল্পা নিয়ে পালাতে বাধ্য হবে। এই দেশ স্বাধীন হয়েছিল জনগণের ভোটাধিকার সংরক্ষণ, মৌলিক অধিকার ও সুশাসন নিশ্চিত করার জন্য। কিন্তু আওয়ামী সরকার জনগণের সকল অধিকার হরণ করেছে। সরকারের সকল দুর্নীতির হিসাব এদেশের মাটিতে পাই পাই করে দিতে হবে।
শুক্রবার বিকালে রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে ‘ছাত্র-যুব সমাবেশে’ চরমোনাই পীর এসব কথা বলেন। ইসলামী ছাত্র ও যুব আন্দোলন বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে এ সমাবেশ হয়। এতে ব্যাপক সংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন।
সমাবেশে থেকে বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে চলতি সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতির প্রবর্তন ও ব্যর্থ নির্বাচন কমিশন বাতিলের দাবিতে আগামী ২৭ অক্টোবর সারাদেশে জেলা ও মহানগরে বিক্ষোভ মিছিল এবং ৩ নভেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর।
ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ নেছার উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি জেনারেল মুফতি মানসুর আহমদ সাকী ও ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সেক্রেটারি জেনারেল ইউসুফ আহমাদ মানসুরের সঞ্চালনায় সমাবেশে উদ্বোধক ছিলেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিয়াদ। এতে একাত্মতা প্রকাশ করে বক্তব্য দেন জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল।
আরও বক্তব্য দেন- ইসলামি আন্দোলনের প্রেসিডিয়ামের সিনিয়র সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম, প্রেসিডিয়াম সদস্য আল্লামা নুরুল হুদা ফয়েজী,মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা ইছহাক মোহাম্মদ আবুল খায়ের, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, কেএম আতিকুর রহমান, আহমদ আবদুল কাইয়ূম প্রমুখ।