• শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:১৬ পূর্বাহ্ন

গোঁফ স্পর্শ করা পানি পান করা যাবে?

Reporter Name / ৭২ Time View
Update : সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪

প্রশ্ন: পানি পান করার সময় যদি পানি গোঁফ স্পর্শ করে তাহলে সেই পানি কি পান করা হারাম হয়ে যায়?

উত্তর: রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা দাড়ি লম্বা করো, মোচ খাটো করো।’ (বোখারি: ৫৮৯৩)

এখান থেকেই হয়তো কেউ কেউ বুঝেছে, গোঁফ যদি খাটো না করা হয় আর পানি পান করতে গিয়ে গোঁফে লাগে তাহলে ওই পানি নাপাক হয়ে যাবে। এ ধারণা একেবারেই অমূলক। গোঁফ তো নাপাক কিছু নয়। গোঁফ খাটো করার নির্দেশ আর গোঁফে পানি লাগলে তা পান করা হারাম হওয়া বা নাপাক হওয়া সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়।

দুই. গোঁফ চেঁছে ফেলা এবং ছোট করে রাখা উভয়ই জায়েজ। উভয় সুরতই সুন্নতে রাসূল বলে প্রমাণিত। তাই একবার চেঁছে একবার ছোট করে উভয় সুন্নতের উপর আমল করা যায়। তবে কোনটি উত্তম এ ব্যাপারে মতবিরোধ আছে।

এক্ষেত্রে সঠিক ফায়সালা হলো, যে ব্যক্তির গোঁফ যেভাবে কেটে রাখলে সুন্দর দেখায় সেভাবে কেটে রাখা উত্তম। তবে চল্লিশ দিনের বেশি সময় গোঁফ না কাটা মাকরুহ।

যেমন, ইমাম তাবারী রহ. বলেন, সুন্নাহ উভয়টির প্রতি নির্দেশ করে। উভয়ের মাঝে কোনো বিরোধ নেই। কেননা, القص শব্দটি বোঝায়, কিছু অংশ কেটে ফেলতে হবে। আর الإحفاء শব্দটি বোঝায়, পুরাটাই ছেঁচে ফেলতে হবে। আর উভয়টাই প্রমাণিত। সুতরাং যে মত ইচ্ছা গ্রহণ করা যাবে। (তুহফাতুল আহওয়াযী ৮/৪৩)

গোঁফ নিয়ে সমাজে কিছু ভ্রান্তি রয়েছে। যেমন, কিছু মানুষের ধারণা, পানি পান করতে গিয়ে যদি গোঁফে পানি লেগে যায় তাহলে ওই পানি পান করা হারাম বা নাপাক হয়ে যায়। এটি একটি ধারণা-প্রসূত কথা, যা একেবারেই ভুল।

হাদিসে দাড়ি লম্বা করা ও মোচকে খাটো করার কথা দ্বারা পানি হারাম বা নাপাক হওয়া প্রমাণিত হয় না।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category