রাশিয়ার নভোরোসিস্ক বন্দরে দুই দিন বন্ধ থাকার পর পুনরায় তেল রপ্তানি শুরু হয়েছে। এতে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) ব্রেন্ট ক্রুড প্রতি ব্যারেল ৫৩ সেন্ট কমে ৬৩ দশমিক ৮৬ ডলারে এবং যুক্তরাষ্ট্রের ডব্লিউটিআই প্রতি ব্যারেল ৫৬ সেন্ট কমে ৫৯ দশমিক ৫৩ ডলারে পৌঁছেছে।
গত সপ্তাহে নভোরোসিস্ক এবং ক্যাসপিয়ান পাইপলাইন কনসোর্টিয়াম টার্মিনালে রপ্তানি বন্ধ থাকায় দাম কিছুটা বেড়েছিল। তবে ইউক্রেনের হামলার কারণে রাশিয়ার জ্বালানি তেল অবকাঠামোর ওপর ঝুঁকি এখনও রয়ে গেছে।
সম্প্রতি রিয়াজান ও নভোকুইবিসেভস্ক জ্বালানি তেল পরিশোধনাগারে হামলার খবর পাওয়া গেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ওপেক প্লাস উৎপাদন বৃদ্ধির কারণে দাম প্রতি ব্যারেলের মধ্যে ৬০-৬৫ ডলারের সীমায় ওঠানামা করতে পারে। বিনিয়োগকারীরা সরবরাহ ঝুঁকি এবং পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার প্রভাবও খতিয়ে দেখছেন। যুক্তরাষ্ট্রে জ্বালানি তেল খননযন্ত্রের সংখ্যা বেড়ে ৪১৭ হয়েছে।
সর্বোপরি, বাজারে জ্বালানি তেলের সরবরাহ যথেষ্ট থাকলেও ইউক্রেন ও ইরানের কর্মকাণ্ড এবং নিষেধাজ্ঞার প্রভাব ভবিষ্যতের দামকে প্রভাবিত করতে পারে।
বিনিয়োগকারীরা পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার সরবরাহ ও বাণিজ্যপ্রবাহে কী প্রভাব ফেলছে, সেটিও নজরে রাখছেন। যুক্তরাষ্ট্র ২১ নভেম্বরের পর রুশ কোম্পানি লুকঅয়েলের সঙ্গে যেকোনো ধরনের চুক্তি নিষিদ্ধ করে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধের শান্তি আলোচনায় মস্কোকে চাপ দিতে এমন পদক্ষেপ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।