• বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:৩৪ পূর্বাহ্ন

ক্রমশ সংকুচিত হচ্ছে ভারত,উচ্চস্তরে এখন বাংলাদেশ 

Reporter Name / ৮৭ Time View
Update : রবিবার, ৪ মে, ২০২৫

-রিন্টু আনোয়ার
অপ্রতিরোধ্য চীনকে কাবু করে বিশ্বের দ্বিতীয় সুপার পাওয়ার হবার স্বপ্নে বিভোর ভারত এখন ব্যস্ত পাকিস্তানকে নিয়ে। আর পাকিস্তান ব্যস্ত বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক উন্নোয়নে। কয়েকদিন আগেই পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ভারতের সাথে আবার যুদ্ধের কথা বলেছিলেন। তার কথাটি বাতকে বাত ছিল? না, প্রকৃতই মাহাত্ম ছিল?- এর একটা  প্রমাণ দৃশ্যমান। চূড়ান্ত উত্তেজনা চলছে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে। প্রচন্ড গোলাগুলিও হয়ে গেছে। জম্মু-কাশ্মিরে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের লাইন অফ কন্ট্রোলে দুই দেশের সেনাদের সংঘাতে জড়ানোর খবর উঠে এসেছে ভারতের গণমাধ্যমগুলোতে। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির তথ্যও উঠে আসছে। যুদ্ধবিরোধী চুক্তি লঙ্ঘন করে জম্মু -কাশ্মিরের নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর এলোপাথারি গুলি চালিয়েছে পাকিস্তান। এমন খবর জানাচ্ছে আনন্দবাজারসহ ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো। ভারতও পাল্টা জবাব দিয়েছে পাকিস্তানে। কাশ্মীরের পেহেলগামে ‘সন্ত্রাসী’ হামলার জন্য পাকিস্তানকেই দায়ী করছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। আর ‘দোষী’ হিসেবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নিয়েছে একগুচ্ছ পদক্ষেপ। হঠাৎ দৃশ্যপটে বড় রকমের ছেদ। ভারতের অভ্যন্তরে এ নিয়ে তোলপাড়।  দফায় দফায় বৈঠক নয়াদিল্লিতে।
বৈঠকে পাকিস্তানের উপর বড় কূটনৈতিক ‘অ্যাকশনের’ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে পাকিস্তানি নাগরিকদের ভারতে ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হবে না। যতই জরুরী প্রয়োজন হোক, কোনও পাকিস্তানি নাগরিককে আর ভিসা দেওয়া হবে না। এরইমধ্যে যে সকল ভিসা জারি করা হয়েছে, সেগুলোকে বাতিল বলে গণ্য করা হবে। যে সকল পাকিস্তানি নাগরিক এই মুহূর্তে ভারতে আছেন, তাদেরকে দ্রুত ভারত ছাড়তে বলা হয়েছে। এই বিধিনিষেধ থেকে বাদ যায়নি পাকিস্তানি কূটনীতিকরাও। তাদের ভারত ছাড়ার জন্য এক সপ্তাহ সময় বেধে দেওয়া হয়েছে। ইসলামাবাদের ভারতীয় হাইকমিশনে থাকা সকল প্রতিরক্ষা, নৌ ও বিমান উপদেষ্টাদেরও অবিলম্বে প্রত্যাহার করা হবে। সংশ্লিষ্ট হাইকমিশনের পদগুলো বাতিল বলে গণ্য করা হবে বলে বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত দ্বন্দ্ব বিদ্যমান। গত কয়েক মাস যাবত এ অঞ্চল নিয়ে দু’দেশের মধ্যে টানাপোড়েনে কিছুটা ‘শীতল’ থাকলেও ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে নয়াদিল্লি-ইসলামাবাদের কূটনীতি। তবে পেহেলগামের এই ঘটনার পর কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারত। আশঙ্কা করা হচ্ছে পাল্টা জবাব হিসেবে পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে মোদী সরকার।
