রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (রাকসু) নির্বাচন ঘিরে জমে ওঠা আমেজ মুখ থুবড়ে পড়েছে পোষ্য কোটা ইস্যুতে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি আর উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে হারিয়ে গেছে নির্বাচনী উচ্ছ্বাস।
প্রায় তিন যুগ পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে রাকসু নির্বাচন। ২৮ জুলাই তফসিল ঘোষণার পর থেকে নানা জটিলতা পেরিয়ে ১৪ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হয়। প্রায় ৩০ হাজার শিক্ষার্থীর ভোটে অংশ নেওয়ার কথা ৯শ’র বেশি প্রার্থীর। প্রার্থীদের লিফলেট, মিছিল-মিটিংয়ে ক্যাম্পাসে তৈরি হয়েছিল উৎসবমুখর পরিবেশ।
কিন্তু গেল সপ্তাহে শিক্ষকদের প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা আদায়ের আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পোষ্য কোটা পুনর্বহালের বিরোধিতা শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এক পর্যায়ে অনশন, বিক্ষোভ আর ধস্তাধস্তির ঘটনায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। শনিবার রাতে উপাচার্যের ঘোষণা অনুযায়ী পোষ্য কোটা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয় সিন্ডিকেট, কিন্তু শিক্ষার্থীরা তা প্রত্যাখ্যান করে পুরোপুরি বাতিলের দাবি জানায়।
এদিকে আন্দোলনের কারণে গেল দু’দিন ধরে ক্যাম্পাসে আর দেখা যায়নি নির্বাচনী প্রচারণার রঙিন আমেজ। শিক্ষার্থীরা পূজার ছুটিতে হলে ফিরছেন, আর প্রার্থীরাও ভোটে আগ্রহ হারাচ্ছেন ধীরে ধীরে।
কমিশন অবশ্য বলছে, নির্বাচনের ৮০ শতাংশ প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। তাদের দাবি, সুষ্ঠুভাবে ভোট আয়োজনের জন্য প্রস্তুত তারা। কিন্তু কোটা ইস্যু ও শিক্ষকদের শাটডাউনের হুমকিতে সংশয় কাটছে না প্রার্থীদের মনে।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, দীর্ঘ সময় পর গণতান্ত্রিক চর্চার যে সুযোগ তৈরি হয়েছিল রাকসু নির্বাচনকে ঘিরে, তা এখন স্থবির হয়ে পড়েছে। ফলে অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।