• সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:১৩ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
জাতিসংঘের বৈশ্বিক এআই উপদেষ্টা পরিষদ গঠন বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার ম্যাচ কবে, কখন, কোথায় নুরের ওপর হামলা: পুলিশের ভূমিকা তদন্তে কমিটি করছে ডিএমপি সংস্কার না হলে নূরের পরিণতি আমাদের জন্যও অপেক্ষা করছে: হাসনাত ফিলিস্তিনি নেতাদের জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগদান আটকে দিলো যুক্তরাষ্ট্র প্রয়োজনে চিকিৎসার জন্য রাষ্ট্রীয় খরচে নুরকে বিদেশে পাঠানো হবে আট উপদেষ্টা দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে ভজঘট অথবা, আট উপদেষ্টা দুর্নীতির বিষয়টি থেকে গেল নিস্পত্তিহীন। ডাকসুতে সংসদ নির্বাচনের রিহার্সাল না অন্য কিছু অথবা দাবি আদায়ের নামে জনদুর্ভোগ। ‘মব ভায়োলেন্স’ থামাতে বলপ্রয়োগে বাধ্য হয় সেনাবাহিনী: আইএসপিআর এবার আটা-ময়দা-ডালের দামও বাড়লো

অ্যান্টার্কটিকার বরফ দ্রুত গলতেছে

Reporter Name / ৩২৯ Time View
Update : রবিবার, ২ এপ্রিল, ২০২৩

বৈশ্বিক উষ্ণতা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। আর তাই দ্রুত গলছে অ্যান্টার্কটিকার বরফ। যদিও এই তথ্য একেবারেই নতুন নয়। নতুন যা, তা হলো এই বরফ বিশ্বের সমুদ্রের মধ্য দিয়ে গিয়ে মহাসাগরের তলদেশে জলের প্রবাহকে ধীর করে দিচ্ছে। ফলে সরাসরি বিশ্ব জলবায়ুর ওপর প্রভাব পড়ছে।

শুধুই তাই নয়, সেই সঙ্গে সামুদ্রিক খাদ্য-শৃঙ্খল ও হিমবাহের বরফের ওপরও বিধ্বংসী প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন গবেষকরা। অর্থাৎ বরফ দ্রুত গলে যাওয়ার কারণে অ্যান্টার্কটিকা থেকে মহাসাগরগুলোর গভীরে যে জলের প্রবাহ রয়েছে, তা ২০৫০ সাল নাগাদ ৪০ শতাংশ কমে যেতে পারে। অ্যান্টার্কটিকা থেকে ২৫০ ট্রিলিয়ন টনের মতো ঠান্ডা এবং অক্সিজেন সমৃদ্ধ জলের প্রবাহ ভারত মহাসাগর, প্রশান্ত মহাসাগর ও আটলান্টিক সাগরের দিকে প্রবাহিত হয়।

বর্তমানে আন্টার্কটিকার তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও হিমবাহ গলে যাওয়ার কারণে এই অক্সিজেন সমৃদ্ধ জলের স্রোতের পরিমাণ কমে যাচ্ছে। ওই জলের প্রবাহ অন্য সাগর-মহাসাগর অবধি পৌঁছাতে পারছে না।

নেচার জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, ২০৫০ সালের মধ্যে অ্যান্টার্কটিকা থেকে নির্গত বরফ গলা জলের জন্য গভীর সমুদ্রের জলের প্রবাহ ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে। গবেষণায় সতর্ক করা হয়েছে যে, এর প্রভাব আগামী শতাব্দী অবধি থাকতে পারে।

মহাসাগরের তলদেশে তুলনামূলক ঘন জলের এই প্রবাহ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে সাগরের তাপমাত্রা ধরে রাখতে সহায়তা করে। পাশাপাশি সামুদ্রিক প্রাণীদের কাছে কার্বন, অক্সিজেন ও প্রধান পুষ্টি উপাদানগুলি পৌঁছে দেয়। জলের প্রবাহ কমে গেলে সেই ক্ষেত্রে বড় বাধা আসবে।

গবেষণার ফলাফলে আশঙ্কা প্রকাশ করে অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অফ নিউ সাউথ ওয়েলসের অধ্যাপক ম্যাথিউ ইংল্যান্ড বলেন, ‘এভাবে চলতে থাকলে গোটা বিশ্ব ভয়াবহ বিপদের সম্মুখীন হবে। বিশ্ব উষ্ণায়ণ ও তার জেরে জলবায়ু বদলের কারণে সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রে বড় প্রভাব পড়বে। জলের তাপমাত্রা বাড়বে ও সামুদ্রিক প্রাণী বিলুপ্তির দিকে এগিয়ে যাবে।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category