ঘটনার একদিন পরই পাঁচটি বড় কূটনৈতিক অ্যাকশন নিলো দেশটি। গত ১৬ এপ্রিল পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির এক বক্তব্যে ১৯৪৭ সালের ভারত ভাগের অনুঘটক দ্বিজাতি তত্ত্বের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছিলেন। মুসলমানদের ‘হিন্দুদের থেকে আলাদা পরিচয়’–এর কথাও জোর দিয়ে বলেন তিনি। পাকিস্তান সরকার বুধবার ভোরে এই বিষয়ে দেয়া বিবৃতিতে বলেছে, ভারত অধিকৃত অবৈধ জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলায় পর্যটকদের ওপর হামলার ঘটনায় উদ্বেগ জানায়। এসব নিয়ে একটা তালগোল অবস্থা। গত কিছুদিন ভারতের চরম চিন্তা ছিল বাংলাদেশকে নিয়ে। এখন আবার মূল সাবজেক্ট হয়ে গেল ভারত। সেইসঙ্গে নেপাল, ভূটান, শ্রীলঙ্কাও বাদ নেই।
ভারত আসলে এখন অনেকটা একাকী পথে হাঁটছে। একে একে সব হারানোর অবস্থা। ভারত সাথে প্রস্তাবিত স্থলপথ সংযোগ, যার মাধ্যমে পক প্রণালী পেরিয়ে একটি সেতু বা করিডোর নির্মাণের কথা ভাবা হচ্ছিল, তা আপাতত স্থগিত করে দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাম্প্রতিক কলম্বো সফরের সময় বিষয়টি অগ্রাধিকার পেলেও, শ্রীলঙ্কা সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এপ্রিল ২১, ২০২৫ স্পষ্ট করা হয়েছে যে তারা বর্তমানে এই প্রকল্প নিয়ে এগোতে প্রস্তুত নয়। আবার বাংলাদেশে রেলওয়ে সংযোগ প্রকল্পে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি রুপির অর্থায়ন ও নির্মাণকাজ স্থগিত করেছে ভারত। শ্রমিকদের নিরাপত্তা’ এবং ‘রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার’ কারণ দেখিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ-বিআরআই নিয়ে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে চীনের সঙ্গে একটি কাঠামোগত চুক্তি সই করেছে নেপাল। এতে নেপালে চীনের প্রভাব বিস্তারের পথ সুগম করেছে। প্রাথমিক বোঝাপড়ার সাত বছর পর এই নতুন চুক্তি প্রকল্পে যোগ দিয়েছে নেপাল। সড়ক এবং বিমান পথে চীনের সঙ্গে নেপাল সড়াসড়ি যোগাযোগ স্থাপন করতে যাচ্ছে। এরফলে নেপালের সঙ্গে আফগানিস্তান, মধ্য এশিয়া এবং ইউরোপের সঙ্গে সড়াসড়ি সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হবে।
নেপাল ব্যবসা বাণিজ্যের অভূতপূর্ব উন্নয়নের মুখ দেখবে। ভারতের জন্য এটি আরেক উদ্বেগের। কিন্তু হাল ছাড়ছে না। ভারত, তার ঐতিহাসিক পূর্বসূরিদের পথ ধরে, এক অদম্য উচ্চাকাঙ্ক্ষার দিকে এগিয়ে চলেছে। ‘নেহরু ডকট্রিন’-এর সেই সুপরিচিত উক্তি—“তুমি যদি তোমার রাষ্ট্রের আয়তন বৃদ্ধির চেষ্টা না করো, তবে তোমার রাষ্ট্র ক্রমশ সংকুচিত হয়ে আসবে”—আজও ভারতের কৌশলগত দর্শনের মূলমন্ত্র হিসেবে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে। দিল্লির দৃষ্টি এখন একটি একক লক্ষ্যে স্থির: সামরিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতার দিক থেকে চীনকে টপকে বিশ্বের দ্বিতীয় শক্তিধর রাষ্ট্র হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা। … বর্তমানে, যুক্তরাষ্ট্র সামরিক ও অর্থনৈতিক শক্তির শীর্ষে অধিষ্ঠিত, তার ঠিক পরেই রয়েছে চীন। ভারত, বিশ্বের চতুর্থ শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসেবে, তার পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের সঙ্গে একটি কঠিন বোঝাপড়ার দিকে এগোচ্ছে।
