মুন্সিগঞ্জ সদরে প্রবাস ফেরত শ্যামল ব্যাপারীর সঙ্গে আধিপত্য, জমি-জমা ও বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলছিল শাহাদাত ব্যাপারীর সঙ্গে। এ নিয়ে শ্যামলের ভাইকে মারধর করলে তিনি শাহাদতের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এতে ক্ষুব্ধ হন শাহাদাত। আত্মগোপনে থেকেই শ্যামলকে হত্যার পরিকল্পনা করেন তিনি। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী
মুন্সিগঞ্জ সদরে প্রবাস ফেরত শ্যামল ব্যাপারীর সঙ্গে আধিপত্য, জমি-জমা ও বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলছিল শাহাদাত ব্যাপারীর সঙ্গে। এ নিয়ে শ্যামলের ভাইকে মারধর করলে তিনি শাহাদতের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এতে ক্ষুব্ধ হন শাহাদাত। আত্মগোপনে থেকেই শ্যামলকে হত্যার পরিকল্পনা করেন তিনি। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ১৪ জুন রাতে সহযোগী ও ১৫-২০ জনকে সঙ্গে নিয়ে শ্যামলের বাড়ি ঘেরাও করে হামলা চালায় শাহাদাত। গুলি করে ও এলোপাতাড়িভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয় শ্যামলকে।
রাতে শ্যামল হত্যার পরিকল্পনাকারী শাহাদাত ব্যাপারীসহ জড়িত তিনজনকে মুন্সিগঞ্জ সদর এলাকা থেকে বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তারের পর এসব তথ্য জানিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন—মহিউদ্দিন ব্যাপারী (২০) ও হায়াতুন ইসলাম (৪২)। তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, গোলাবারুদ ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। তিনি বলেন, নিহত শ্যামলের ভাই বাদী হয়ে মুন্সিগঞ্জ সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। এরপর ওই ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি ও ছায়া তদন্ত করে র্যাব।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, মুন্সিগঞ্জ এলাকায় ট্রলার ঘাটের ইজারা, নদী থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন, আধিপত্য বিস্তার ও জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে নিহত শ্যামলের নিকট আত্মীয়দের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে শাহাদাতের বিরোধ চলছিল। গত ফেব্রুয়ারি মাসে শাহাদাতের পরিকল্পনায় ও উপস্থিতিতে স্থানীয় বাজারে একটি ওষুধের দোকানে শ্যামলের ভাইদের কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটে।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক বলেন, ওই ঘটনায় শ্যামল বাদী হয়ে মুন্সিগঞ্জ সদর থানায় শাহাদাত ও তাঁর ছেলে মহিউদ্দিনসহ অন্যান্য সহযোগীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলার পর গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে চলে যান শাহাদাত। আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় তিনি শ্যামলকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
রাতে সহযোগী ও ১৫-২০ জনকে সঙ্গে নিয়ে শ্যামলের বাড়ি ঘেরাও করে হামলা চালায় শাহাদাত। গুলি করে ও এলোপাতাড়িভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয় শ্যামলকে।