• বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৩০ পূর্বাহ্ন

লন্ডন বৈঠক: স্বস্তির মাঝে বৈপরীত্য

Reporter Name / ৬১ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই, ২০২৫

– রিন্টু আনোয়ার

আলোচিত লন্ডন বৈঠকে স্বস্তি আসতে না আসতেই ফের অস্বস্তি-বিভ্রান্তির বাতাস। বেশ জটিলতাও। লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকটি বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভিন্ন মাত্রার যোগ করেছে। কারো কারো ভাষায় ঐতিহাসিক। নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়, সংস্কার, বিচার, সনদ ইত্যাদি নিয়ে দেখা দেওয়া ঊষ্ণতা অনেকটা থেমে যায় বৈঠকটির জেরে। কিন্তু, দিন কয়েকের মাঝেই স্বস্তির ছন্দপতন জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের শরীকদের মাঝে। বিশেষ করে ছাত্রদের গড়া দল এনসিপি, জামায়াতে ইসলামীর প্রতিক্রিয়া বিএনপির সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের বোঝাপড়ার সম্পূর্ণ বিপরীতে।
বিএনপি সাম্প্রতিক সময়ে ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচনের জন্য শক্ত অবস্থান প্রকাশ করে আসছিলো। তারেক-ইউনূস বৈঠকের পর যে যৌথ বিবৃতি দেয়া হয়েছে, সেখানেও শুধু নির্বাচন প্রসঙ্গই গুরুত্ব পেয়েছে। এরপরও লন্ডন বৈঠক বাংলাদেশের রাজনীতিকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে। অধ্যাপক ইউনূস এবং তারেক রহমানের বডি ল্যাঙ্গুয়েজে পরস্পরের প্রতি সম্মানের দিক ছিল। জামায়াতে ইসলামী দল ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন চেয়েছিল। এখন সরকারও এতে রাজি হয়েছে। কার মাধ্যমে হয়েছে, সেটা বড় কথা নয়। আর বিএনপি ডিসেম্বরে নির্বাচন চাইলেও সেখানে তো তারা ছাড় দিয়েছে। বিএনপি গত ৮/৯ মাস তাদের উপযুক্ত সম্মান পায়নি বলে অভিযোগ আছে। ফলে দলটির অবস্থা বিবেচনায় তাদের যথাযথ সম্মান তারা পেতে পারে। সেই সম্মান পাওয়ায় রাজনীতিতে স্বস্তি ফিরেছে। কিন্তু, মাঠের চিত্র বলছে, বৈঠকটির পর আপাতদৃষ্টিতে ‘নির্বাচন কেন্দ্রিক সংকট উত্তরণ’ করা গেছে মনে হলেও সত্যিকার অর্থেই সে সংকট কতটা দূর হয়েছে তা নিয়ে আলোচনা চলছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কারও কারও ধারণা, প্রকৃত অর্থে রাজনৈতিক জটিলতা এখনো কাটেনি, বরং সামনের সময়টায় ‘রাজনৈতিক মেরুকরণ আরও জটিল’ হয়ে উঠতে পারে।
এদিকে ইসি সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালার সংশোধনী, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র স্থাপন এবং ব্যবস্থাপনা নীতিমালা, নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালা এবং নির্বাচনী সংবাদ সংগ্রহে দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংবাদিক/গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য নীতিমালার সংশোধনী ওয়েবসাইটে প্রকাশের ব্যবস্থার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি। দ্রুত সময়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রধান আইন আরপিও সংশোধনীর মাধ্যমে নির্বাচন বন্ধে নির্বাচন কমিশন এবং প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের ক্ষমতা পুনর্বহালের উদ্যোগ নিতে ইসি