এই ‘বোঝাপড়া’ শব্দটির মধ্যে লুকিয়ে আছে সংঘাতের ছায়া, এমনকি যুদ্ধের সম্ভাবনাও। ভারতের সম্ভাব্য পরিকল্পনা হতে পারে কাশ্মীরকে পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া, প্রয়োজনে সামরিক অভিযানের মতো দুঃসাহসিক পদক্ষেপের মাধ্যমে।কিন্তু এমন একটি পদক্ষেপের পরিণতি কী হতে পারে? পাকিস্তান, অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল হলেও, তার পারমাণবিক অস্ত্রশক্তি একটি ভয়াবহ হুমকি। যুদ্ধে টিকে থাকার জন্য শুধু অস্ত্রই যথেষ্ট নয়, প্রয়োজন বিপুল অর্থনৈতিক সংস্থান, যা পাকিস্তানের কাছে সীমিত। পরাজয়ের আশঙ্কায় কোণঠাসা হয়ে পাকিস্তান যদি দিল্লির ওপর পারমাণবিক হামলার মতো চরম পদক্ষেপে চলে যায়, তবে ভারতও তার পারমাণবিক শক্তি দিয়ে পাল্টা জবাব দেবে।
এমন একটি পরিস্থিতি কেবল দুই দেশ নয়, সমগ্র অঞ্চলের জন্য হবে বিপর্যয়কর। তবে, এই সম্ভাবনাগুলো আন্তর্জাতিক কূটনীতিবিদদের একটি প্রাক্কলন মাত্র, যা পুরোপুরি সত্যি হবে, এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই। কিন্তু যদি ভারত তার আয়তন বৃদ্ধির কৌশল হিসেবে কাশ্মীরের পরিবর্তে তার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ‘সেভেন সিস্টার্স’ অঞ্চলের দিকে দৃষ্টি দেয়? অথবা, যদি তার দৃষ্টি পড়ে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও রংপুরের মতো কৌশলগত অঞ্চলের ওপর? এই সম্ভাবনা দীর্ঘদিন ধরে আলোচনায় রয়েছে, ভারতের সম্প্রসারণবাদী নীতি বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিতে পারে বলে অনেকে মনে করেন।
এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের জন্য জরুরি হয়ে পড়েছে তার সামরিক শক্তির দ্রুত উন্নয়ন। বর্তমানে বিশ্বের সামরিক শক্তির তালিকায় বাংলাদেশ ৩৫তম স্থানে রয়েছে। তবে, লক্ষ্য হওয়া উচিত শীর্ষ ২০-এর মধ্যে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা, যাতে যেকোনো সম্ভাব্য হুমকির মুখে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে পারে।ভারতের সম্প্রসারণবাদী উচ্চাকাঙ্ক্ষা, যদি সত্যিই বাংলাদেশের দিকে মনোযোগ দেয়, তবে তা দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক গতিপ্রকৃতিতে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে পারে। এই অঞ্চলের দেশগুলোর জন্য এখনই প্রয়োজন কৌশলগত প্রস্তুতি, কূটনৈতিক দূরদর্শিতা এবং অভ্যন্তরীণ শক্তি বৃদ্ধির মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান সুসংহত করা। ভারতের উচ্চাকাঙ্ক্ষা যদি সত্যি সত্যি এই পথে এগোয়, তবে দক্ষিণ এশিয়ার ভবিষ্যৎ হবে উত্তেজনা, অনিশ্চয়তা এবং সম্ভাব্য সংঘাতের এক জটিল মায়াজাল।এই বিশ্লেষণ শুধু একটি সম্ভাবনার ছবি আঁকে, তবে এর গভীরতা অনেক। দক্ষিণ এশিয়ার এই ভূ-রাজনৈতিক দাবার ছক কোন পথে এগোবে, তা সময়ই বলে দেবে। নতুন স্নায়ু যুদ্ধের এমন সময়ে বাংলাদেশ কিভাবে আগ্রাসী শক্তির বিরুদ্ধে টিকে থাকবে তা হবে এখন বাংলাদেশের রাজনীতির প্রধান বিষয়। বোদ্ধামহলের কেউ কেউ বলে থাকেন, দেশের প্রয়োজনে উল্টোটা করতে হয়। আধিপত্যবাদী শক্তি যা বলবে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যদি তার উল্টোটা করে তাহলেই শুধু আধিপত্যবাদ ঠেকানো যায়। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী যা বলেছেন তা বাংলাদেশের জনগণ বিশ্বাস করে কি না সেটাই হলো বড় প্রশ্ন। ভারত বাংলাদেশ ‘সম্পর্ক ঐতিহাসিক ও অদ্বিতীয়’ সম্পর্কে সংশ্লিষ্টরা বলছেন ইতিহাস যখন বদলে যায় তখন পুরানো অনেক অত্যাচারের ইতিহাস আঁস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়।আধিপত্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জনগণ যে জুলাই আগস্ট বিপ্লবে জয়লাভ করেছে ভারত তা বুঝেও বুঝতেই চাইছে না। এ এক অদ্ভুত মানসিকতা ভারতের।
