চলতি সপ্তাহে বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের জলসীমায় অনুপ্রবেশ করে মাছ শিকার করা ৪৮ ভারতীয় জেলেকে আটক করে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড। এ সময় ভারতীয় তিনটি মাছ ধরার ট্রলারও জব্দ করা হয়। এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশের এক শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক সময়ে পশ্চিমবঙ্গের কোথাও একসঙ্গে এত বিদেশী নাগরিক ধরা পড়েননি।
জানা গেছে, গ্রেফতারকৃতরা ভারতের বিভিন্ন জায়গায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করছিলেন বলে জানায় পুলিশ। লম্বা সময় ধরে কাজ না থাকায় বাংলাদেশে ফিরছিলেন তারা।
ভারতীয় গণমাধ্যমসূত্রের খবর, গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী সাহেবনগর এলাকায় বিএসএফের সহযোগিতা ও রানিতলা থানার টিমের বিশেষ অভিযানের পর তাদের গ্রেফতার করা হয়। দালালের সহায়তায় এরা সবাই মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় মানুষের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল। সেখানে থেকে লম্বা সময় ধরে চেন্নাই, কর্ণাটকসহ বিভিন্ন জায়গায় কাজ করছিলেন।
পুলিশের দাবি, অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের কথা গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরা স্বীকার করেছেন। তাদের কাছে বৈধ কাগজপত্র নেই।
আরও জানা গেছে, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে ২ বছর ধরে অবৈধভাবে যাতায়াত করছিলেন এই ৪১ জন। তাদের বিরুদ্ধে ১৪৪/১৪সি ফরেন অ্যাক্টে মামলা দায়ের হয়েছে বলে জানা গেছে। গ্রেফতার হওয়াদের মধ্যে ৪০ জনের বাড়ি রাজশাহী জেলায়। এক জনের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জে।