সচিবালয়কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধন এবং সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ কাজও দ্রুত এগিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসি। যারা জাতীয় নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবেন, তাদের প্রশিক্ষণের কর্মপরিকল্পনা ইসিতে উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে। আসন্ন সংসদ নির্বাচনের ম্যানুয়াল তৈরির জন্যও প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসি। মূলত লন্ডন বৈঠকের পরেই জাতীয় নির্বাচনের হাওয়া বইছে ইসিতে।
এ স্বস্তির মাঝে কোন কোন রাজনৈতিক দলের  বৈপরীত্য কেবলই ভোটের রাজনীতি নিয়ে তাদের নিজস্ব এজেন্ডার কারণে? না-কি নেপথ্যে আরো কিছু রয়েছে-তা এখনো পরিস্কার নয়।  আবার বিএনপির নিজের ঘরেও কিছু কানাঘুষা ও দলীয় বোঝাপড়ার ঘাটতির আলামত ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। একদিকে, লন্ডন বৈঠকে বেশ স্বস্তির আভাস; আরেকদিকে, ঢাকা  দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ইশরাক হোসেনের সমর্থকদের আন্দোলনে মিশ্র ক্রিয়া-বিক্রিয়া। রাজনৈতিক নয়া বিতর্কে সামনে এসেছে ১৩ ফেব্রুয়ারি লন্ডন বৈঠক শেষে এক যৌথ বিবৃতিটি। যেখানে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টার কাছে তারেক রহমান আগামী বছরের রমজানের আগে নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রস্তাব করেছেন। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াও মনে করেন ওই সময় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে ভালো হয়। প্রধান উপদেষ্টা জানান, তিনি আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়ে থাকলেও রমজান শুরুর আগের সপ্তাহেও নির্বাচন করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে সেই সময়ের মধ্যে সংস্কার ও বিচারের বিষয়ে পর্যাপ্ত অগ্রগতি অর্জন করা প্রয়োজন হবে। তারেক রহমান প্রধান উপদেষ্টার এই অবস্থানকে স্বাগত জানান এবং দলের পক্ষ থেকে তাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। প্রধান উপদেষ্টাও তারেক রহমানকে ফলপ্রসূ আলোচনার জন্য ধন্যবাদ জানান।
বিবৃতির শব্দ-বাক্যসহ তথ্য বেশ সাবলীল। কিন্তু, এর মাঝে বিস্তর ফের অনুভব করেছে জামায়াত-এনসিপি। বাম ঘরানার দুয়েকটি দল থেকেও একটু বাঁকা কথা এসেছে। যোগ হয়েছে নতুন কথাও। বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল ফেব্রুয়ারিতে চাইলেও সাদা চোখে ওই সময়ে নির্বাচনে তেমন বাধা দৃম্যমান নয়। তারপরও যদি-কিন্তু, তবে যোগ করে জটিলতার শেষ নেই। তা করতে গিয়ে ক্ষেত্রবিশেষে পরস্পরের শক্ত প্রতিপক্ষ বা জাত শত্রুর মতো হয়ে পড়ছে কয়েকটি দল। যার যোগফলে দাঁড়াচ্ছে, নির্বাচনী ফয়সালা এখনো হয়নি। তারওপর অনেক চ্যালেঞ্জও ঘুরছে। সামনের দিনগুলোতে তা কোন মাত্রায় পৌঁছে তা দেখার অপেক্ষা না করে পারা যাচ্ছে না। এ থেকে উত্তরণের রাস্তা হচ্ছে ৫ আগস্টকে ঘিরে গড়ে ওঠা জাতীয় ঐক্যের পুণর্গঠন। কিন্তু, সেখানে সুক্ষ-সুক্ষ বেশ  গোলমাল। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে বোঝাপড়াও মন্দ নয়। ফের বাধছে বিভিন্ন দল ও নেতার প্রকাশ ভঙ্গির কারণে। সর্বশেষ  বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য, রাষ্ট্রের মূলনীতি এবং নির্বাচনী এলাকা নির্ধারণ নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছালেই জুলাই মাসে জুলাই সনদ করা সম্ভব- জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি ড. আলী রীয়াজ।
