সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইহুদি-বিরোধী পোস্টকারীদের ভিসা বা বসবাসের অনুমতি প্রত্যাখান করবে ট্রাম্প প্রশাসন। স্থানীয় সময় বুধবার (৯ এপ্রিল) এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন অভিবাসন কর্তৃপক্ষ। খবর দ্য নিউজের।
অভিবাসন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলো খতিয়ে দেখবে এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন যেসব পোস্ট ইহুদি-বিরোধী হিসেবে বিবেচনা করবে সেসব পোস্টকারী ব্যক্তিদের ভিসা বা বসবাসের অনুমতি প্রত্যাখ্যান করবে।
ইহুদি-বিরোধী হিসেবে সংজ্ঞায়িত পোস্টগুলোতে হামাস, লেবাননের হিজবুল্লাহ এবং ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীসহ যুক্তরাষ্ট্র যেসব সংগঠনকে ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে তাদের সমর্থনে সোশ্যাল মিডিয়া কার্যকলাপ অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
ট্রাম্প প্রশাসন বিতর্কিতভাবে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিল করার পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, যেখানে সংবিধানের প্রথম সংশোধনী বাক স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দেয়।
হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি ক্রিস্টি নোয়েম বলেছেন, যারা মনে করেন যে তারা আমেরিকায় এসে ইহুদি-বিরোধী সহিংসতা এবং সন্ত্রাসবাদের পক্ষে প্রথম সংশোধনীর আড়ালে লুকিয়ে থাকতে পারেন – আবার ভাবুন। আপনাকে এখানে স্বাগত জানানো হবে না।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব ও অভিবাসন পরিষেবা কোনও বিদেশির ইহুদি-বিরোধী সন্ত্রাসবাদ, ইহুদি-বিরোধী সন্ত্রাসী সংগঠন বা অন্যান্য ইহুদি-বিরোধী কার্যকলাপের সমর্থন, প্রচার বা সমর্থনের ইঙ্গিত দেয় এমন সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টকে নেতিবাচক হিসেবে বিবেচনা করবে।’
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, নীতিটি অবিলম্বে কার্যকর হবে। এটি স্টুডেন্ট ভিসা ও যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাসকারী ‘গ্রিন কার্ড’-এর জন্য আবেদনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও গত মাসের শেষের দিকে জানান, তিনি প্রায় ৩০০ জনের ভিসা বাতিল করেছেন এবং তা প্রতিদিনিই করছেন।