তা বুঝে এগোতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। বাংলাদেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্পের তিস্তা ব্যারেজ লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলাধীন গড্ডিমারী ইউনিয়নের দোয়ানী এবং পার্শ্ববর্তী নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলাধীন খালিসা চাপানী ইউনিয়নের ডালিয়া- এর মধ্যবর্তী স্থানে তিস্তা নদীর উপর নির্মিত হয়েছে। এই ব্যারাজের উপরদিকে (পশ্চিমবঙ্গের গজলডোবায় ) ভারত সরকার ব্যারাজ নির্মাণ করে শীতকালীন পানি আটকে দিয়েছে। সেকারণে বাধ্য হয়ে শুধু গ্রীষ্মকালীন/বর্ষাকালীন সেচ সুবিধা বাংলাদেশ পাচ্ছে।বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের লক্ষ্যে গৃহীত সব প্রকল্প ভন্ডুল করার জন্য আধিপত্যবাদী শক্তি তার বাংলাদেশী দালালদের ব্যবহার করে। তাই আধিপত্যবাদী শক্তিকে মোকাবেলা করেই বাংলাদেশের মানুষের ৫ আগস্ট গড়তে সক্ষম হয়ে চলছে। দক্ষমতাও দেখাচ্ছে। এতে পালক যোগ হয়েছে ইউনূসের ঝুলিতে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের  প্রশংসায় টাইম ম্যাগাজিন এবং হিলারি ক্লিনটন। টাইম ম্যাগাজিন ২০২৫ সালের বিশ্বেসেরা ১০০ জন ব্যক্তিত্বের তালিকায় ‘লিডারস’ ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, নোবেলজয়ী, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নাম রয়েছে। এ উপলক্ষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ফার্স্ট লেডি, প্রাক্তন সিনেটর এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী একজন ডেমোক্র্যাট, হিলারি রডহ্যাম ক্লিনটন টাইম ম্যাগাজিনে প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে মুখবন্ধ লিখেছেন :
… গত বছর ছাত্র-নেতৃত্বাধীন এক বিদ্রোহে বাংলাদেশের কর্তৃত্ববাদী প্রধানমন্ত্রীর পতনের পর, একজন পরিচিত নেতা জাতিকে গণতন্ত্রের দিকে পরিচালিত করার জন্য এগিয়ে আসেন: নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস। কয়েক দশক আগে, ইউনূস বাংলাদেশে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমে সবচেয়ে প্রান্তিক সম্প্রদায়ের ক্ষমতায়নের জন্য, লক্ষ লক্ষ – যাদের মধ্যে ৯৭% মহিলা ছিলেন – ব্যবসা গড়ে তুলতে, তাদের পরিবারকে টিকিয়ে রাখতে এবং তাদের মর্যাদা পুনরুদ্ধার করতে সহায়তা করার জন্য।
ইউনূসের সাথে আমার প্রথম দেখা হয়েছিল যখন তিনি তৎকালীন গভর্নর বিল ক্লিনটন এবং আমাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনুরূপ কর্মসূচি স্থাপনে সহায়তা করার জন্য আরকানসাসে সফর করছিলেন। তারপর থেকে, আমি বিশ্বের যেখানেই ভ্রমণ করেছি, আমি তার কাজের অসাধারণ প্রভাব দেখেছি – জীবন পরিবর্তিত হয়েছে, সম্প্রদায়গুলি উন্নীত হয়েছে এবং আশা পুনর্জন্ম হয়েছে। এখন, ইউনূস আবারও তার দেশের আহ্বানে সাড়া দিয়েছেন। বাংলাদেশকে নিপীড়নের ছায়া থেকে মুক্ত করার সময়, তিনি মানবাধিকার পুনরুদ্ধার করছেন, জবাবদিহিতা দাবি করছেন এবং একটি ন্যায়সঙ্গত ও মুক্ত সমাজের ভিত্তি স্থাপন করছেন।” তার সক্ষমতার এ নমুনা বাংলাদেশের জন্য আর্শীবাদ।
লেখক ঃ সাংবাদিক ও কলামিস্ট


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category