• সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:০৮ অপরাহ্ন

চীনের বিরুদ্ধে একজোট হচ্ছে জাপান ও অস্ট্রেলিয়া

Reporter Name / ১ Time View
Update : সোমবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫

অস্ট্রেলিয়া এবং জাপানের প্রতিরক্ষা প্রধানরা টোকিওয় এক বৈঠকে ‘কৌশলগত প্রতিরক্ষা সমন্বয়ের জন্য একটি কর্মকাঠামো’ চালুর ঘোষণা দিয়েছেন। সেখানে চীনের সামরিক তৎপরতার মুখে জাপান ও অস্ট্রেলিয়া তাদের প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সহযোগিতা আরও নিবিড় করতে রাজি হয়েছে।

রোববার জাপানের রাজধানী টোকিওয় এক বৈঠকে ‘কৌশলগত প্রতিরক্ষা সমন্বয়ের জন্য একটি কর্মকাঠামো’ চালুর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

শনিবার জাপানের ওকিনাওয়া দ্বীপের কাছে দুটি ‘বিপজ্জনক’ ঘটনায় চীনা যুদ্ধবিমানগুলো জাপানি সামরিক বিমান লক্ষ্য করে ফায়ার কন্ট্রোল রাডার তাক করেছে বলে অভিযোগ টোকিওর।

ঘটনাটি নিয়ে জাপান চীনের কাছে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদও পাঠায়। এরপরদিনই জাপান এবং অস্ট্রেলিয়া নিজেদের মধ্যে নিরাপত্তা সহযোগিতা বাড়ানোর এই উদ্যোগ নিল।

অঞ্চলটিতে চীনের সামরিক তৎপরতা নিয়ে উদ্বেগ থেকে দেশ দুটি সব ক্ষেত্রেই সহযোগিতা নিবিড় করার নতুন পথ খুঁজছে বলে জানিয়েছে জাপান টাইমস পত্রিকা।

এক দশকের বেশি সময়ের মধ্যে জাপান ও চীনের সম্পর্ক এখন তলানিতে পৌঁছেছে।

এই উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে অস্ট্রেলিয়া ও জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা বৈঠক করার পর সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, নতুন উদ্যোগের আওতায় দুইদেশের মধ্যে সার্বিকভাবে বাৎসরিক বৈঠক হবে।

জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা, সামরিক কর্মকর্তারা এবং গোয়েন্দা কর্মকর্তারা এই বৈঠক করবেন।

জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী শিনজিরো কোইজুমি বলেন, নতুন কর্মকাঠামোর আওতায় ভবিষ্যৎ প্রতিরক্ষা সহযোগিতা পরিচালিত হবে দুইপক্ষ সব পর্যায়ে সবরকম পরিস্থিতিতে একসঙ্গে আরও বেশি সমন্বিত এবং কার্যকরভাবে কাজ করতে পারে কিনা তা নিশ্চিত করতে।

তিনি আরও বলেন, নতুন এই কর্মকাঠামোয় সাইবার, মহাকাশ থেকে শুরু করে লজিস্টিকস এবং সরবরাহ-চেইন ব্যবস্থাপনা সবই সহযোগিতার ক্ষেত্র হিসাবে অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

টোকিওতে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রিচার্ড মারলেসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে কোইজুমি বলেছেন, আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে চীনের কর্মকাণ্ডে ‘দৃঢ় ও সংযমী’ প্রতিক্রিয়া দেখাবে জাপান।

সাম্প্রতিক সময়ে চীন ও জাপানের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হয়েছে তাইওয়ান নিয়ে জাপানি প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচির এক মন্তব্যকে কেন্দ্র করে।

চীন স্বশাসিত তাইওয়ানকে তার নিজের অংশ মনে করে. দ্বীপটিকে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে জুড়তে প্রয়োজনে বল প্রয়োগের হুমকিও দিয়ে রেখেছে তারা।

তাইওয়ানের বিরুদ্ধে চীনের সামরিক বাহিনীর কর্মকাণ্ড জাপানের নিরাপত্তায় হুমকি সৃষ্টি করলে টোকিও প্রতিক্রিয়া দেখাবে বলে হুমকি দিয়েছিলেন তাকাইচি। এরপর থেকেই জাপানের বিরুদ্ধে একের পর এক ব্যবস্থা নিতে শুরু করে চীন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category