• বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১০:২১ অপরাহ্ন

দিল্লি-ওয়াশিংটনে স্বস্তি-অস্বস্তিতে ঢাকা!

Reporter Name / ৬ Time View
Update : মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২৫

– রিন্টু আনোয়ার

আশার প্রদীপ জ্বালিয়ে শেষ হলো চারদিনের বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলন। ২৬ কোটি মার্কিন ডলারের দুটি মোটাদাগের বিনিয়োগ প্রস্তাব মিলেছে সম্মেলনটিতে। আরো আছে পাইপলাইনে। তাৎক্ষণিক কত বিনিয়োগ পাওয়া গেল, তা সামিটের উদ্দেশ্য ছিল না। বরং একটি ইনভেস্টমেন্ট পাইপলাইন তৈরি করা, মানে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে সম্ভাবনা তুলে ধরা, স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের পরিচয় করে দেয়া আর একটি বিনিয়োগ পাইপ লাইন তৈরি করাই সামিটের উদ্দেশ্য। এবারের সামিটে অংশ নেয়া প্রত্যেক বিনিয়োগকারীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আগামী ১৮ থেকে ২০ মাসের মধ্যে তাদের অনেকে বিনিয়োগ করবে এমন প্রত্যাশা দেখা দিয়েছে। ঠিক এমন আশাব্যাঞ্জক একটি সম্মেলনকালে ভারতীয় স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৃতীয় দেশে পণ্য রপ্তানির জন্য বাংলাদেশকে দেয়া দীর্ঘদিনের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে ভারত।ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ্যমে ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করে বাংলাদেশের পণ্য তৃতীয় দেশে যাওয়ার জন্য ২০২০ সালের ২৯শে জুন আদেশ জারি করেছিল ভারত।ভারতের সেন্ট্রাল বোর্ড অব ইনডাইরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমস (সিবিআইসি) মঙ্গলবার সম্পূর্ণ অযোক্তিক কারণে সেই আদেশ বাতিল করে দেয়। অথচ মাত্র ক’দিন আগে, ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকের পর অপেক্ষা ছিল দু’দেশের পরিবর্তীত পরিস্থিতি দেখার। আশা করা হচ্ছিল, সম্পর্ক অবনতির পারদ কমবে। কিন্তু, দৃশ্যত ঘটলো উল্টোটা। বাংলাদেশের ট্রান্সশিফমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে ভারত। দেশটির বিমানবন্দর ও স্থল বন্দর দিয়ে তৃতীয় দেশে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা প্রত্যাহার করা হয়েছে। সঙ্গে আবার এ কথাও বলা হয়েছে, এ পদক্ষেপের কারণে নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না।
বিবেকবান যে কারো পক্ষেই বোধগম্য হবে হীনমন্যতার পরিচয় দেয়া ভারতের এই আচরণ। বুঝাই যাচ্ছে,বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্থ করাই দেশটির উদ্দেশ্য। