ভ্যাঙ্কুভার হোয়াইটক্যাপসকে হারিয়ে এমএলএস কাপ জিতেছে ইন্টার মায়ামি। ক্লাবটির ছোট ইতিহাসে এটি আরেকটি বড় সাফল্য। মায়ামির হয়ে এই শিরোপা জয়ের পেছনে বড় ভূমিকা ছিল অধিনায়ক লিওনেল মেসির।
ইউরোপিয়ান ফুটবলে দারুণ সফল ক্যারিয়ারের পর গত গ্রীষ্মে মেসি যোগ দেন ইন্টার মায়ামিতে। যোগ দেওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই তিনি ক্লাবকে প্রথম শিরোপা এনে দেন। সেই শিরোপা ছিল লিগস কাপ।
মেসির ক্যারিয়ারে ট্রফির সংখ্যা অনেক। তিনি লা লিগা ১০ বার, কোপা দেল রে ৭ বার, স্প্যানিশ সুপার কাপ ৮ বার, চ্যাম্পিয়নস লিগ ৪ বার, ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ ৩ বার, উয়েফা সুপার কাপ ৩ বার, লিগ ওয়ান ২ বার, কোপা আমেরিকা ২ বার, ফ্রেঞ্চ সুপার কাপ ১ বার, লিগস কাপ ১ বার, বিশ্বকাপ ১ বার, অ-২০ বিশ্বকাপ ১ বার, কনমেবল-উয়েফা কাপ অব চ্যাম্পিয়নস বা ফিনালিসিমা ১ বার, অলিম্পিক স্বর্ণপদক ১ বার, সাপোর্টার্স শিল্ড ১ বার এবং এমএলএস কাপ জিতেছেন ১ বার।
এমএলএস কাপ জয়ের পর মেসি এখন পর্যন্ত মোট ১৬টি ভিন্ন প্রতিযোগিতায় শিরোপা জিতেছেন। বার্সেলোনায় পেশাদার ফুটবলে অভিষেকের পর থেকে তিনি জিতেছেন ৪৭টি ট্রফি। ২১ বছরের ক্যারিয়ারে প্রতি মৌসুমে গড়ে দুইটিরও বেশি ট্রফি জিতেছেন এই আর্জেন্টাইন তারকা।
গেল সপ্তাহে ইস্টার্ন কনফারেন্সের শিরোপাজয়ের পর বলাবলি হচ্ছিল মেসি তার ক্যারিয়ারের ৪৭তম শিরোপা জিতে ফেলেছেন, মূল এমএলএস কাপ জিতলে পাবেন ৪৮তম শিরোপা। এই খবর অবশ্য সঠিক নয়।
ফিফার নিয়ম অনুযায়ী, মেসির ক্যারিয়ারে ইস্টার্ন কনফারেন্সের ওই ট্রফি নতুন শিরোপা হিসেবে যোগ হয়নি। কারণ এমএলএস ইস্টার্ন কনফারেন্সের এই শিরোপা ফিফা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয় না। ফিফা কেবল প্লে-অফের ইস্টার্ন চ্যাম্পিয়নকে স্বীকৃতি দেয়। পুরো লিগের একমাত্র আনুষ্ঠানিক শিরোপা হলো এমএলএস কাপ।
লিগের হিসাবে কনফারেন্স শিরোপা একটি সাফল্য হলেও মেজর ট্রফি হিসেবে গণ্য করা হয় না। সে কারণে গত রাতে এমএলএস কাপ জেতার পরই মেসির ক্যারিয়ারের আনুষ্ঠানিক শিরোপা সংখ্যা বেড়ে ৪৭ হয়েছে।