আর বিদ্যমান পদ্ধতিতেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন সম্ভব বলে বিএনপি মনে করে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী পরপর দুই মেয়াদের বেশি নির্বাচিত হতে পারবে না- এতে অন্যান্য সব দল একমত হলেও বিএনপি বলছে, দুইবারের পর এক মেয়াদ বিরতি দিয়ে আবার নির্বাচন করতে পারবেন। তবে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতায় ভারসাম্য আনতে একমত বেশিরভাগ দল। এছাড়া দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্টের বিষয়ে সব দল একমত হয়েছে ঐকমত্য কমিশন জানিয়েছে। এসব বোঝাপড়াও তো কম নয়। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে বৈঠকে বসে ২৯টি রাজনৈতিক দল।  ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ। জানান, সংস্কার কমিশনের সংলাপের পরই প্রকাশিত হবে জালাই ঘোষণা পত্র। বৈঠক শেষে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা জানান, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার ভারসাম্য আনতে একমত বেশিরভাগ দল। আগের পদ্ধতিতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিষয়ে ঐকমত্যে পৌছাতে পারবে বলে রাজনৈতিক দলগুলো আশাবাদী। সংলাপে অংশ নেয়া নেতারা আরো জানান, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে বিদ্যমান অবস্থা পরিবর্তনে প্রায় সবাই একমত। ইলেক্টোরাল কলেজ, পার্লামেন্টের উচ্চ ও নিম্ন কক্ষ, জেলা পর্যায়ে এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে গোপন ব্যালটে ভোট দেয়ার ব্যাপারেও মতৈক্য হয়েছে বেশিরভাগ দলের। দুই একটি দলের আলোচনা বা প্রস্তাবে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন কেউ কেউ। সংলাপে স্বৈরাচারের দোসরদের অংশ নেয়ার অভিযোগ তুলে আপত্তিও জানিয়েছে কোন কোন দল।
সবকিছুতে সব দল একমত হয়ে যাবে-তা আশা করা যায় না। সবাই সব কিছুতে একমত হয়ে যাওয়াও বাংলাদেশের বাস্তবতায় আরেক কুলক্ষণ। সেটি একদলীয়  প্রবণতা। তাই মৌলিক কিছু বিষয়ে একমত হওয়াই যথেষ্ট। মতের ভিন্নতার মধ্য দিয়ে একমতে আসা বেশি গণতান্ত্রিক। নির্বাচনের আগে সংস্কার ও বিচার-এই দুইটা হওয়ার কথা সবাই বলছে। কিন্তু সংস্কারে মন্থরগতি দেখা যাচ্ছে।  প্রধান উপদেষ্টা এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের মধ্যে বৈঠকের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের গতিও মন্থর। লন্ডনে বৈঠকের পর যেভাবে যৌথ বিবৃতি এসেছে, সেটা আমাদের রাজনীতিতে নতুন। সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক দলের সৌহার্দপূর্ণ আলোচনাও নতুন। এ কারণে কিছুটা প্রতিক্রিয়া থাকা দোষের নয়। এতে বোঝাপড়া বরবাদ হয়ে গেছে এমনও নয়। কাঙ্খিত বোঝাপড়া ঠিক থাকলে ফেব্রুয়ারি, মার্চ, এপ্রিল, শীত-গরম বড় বিষয় বা সমস্যা হবে না। তবে,বিএনপির এক সিনিয়র নেতা বলেছেন, ‘সরকার যদি নির্বাচন নিয়ে তাদের কথা না রাখে তাহলে আরও শক্তিশালী আন্দোলন করার জন্য আমাদের হাতে যথেষ্ট সময় থাকবে। আপাতত আমরা ইতিবাচক অবস্থান বজায় রাখতে চাই এবং নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে চাই।’