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী ভারতের এ বেআইনি এবং অপ্রতিবেশী সুলভ আচরণ মোটাদাগে উদাহরণ হিসেবে লেখা থাকবে। যেমনটি লেখা হয়ে গেছে, সম্প্রতি শুল্ক ইস্যুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের চিঠি এবং এতে ট্রাম্পের সাড়া দেয়ার ঘটনা। চিঠিতে ৩ মাসের জন্য বাংলাদেশের ওপর আরোপিত ৩৭% শুল্ক প্রস্তাব স্থগিত রাখার আহ্বান জানিয়েছিলেন ইউনূস। এই আহ্বানে সাড়া দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এর মধ্য দিয়ে ড. ইউনূসের খ্যাতি-জ্যোতি এবং বাংলাদেশের ভূরাজনৈতিক গুরুত্ব আবারো প্রমাণিত হলো। অন্যদিকে ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলের যুক্তি হিসেবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে বলেছে, একটি বড় সময় ধরে বাংলাদেশকে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা দিতে থাকায় তাদের বিমানবন্দর ও স্থল বন্দর গুলোতে বেশ জট দেখা দিয়েছে। পরিবহন সরঞ্জাম ও অন্যান্য সুবিধা দেয়ার কারণে তাদের নিজেদের রপ্তানি বিঘ্নিত হচ্ছে। পণ্যের জট তৈরি হচ্ছে। সেই কারণে এই সুবিধা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
পরে এক ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল। বিবৃতি বা ব্যাখ্যায় যা-ই বলা হোক, রফতানি প্রশ্নে বাংলাদেশ কিন্তু একটি ধাক্কা খেয়েছে। আর ভারতও তার স্বরূপ আবার প্রকাশ করেছে। অথচ ইউনূস–মোদি বৈঠকে দু’দেশের সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করার পাশাপাশি চ্যালেঞ্জগুলোর বিষয়েও কথা হয়েছিল। বাংলাদেশের প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যের বড় বাজার আরব আমিরাত, সৌদি আরব, ভারত, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, কানাডা, ওমান ও কাতার। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ ১০০ দেশে ৩৪১ দশমিক ৭৩ মিলিয়ন ডলারের খাদ্যপণ্য রপ্তানি করেছে। আগের অর্থবছরে ছিল ৩৮৩ দশমিক ২৬ মিলিয়ন ডলার। ভারত ছাড়াও নেপাল, ভুটানসহ ১৪৫টির বেশি দেশে মসলা, জুস, মুড়ি, স্ন্যাকস ও কনফেকশনারিসহ প্রচুর খাদ্যপণ্য রপ্তানি করে। এতে ধারণা করা যায়, ভারতের একটি মহলের তা সহ্য হচ্ছিল না। বর্তমানে বিশ্ব বাণিজ্যে পোশাক খাতে ভারতের অন্যতম বড় প্রতিদ্বন্দ্বী এখন বাংলাদেশ। যা
ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে একটি বার্তা দিয়েছে। ঝানু কূটনীতিক এবং বনেদি ব্যবসায়ীদের কেউ কেউ বলছেন, ভারতের এ সিদ্ধান্তে বাংলাদেশ সাময়িক ধাক্কা খেলেও তা কেটে যাবে। গেল ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অস্বস্তিকর সম্পর্ক তৈরি হয়। এর মধ্যে প্রধান উপদেষ্টা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে বৈঠকের পরে দুইপক্ষের মধ্যে ইতিবাচকভাবে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার মতো একটি পরিবেশ তৈরি হবে বলে ধারণা করা হয়েছিলো কিন্তু ঘটলো বিপরীত। জারি হলো ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলের সার্কুলার।
