প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নিউ ইয়র্ক সফরে তার একাধিক কর্মসূচি থাকলেও, প্রবাসীদের দৃষ্টি এখন একটি ইস্যুতে—ভোটাধিকার। জাতিসংঘের মঞ্চ এবং প্রবাসীদের নিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠানে এ দীর্ঘদিনের দাবি আদৌ গুরুত্ব পাবে কি না, তা নিয়েই চলছে আলোচনা।
২৬ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময় দুপুরে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দেবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। এর পরদিন, নিউইয়র্কের ম্যারিয়ট মার্কুইস হোটেলে আয়োজিত ‘গ্লোবাল বাংলাদেশি এমপাওয়ারমেন্ট’ শীর্ষক এক বিশেষ অনুষ্ঠানে তিনি প্রবাসীদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখবেন।
দীর্ঘদিন ধরেই প্রবাসীরা তাদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে আসছেন। এর আগের শেখ হাসিনার সরকার প্রবাসীদের দাবি উড়িয়ে দেয়ায় হতাশ ছিলেন তারা। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে এরই মধ্যে এসেছে আশাব্যঞ্জক বার্তা। আগস্টে নিউ ইয়র্কে এসে তথ্য উপদেষ্টাও দিয়েছিলেন আশ্বাস।
দেশের অর্থনীতিতে অন্যতম অবদান রাখা এই প্রবাসীরা এবার আর শুধু আশ্বাস শুনতে রাজি নন, তারা চাইছেন সময়-সূচিসহ সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা, যাতে তারা আগামী জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিতে পারেন।
জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে প্রবাসীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বলে একাধিকবার স্বীকার করছে অন্তর্বর্তী সরকার। আন্দোলনের সময় প্রবাসীদের অর্থনৈতিক চাপ ও সংহতিই পরিস্থিতির মোড় ঘুরিয়ে দেয়, এমনটাও মত অনেকের। প্রবাসীদের মতে, এ সরকারের আমলে তাদের ভোটাধিকার নিশ্চিত না হলে, রাজনৈতিক সরকারের সময় তা বাস্তবায়নের আশা ক্ষীণ।
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন যেমন গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক বার্তা দেয়ার জায়গা, তেমনি প্রবাসীদের নিয়ে অনুষ্ঠানটি হয়ে উঠতে পারে অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে এক বড় ধাপ। প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিয়ে এ সফরে যদি কোনো ঘোষণা আসে, সেটি হতে পারে নতুন ইতিহাসের সূচনা।