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনায় যোগ দিয়ে সরকার ও বিএনপির যৌথ সংবাদ সম্মেলনের কঠোর সমালোচনা করা হয়েছে জামায়াতে ইসলামী থেকে। তাদের কাছে মনে হয়েছে, এটি অস্বস্তিমূলক।অন্যদিকে, নতুন দল এনসিপি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘জুলাই সনদ’ কার্যকর করা ও বিচারের রোডম্যাপ ঘোষণার পরই নির্বাচন-সংক্রান্ত আলোচনা চূড়ান্ত হওয়া উচিত। বাংলাদেশের রাজনীতির বড় সমস্যা বোঝাপড়ায় আর ভাষায়। কখনো কখনো দেশত্মবোধে। প্রাতিষ্ঠানিক শূন্যতাও ব্যাপক। সার্বিক প্রতিনিধিত্ব, কার্যকর আইন প্রণয়ন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্র গঠনের সদিচ্ছা থাকলে দেশীয় রাজনৈতিক বাস্তবতায় ফয়সালা কঠিন নয়। কারণ, এখানকার দলগুলোর মধ্যে নীতি বা আদর্শগত অমিল কম। এ বাস্তবতায় সাংবিধানিক পরিবর্তন হঠাৎ করেই ঘটানো যায় না। বিপ্লব এখানে শুনতে ভালো। স্লোগানে মানায়, বাস্তবতায় নয়। তাই পদক্ষেপ নিতে হবে সুপরিকল্পিতভাবে দেশের স্বকীয় উপযুক্ততায়। তা টেকসই করতে হলে যে দলই ক্ষমতায় আসুক বা যাক সেই সরকারেরই জবাবদিহি বাড়াতে হবে। তা সংসদের এক কক্ষে হোক, আর দুই কক্ষেই হোক।
ঘটনাচক্রে বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল যে শক্তিশালী স্থানীয় সরকার ও দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ প্রতিষ্ঠায় সায় দিয়েছে এটিও কম ঘটনা নয়। এর মাঝেও সন্দেহ থাকবে। অনাস্থাও থাকবে। আবার নূন্যতম বিষয়ে ঐকমত্যও হবে। স্বস্তি আর অস্বস্তির মাঝে যেমনটি যোগ হয়েছে ঢাকা দক্ষিণে ইশরাক হোসেনকে নিয়ে। ক্রমেই এটি মোটাদাগের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। নির্বাচন ছাড়াও সরকারের তিন উপদেষ্টাদের পদত্যাগ ও দলীয় নেতা ইশরাক হোসেনের মেয়র হিসেবে শপথের দাবিতে সরকারকে বিএনপি ছাড় দিলো কী-না কিংবা এ দুটি বিষয়ে দলটির অবস্থান এখন কী হবে তা নিয়ে ফুসফাস আলোচনা হচ্ছে সমমনাদের মধ্যে। এর মাঝেই যার দিকে ইশরাক হোসেনের তীর সেই উপদেষ্টা আসিফ জানিয়েছেন, শিগগিরই একটা ফয়সালা আসবে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ইস্যুতে উচ্চপর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত সমাধান হবে বলে জানিয়েছেন এই স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা। ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি বলেছেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে নাগরিক সেবা যেভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে, তাতে এখন আর বসে থাকার সুযোগ নেই। এ বিষয়ে খুব দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে। কী হতে পারে ব্যবস্থাটি? মানুষ উভয়পক্ষের ওপরই ত্যক্ত-বিরক্ত। খেল-তামাশার পর্যায়ে চলে গেছে বিষয়টি। এর দ্রুত অবসান কাম্য। এমতাবস্থায় অন্তর্বর্তী সরকার কোন প্রকার ঝুঁকি নেবে কিনা, তা সরকারকেই ভেবে দেখতে হবে।

….
লেখক ঃ সাংবাদিক ও কলামিস্ট।
rintu108@gmail.com


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category