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দীন বলেছেন, হঠাৎ ভারতের এভাবে ট্রান্সসিপমেন্ট বাতিলে শেষ পর্যন্ত আমাদের সমস্যা হবে না। নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সংকট কাটাতে চেষ্টা করা হবে। ভারতের ভিতর দিয়ে প্রতিবেশী ভুটান নেপাল ও মিয়ানমার পণ্য পরিবহনের ট্রান্সশিপমেন্ট হঠাৎ বাতিলে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সংকট কাটাতে চেষ্টা করতেই হবে বাংলাদেশকে। বাড়াতে হবে নিজস্ব বাণিজ্যিক সক্ষমতা। বাংলাদেশের বাণিজ্য স্থলপথে বন্ধ করতেই ভারত ট্রান্সশিপমেন্ট প্রত্যাহার করেছে। কিন্তু নৌপথে যাতে এমন কিছু যাতে না হয়, সেজন্য বাংলাদেশকে এখনই সতর্ক হতে হবে।
এদিকে, ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা ভারত প্রত্যাহারের ফলে মালদ্বীপের সাথে বাণিজ্যে কোন সমস্যা হবে না বলে এরই মধ্যে জানিয়েছেন দেশটির রাষ্ট্রদূত শাউনিন রশীদ। ভারতের এমন সিদ্ধান্তে আঞ্চলিক বাণিজ্য সম্পর্কে তেমন বড় কোন প্রভাব পড়বে না বলে মনে করেন তিনি। তিনি আরো জানান, বাংলাদেশের সাথে মালদ্বীপের বাণিজ্য অস্বাভাবিক হওয়ার সুযোগ নাই।
অর্থনৈতিকভাবে বিশ্বময় কঠিন এ সময়টাতেই ঢাকায় শেষ হলো বিনিয়োগ সম্মেলন। নতুন উদ্যোক্তাদের সহায়তা করতে ৮০০ থেকে ৯০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠনের উদ্যোগ বাংলাদেশ ব্যাংকের। স্টার্টআপ কানেক্ট অধিবেশনে দেশি-বিদেশি তরুণ ও উদ্ভাবনী উদ্যোক্তারা অংশ নেন। অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে রেকর্ড করা বক্তব্য দেন লিংকডইনের সহপ্রতিষ্ঠাতা রিড হফম্যান। ‘এম্পাওয়ারিং ইনোভেশন কানেকটিং অপরচুনিটি’ শিরোনামের এ বিনিয়োগ সম্মেলনে  বাংলাদেশ কী পেয়েছে, কী পাবে সেই হালখাতা এখনই মেলানো সম্ভব নয়। ভবিষ্যতে এ সম্মেলনের প্রাপ্তি দৃশ্যমান হবে ধীরে ধীরে। যে কোনো বিনিয়োগকারী দেশে-বিদেশে যেখানেই বিনিয়োগের চিন্তা করেন তার বিনিয়োগকৃত অর্থের নিশ্চয়তাই চাইবেন আগে। বিনিয়োগ করতে কত সময় লাগবে, বিনিয়োগের জন্য সরকারের কাছ থেকে কি রকম সহায়তা মিলবে, তা ভাবতে হয় সকল বিনিয়োগকারীদেরই। ঢাকায় এ সম্মেলনের মাধ্যমে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা এর একটি বার্তা পেয়েছেন, অথচ বিভিন্ন সরকারের সময়ে বাংলাদেশে সম্ভাব্য বিনিয়োগের আওয়াজ থাকলেও শেষ পর্যন্ত তাদের কেউ বিনিয়োগ করেছে কিনা, সেই তথ্য কেউই রাখেন না। বাংলাদেশ বিনিয়োগ কর্তৃপক্ষের কাছেও এ সংক্রান্ত সঠিক কোন তথ্য পাওয়া যায় না।
এবারের বিনিয়োগ সম্মেলন কিছুটা ভিন্ন,  অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন কোম্পানির শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে সরাসরি প্রতিশ্রুতিসহ তালিকা তৈরির কাজ হয়েছে। সে তালিকা অনুযায়ী আগামী ১৮ থেকে ২০ মাসের মধ্যে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ ও প্রতিশ্রুত সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে বিনিয়োগ করানো সম্ভব হবে। বিগত বিভিন্ন সরকারের সময়ে  বিনিয়োগ সম্মেলন হতো বিদেশে। যার ফলে বিশেষ করে আওয়ামী সরকারের সময়, দেশ থেকে দল বেধে ব্যাংকাররা যেতেন, সাথে থাকতেন কিছু দলকানা ব্যবসায়ী, আমলা ও বিশেষ কোটারির কিছু সাংবাদিকের লটবহর। সবাই মিলে মোজমাস্তিতে সরকারি টাকা খরচ করে আসতেন। কেউ কেউ থেকেও যেতেন