• শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:৪৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
জাতিসংঘের বৈশ্বিক এআই উপদেষ্টা পরিষদ গঠন বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার ম্যাচ কবে, কখন, কোথায় নুরের ওপর হামলা: পুলিশের ভূমিকা তদন্তে কমিটি করছে ডিএমপি সংস্কার না হলে নূরের পরিণতি আমাদের জন্যও অপেক্ষা করছে: হাসনাত ফিলিস্তিনি নেতাদের জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগদান আটকে দিলো যুক্তরাষ্ট্র প্রয়োজনে চিকিৎসার জন্য রাষ্ট্রীয় খরচে নুরকে বিদেশে পাঠানো হবে আট উপদেষ্টা দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে ভজঘট অথবা, আট উপদেষ্টা দুর্নীতির বিষয়টি থেকে গেল নিস্পত্তিহীন। ডাকসুতে সংসদ নির্বাচনের রিহার্সাল না অন্য কিছু অথবা দাবি আদায়ের নামে জনদুর্ভোগ। ‘মব ভায়োলেন্স’ থামাতে বলপ্রয়োগে বাধ্য হয় সেনাবাহিনী: আইএসপিআর এবার আটা-ময়দা-ডালের দামও বাড়লো

আজ কবিগুরুর বিদায়ের দিন

Reporter Name / ২৮১ Time View
Update : রবিবার, ৬ আগস্ট, ২০২৩

আজ ২২ শ্রাবণ। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিদায়ের দিন। ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের ২২ শ্রাবণ কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে বাংলা সাহিত্য ও কাব্যগীতির এই শ্রেষ্ঠ রূপকার পরলোকগমন করেন। ৮০ বছর বয়সে তার এ মৃত্যু দেহান্তর মাত্র। কারণ তার কাজের মধ্য দিয়ে তিনি আজও বিরাজমান।

বাঙালির জীবনে উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে আছেন সবসময়। তার বাণী ও সুর অমিয় এক সুধা হয়ে ধরা দেয় জীবনের নানা বাঁকে। তারই লেখা গান আমাদের জাতীয় সংগীত।

মৃত্যুর মধ্য দিয়ে যে মানবজীবনের পথচলার সমাপ্তি তাকে বরণ করে নিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি তার ‘মৃত্যুঞ্জয়’ কবিতায় লিখেছেন, ‘যত বড়ো হও,/তুমি তো মৃত্যুর চেয়ে বড়ো নও/আমি মৃত্যুর চেয়ে বড়ো এই শেষ কথা বলে/যাব আমি চলে।’

আরেক জায়গায় তিনি লিখেছেন, ‘মৃত্যু দিয়ে যে প্রাণের মূল্য দিতে হয়/সে প্রাণ অমৃতলোকে/মৃত্যু করে জয়।’ নিজের কথার মতোই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার সৃষ্টির মধ্য দিয়ে বাঙালির মণিকোঠায় ঠাঁই করে নিয়েছেন। তিনি আজও বাঙালির মানস গঠনে, চেতনার উন্মেষের প্রধান অবলম্বন।

‘গীতাঞ্জলি’ কাব্যগ্রন্থের মাধ্যমে তিনি প্রথম এশীয় হিসাবে ১৯১৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। দেশজ শিক্ষাব্যবস্থা বিকাশের লক্ষ্যে তিনি গড়ে তোলেন শান্তি নিকেতন ও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। গ্রামীণ সমাজের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে কৃষির উন্নয়নে নানা উদ্যোগ নিয়েছিলেন তিনি। বাংলায় আলু, ভুট্টা ইত্যাদি চাষের সূচনা ঘটে তারই উদ্যোগে।

দরিদ্র কৃষককে ঋণ দেওয়ার লক্ষ্যে নোবেল পুরস্কারের অর্থে কৃষি ব্যাংকের কাজ শুরু করেন। বঙ্গভঙ্গ রদ করার দাবিতে হিন্দু-মুসলমানদের নিয়ে রাখিবন্ধন কর্মসূচিতে রাজপথে নেমে আসেন।

১৯১৫ সালে ব্রিটিশ সরকার তাকে ‘নাইট’ উপাধি দিলেও ১৯১৯ সালে পাঞ্জাবের জালিয়ানওয়ালাবাগে ব্রিটিশ বাহিনীর নির্মম হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। যে কোনো ক্রান্তিকালে তার গান, কবিতা, উপন্যাস, গল্প আমাদের ধৈর্য ধারণ করে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা দেয়।

কর্মসূচি : রবীন্দ্রপ্রয়াণ দিবসে ছায়ানটের আয়োজনে ‘আঘাত করে নিলে জিনে’ শীর্ষক আয়োজন থাকছে। আজ ছায়ানট মিলনায়তনে সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হবে এ আয়োজন। অনুষ্ঠান সবার জন্য উন্মুক্ত। অনুষ্ঠানটি ছায়ানটের ফেসবুক পেজে সরাসরি অনলাইনে দেখা যাবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category