• রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ১২:১৭ পূর্বাহ্ন

শুল্ক-অশুল্ক বাধা তুলে নেওয়া হবে মার্কিন পণ্যে

Reporter Name / ৬ Time View
Update : মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৫

মার্কিন পণ্যের ওপর সব ধরনের শুল্ক ও অশুল্ক বাধা তুলে নেওয়াসংক্রান্ত চারটি প্রস্তাব তুলে ধরে ইউনাইটেড স্টেটস অব ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ (ইউএসটিআর)  অফিসকে চিঠি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

চিঠিতে দুদেশের বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনা, যুক্তরাষ্ট্র থেকে পণ্য আমদানি বাড়িয়ে বাণিজ্য সম্প্রসারণের মাধ্যমে উভয় দেশের উপকৃত হওয়ার কথা তুলে ধরা হয় চিঠিতে।

এছাড়া বিদ্যমান আইন ও বিধিবিধান সংশোধনের মাধ্যমে সংস্কারের প্রতিশ্র“তিও দেওয়া হয়েছে এতে। এসব পদক্ষেপের মাধ্যমে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি হবে। সোমবার বিকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কূটনৈতিক চ্যানেলে চিঠিটি ইএসটিআর অফিসে পাঠিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে পাওয়া গেছে এ তথ্য।

এর আগে বোরবার যুক্তরাষ্ট্রের ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ মোকাবিলায় করণীয় নির্ধারণে সরকারের নীতিনির্ধারকরা বৈঠক করেছেন। বৈঠকে ইউএসটিআর অফিসকে বাংলাদেশের প্রস্তাব তুলে ধরে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

অর্থ উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন মার্কিন পণ্যে শুল্ক ও অশুল্ক বাধার ওপর। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখন অনেক ধরনের অফিশিয়াল নিয়মনীতি করে রাখা আছে। যার কারণে মার্কিন ব্যবসায়ীরা বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন। অশুল্ক বাধাগুলো তুলে নেওয়া হবে। এটি দ্রুত আরও সহজ করা হবে।

সূত্র মতে, ইউএসটিআরকে পাঠানো চিঠির প্রস্তাবগুলো নিয়ে সোমবার কর্মকর্তারা ব্যস্ত সময় পার করেন। এটি চূড়ান্ত করে প্রধান উপদেষ্টাকে দেখানো হয়।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশ উভয়েই লাভবান হবে এমন সব পদক্ষেপ নেওয়ার কথা চিঠিতে বলা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি এবং মার্কিন পণ্যে শুল্কহার অনেক বেশি, এই যুক্তি দেখিয়ে বাংলাদেশি পণ্যে ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র।

এদিকে ট্রাম্প প্রশাসনের ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপের ইস্যু নিয়ে সোমবার বিকালে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক বাধাসহ নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রে সেনসাস ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে ৮৩৬ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে। একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা হয়েছে ২২১ কোটি ডলারের পণ্য। এ হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি ৬১৫ কোটি ডলারের।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হওয়া বাংলাদেশের প্রধান পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে তৈরি পোশাক। এটি অর্থমূল্যে ৮২ শতাংশ। অন্য পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে  হেডগিয়ার, জুতা, পালক এবং পালক দ্বারা তৈরি সামগ্রী, চামড়াজাত পণ্য, মাছ, শস্যদানা, আসবাব প্রভৃতি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category