বা পরে সুবিধা মতো সময়ে বিদেশে থেকে যাওয়ার ব্যবস্থা করতেন। এবার সম্মেলনের মাধ্যমে বিনিয়োগের বলটি বাংলাদেশেই এসেছে। সেখানেও পেছন থেকে টেনে ধরার দৃষ্টান্ত ছিল। একটা সুসংবাদ আসতে না আসতেই তা ঢেকে যাচ্ছে কোনো কুসংবাদে। খেয়াল করবার বিষয়, চার দিনব্যাপী বিনিয়োগ সম্মেলন শুরুর দিনেই তৌহিদি জনতার নামে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ওপর হামলার ন্যাক্কারজনক দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়েছে।
বিনিয়োগ সম্মেলনটি চলাকালে ৪০ টি দেশের বিনিয়োগকারীদের অবস্থানকালে এই লুটপাট। কথিত ‘তৌহিদী’ জনতার ফিলিস্তিন নিয়ে এই আন্দোলনকারীরা মোটেই তাওহীদ চর্চাকারী নয়। ইসলামপন্থী বড় বা প্রতিষ্ঠিত কনোনো দলের নেতাকর্মীও নয়। কারো নিয়োগে বা বুঝে না বুঝে এসব করে তারা কার স্বার্থ রক্ষা করছে- প্রশ্ন থেকেই গেল। বারবার এ জাতের দুর্বৃত্তরা একেকটা অকর্ম করছে আর ড. ইউনূসকে দৌড়াতে হচ্ছে দেশের মান মর্যাদা রক্ষায়। বহুজাতিক কোম্পানিগুলোতে এধরনের হামলার উস্কানিটা এসেছে সোস্যাল মিডিয়া থেকে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোনো পদক্ষেপ নেয়ার আগেই যা ঘটার ঘটিয়ে দিয়েছে তারা। আওয়াজ তোলা হয়েছে বিদেশি পণ্য বর্জনের। বর্জন আর লুটপাট মোটেই এক নয়। দোষটা চাপে মুসলমানদের ঘাড়ে। এই পুরো প্রক্রিয়াতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা কখনো ব্রিটেন বা কখনো ইসরাইল বা কখনো ভারত, চায়না, জাপান বা কখনো রাশান-ইউরোপিয়ানরা লাভবান হয়। মুসলিমরা কেবল মার খায়, বেইজ্জত হয়। খুলনায় বাটার দোকান লুট হওয়ার আগে সেখানে হাজারের বেশি লোকের সমাবেশ হয়েছে। সমাবেশ শেষে মুখে কাপড় বেধে একদল লোক ঢুকে লুট করেছে। কিন্তু, চালিয়ে দেয়া হয়েছে ‘তৌহিদি জনতা’ নামে।
বাংলাদেশকে বিনিয়োগের একটি হাব বানানোর পরিকল্পণা রয়েছে ড. ইউনূসের বিশ্ব ইমেজকে ঘিরে। বিনিয়োগ সম্মেলন প্রশ্নে এবারের আবহটা ছিল ভিন্ন। বড় মোক্ষম ও প্রাসঙ্গিক সময়ে বাংলাদেশের কোর্টে নিয়ে আসা হয় বিনিয়োগের বলটি। যখন যাবতীয় আলোচনা-পর্যালোচনার মূলে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সফরে চীন কী দিয়েছে, আরো কতো কী দেবে বাংলাদেশকে- এ প্রশ্ন নিয়ে। সেই আলোচনায় ছেদ ফেলে বিমসটেক সম্মেলন, সেখানে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বৈঠক। সেখানে আবার ছেদ-ছন্দপতন বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কারারোপের ঘটনা। সেটা কাটতে না কাটতেই ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলের সিদ্ধান্ত খুবই দু:জনক। তাই এখন থেকে বুঝতে হবে, ভারত সরকার কি অচিরেই তাদের এই সিদ্ধান্ত পরিহার করে বাংলাদেশের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ধরে রাখবেন নাকি এরপর অন্য কোন ঘটনায় আমাদেরকে চাপে রাখবেন? তা সময়ই বলে দিবে!

লেখক ঃ সাংবাদিক ও কলামিস্ট
rintu108@gmail.com


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category