• শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:৪৭ অপরাহ্ন

আফ্রিকায় চোখ রাঙাচ্ছে নতুন প্রাণঘাতী ছোঁয়াচে ভাইরাস

Reporter Name / ২৫ Time View
Update : শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫

ইথিওপিয়া প্রথমবারের মতো মারবুর্গ ভাইরাস রোগের প্রাদুর্ভাব নিশ্চিত করেছে। দেশের দক্ষিণে মোট ৯টি রোগী শনাক্ত হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা – ডব্লিউএইচও’র মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রেসাস শুক্রবার বলেন, ইথিওপিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং অন্যান্য সংস্থার দ্রুত পদক্ষেপ খুবই প্রশংসনীয়। তিনি বলেন, ‘এই দ্রুত পদক্ষেপ দেখায় যে দেশটি খুব গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করছে এবং অল্প সময়ের মধ্যে প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে আনতে চায়।’

এর এক দিন আগে ডব্লিউএইচও জানায় যে ইথিওপিয়ার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা ভাইরাল হেমোরেজিক জ্বরের সন্দেহে কয়েকটি ঘটনা তদন্ত করছিলেন। পরে নিশ্চিত করা হয় যে এটি মারবুর্গ ভাইরাস। এই ভাইরাস ইবোলা পরিবারের ফিলোভিরিডি নামের গ্রুপের সদস্য। বিশেষজ্ঞরা বলেন যে এটি ইবোলার চেয়েও বেশি গুরুতর।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা সিডিসি জানায় যে মারবুর্গ একটি ‘দুর্লভ কিন্তু মারাত্মক’ হেমোরেজিক জ্বর। এটি অনেক সময় প্রাণঘাতী হয়। ভাইরাসটি প্রথম আসে মিশরের ফলখেকো বাদুড় থেকে। একজন আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরের তরল বা সেই তরলে দূষিত বস্তু, যেমন জামাকাপড় বা বিছানার চাদর ছুঁলেই এটি ছড়াতে পারে।

রোগের উপসর্গের মধ্যে জ্বর, চামড়ায় র‍্যাশ এবং তীব্র রক্তক্ষরণ দেখা যায়। সিডিসি জানায় যে মারবুর্গের কোনো নির্দিষ্ট ওষুধ বা টিকা নেই। চিকিৎসা সীমিত সহায়তামূলক পরিচর্যা, বিশ্রাম এবং শরীরে পানি ধরে রাখার ওপর নির্ভর করে।

ইথিওপিয়ার ওমো অঞ্চলে এই প্রাদুর্ভাব হয়। এলাকা দক্ষিণ সুদানের কাছে হওয়ায় উদ্বেগ বেড়েছে। আফ্রিকা সিডিসি’র মহাপরিচালক জ্যাঁ কাসেয়া বলেন, ‘দক্ষিণ সুদান খুব দূরে নয় এবং তাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা দুর্বল।’ তাই ঝুঁকি বাড়তে পারে।

সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে আফ্রিকার আর কোনো দেশে মারবুর্গের ঘটনা পাওয়া যায়নি। ডব্লিউএইচও প্রধান টেড্রোস বলেন, জাতিসংঘ সংস্থা ‘ইথিওপিয়াকে সক্রিয়ভাবে সহায়তা করছে। আমরা আক্রান্তদের চিকিৎসায় সহায়তা করছি এবং সীমান্ত এলাকায় সম্ভাব্য ছড়ানোর ঝুঁকি কমাতে কাজ করছি।’

ইথিওপিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায় যে আক্রান্তরা কোয়ারেন্টাইনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। যাদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে তাদের শনাক্ত করার কাজ চলছে। পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে সচেতনতা বাড়ানো হচ্ছে এবং ব্যাপক স্ক্রিনিং চালানো হচ্ছে। মন্ত্রণালয় মানুষকে শান্ত থাকতে, স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের নির্দেশনা মানতে এবং রোগের লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসা নিতে অনুরোধ করেছে।

সূত্র– আল জাজিরা


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category