-রিন্টু আনোয়ার
মন মতো কিছু না হলে প্রশ্ন করায় এখন আর ভয় থাকছে না। স্বয়ং প্রধান উপদেষ্টা আগেভাগেই এই অভয় দিয়েছেন পর পর দুবার। সাংবাদিকদের প্রথমবার বলেছেন, ভূল-ত্রুটি পেলে ধরিয়ে দিতে। পরেরবার একেবারে সাফ বলেছেন, নির্ভয়ে সরকারের সমালোচনা করতে। এর সুবাদে উপদেষ্টাদের কথা-কাজ-আচরণ সব কিছু নিয়ে মানুষ যার যার মতো কেবল প্রশ্ন নয়, সমালোচনাও করছে। কোথাও থেকে সামান্যতম বাধা আসছে না। কাউকে তুলে নিয়ে শায়েস্তা করার কোনো সংবাদও এখন পর্যন্ত মেলেনি। এ ধারাবাহিকতায় ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা নিয়ে সম্প্রতি সারাদেশে সেনা সদস্যদের কাজ নিয়ে কিছু প্রশ্ন ঘুরছে। কোনো কোনো মহল থেকে বলা হচ্ছে, এটা সিভিল আইনে কাভার করে না। সিভিল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সেনাবাহিনীকে ম্যাজেস্ট্রি পাওয়ার দেয়ায় ক্ষেপে যাবে বলে সংশয় প্রকাশও বাদ পড়েনি।
অত্যন্ত ইন্টারেস্টিং বিষয় হচ্ছে, এ ধরনের প্রশ্ন বা সংশয় প্রকাশ করায় সরকারের কেউ ক্ষেপেনি। এমন প্রশ্নকে সরকারবিরোধী বা রাষ্ট্রবিরোধী বলে ছবকও দেয়নি। এ ছাড়া প্রশ্নের অবকাশও রাখা হয়নি। অথবা প্রশ্নের আগাম জবাব দিয়েই সেনাহিনী নামানো হয়েছে।এখন থেকে সেনাবাহিনীর কমিশন্ড কর্মকর্তারা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতাপ্রাপ্ত হলেন। এখন থেকে কোনো অপরাধীকে গ্রেপ্তার কিংবা গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিতে পারবেন তারা। সরকারের জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে সেনাবাহিনীর ১৭টি কাজের এখতিয়ারের মধ্যে তা একদম পরিস্কার। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮-এর ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ এবং ১৪২ ধারা অনুযায়ী সেনাবাহিনীকে এই ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। ফৌজদারি কার্যবিধির এসব ধারা অনুযায়ী, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পাওয়ায় এখন থেকে সেনা কর্মকর্তাদের সামনে কোনো অপরাধ হলে অপরাধীদের সরাসরি গ্রেফতার করতে পারবে। দিতে পারবে জামিনও। সেখানে বলাহয়- বাংলাদেশের যে কোনো স্থানে গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকর করতে পারবেন সেনা কর্মকর্তারা। গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকর করতে পুলিশকে নির্দেশও দিতে পারবে তারা। বেআইনিভাবে আটক ব্যক্তিকে উদ্ধারের জন্য তল্লাশি করতে পারবে।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী এখন থেকে সেনা কর্মকর্তারা বেআইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করতে পারবেন। একই সাথে এটি বন্ধে বেসামরিক বাহিনীকেও ব্যবহার করতে পারবে সেনাবাহিনী। সেখানে কারণ ও ব্যাখ্যা পরিস্কার। এই অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই বিভিন্ন দাবিতে রাস্তা আটকে মিছিল সমাবেশ করতে দেখা যাচ্ছে সরকারি বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের। কাউকে ধরপাকড় বা সভা পণ্ড করতে হয়নি। রাস্তা আটকে কারো সভা পণ্ড করতে হচ্ছে না। সমাবেশ বা বায়নানামায় গোল পাকানোর পাগলামি এরইমধ্যে কমে এসেছে। সেনাবাহিনীর ১৭ ক্ষমতা বলের মধ্যে আছে স্থানীয় উপদ্রব নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন আদেশ জারি , সন্দেহভাজনকে আটক করাও।
আরো উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে, এবার সেনাবাহিনী মাঠে নামানোর কাজটি পতিত সরকারই করে গেছে। কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে ঢাকাসহ সারা দেশে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়লে গত ১৯ই জুলাই রাতে সারা দেশে কারফিউ জারি ও সেনা মোতায়েন করেছিল তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। তাদের পতনের সময়ও সেনাবাহিনী মাঠেই ছিল।কিন্তু বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের উপর নির্বিচার গুলি চালাতে সরকারের হুকুম তামিল করননি সেনাবাহিনী। ফলে সরকারের হিসাব মেলেনি। পুলিশের মতো সেনাবাহিনীকে আগ্রাসি কাজে খাটাতে পারেনি স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার। তাদেরই মোতায়েনকৃত সেই সেনাবাহিনীকে এখন দেয়া হয়েছে সেনাবাহিনীর কমিশন্ড কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা। গত দুই দশকে বাংলাদেশের সব জাতীয় নির্বাচনসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হলেও তাদের হাতে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা ছিল না। তারা বিভিন্ন কাজে মাঠ প্রশাসনকে সহায়তা করেছে। এরও আগে ২০০২ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতাসহ সেনাবাহিনী মোতায়েন করে অপারেশন ‘ক্লিনহার্ট’ নামে একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছিল। সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে পরিচালিত হওয়া ওই অভিযানে তখন নিরাপত্তা হেফাজতে থাকা অবস্থায় অন্তত ৪০ জনের মৃত্যুর খবরও গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছিল। তাদের বেশিরভাগই ছিল তৎকালীন ক্ষমতাসীন দল বিএনপির নেতাকর্মী।
নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সেনাবাহিনীকে মাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়ায় আবারও এমন কোনো পরিস্থিতি তৈরি হবে কি না সেই প্রশ্নের সাথে কিছু শঙ্কাও ঘুরছে। একবার চুন খেয়ে পরে দই দেখলেও ভয় পাওয়ার অভিজ্ঞতার জেরেই এই শঙ্কা। গত ৫ই আগস্ট ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলে তিন দিনের মাথায় আট তারিখ ক্ষমতা নেয় ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার।এর পূর্বাপরে সারাদেশে পুরোপুরি নিষ্ক্রিয় ছিল পুলিশ। সে সময় ছাত্রদের সাথে নিয়ে মাঠের পরিস্থিতি সামাল দিয়েছিল সেনাবাহিনী। বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হিসেবে পুলিশও ঠিকভাবে কাজ করতে পারছে না।
বিভিন্ন খাতের কর্মীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে। অনেক ক্ষেত্রে কর্মীরা জোর করে তাদের দাবিদাওয়া আদায়ের উদ্যোগ নিচ্ছে। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে জোর করে শিক্ষকদের পদত্যাগের ঘটনা ঘটছে। অনেক জায়গায় বিক্ষুব্ধ জনগণ আটককৃত আসামিদের ওপর হামলা করছে। শ্রমিকরা বিক্ষোভ করে কলকারখানা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। মাজার, মন্দির ভাঙচুরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলার ঘটনাও ঘটছে। এমন পরিস্থিতিতে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চেষ্টা করে পরিস্থিতি পুরোপুরি অনুকূলে আনতে পারেনি। ফলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন দিয়ে জানায় সারাদেশে আগামী দুই মাস নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পালন করবেন সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, “সেনাবাহিনী অনেক দিন ধরেই মাঠে আছে। তাদের একটা ক্ষমতার মধ্যে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি আমাদের অন্যান্য বাহিনীতে স্বল্পতা রয়ে গেছে। এটা পূরণ করার জন্য সেনাবাহিনীকে আমরা এই দায়িত্ব দিয়েছি।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কেন এই সিদ্ধান্ত নিল সেটি নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন সরকারের আরেক উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ যেন ঠিক থাকে, জননিরাপত্তা যেন নিশ্চিত হয় সে কারণে একটা জরুরি পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীকে এই ক্ষমতা দেয়া হয়েছে শুধুমাত্র দুই মাসের জন্য।
ম্যাসেজ তো পরিস্কার। দেশে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সেনাবাহিনী দায়িত্ব পালন করেছে, এখনো করছে। সরকারি নির্দেশ পেলে মাঠ প্রশাসনকে সহায়তাও করেছে তারা।
দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারসহ যখন যে রাজনৈতিক সরকারই ক্ষমতায় ছিল সকল জাতীয় নির্বাচনে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। কোন কোন জাতীয় নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকালে সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দিতে ইসির কাছে দাবিও জানিয়েছিল বিরোধী রাজনৈতিক দলের কেউ কেউ। কিন্তু অতীতের কোনো নির্বাচন কমিশনই সেনাবাহিনীকে সেই ক্ষমতা দেয়নি। নির্বাচন পরিচালনার পর তাদের ব্যারাকে ফিরিয়ে নেয়া হয়। তবে কমিশন নির্বাচন পরিচালনা আইন বা আরপিওতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞায় সেনাবাহিনীকে যুক্ত করেছে।
এর আগে,দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতিতে উন্নতির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসেছিল বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারেনি তারা। উল্টো সেসময় ঢাকার রাস্তায় একের পর এক ওয়ার্ড কমিশনরাকে গুলি করে হত্যা করার মতো ঘটনা ঘটেছিল। এই প্রেক্ষাপটে ২০০২ সালের অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে সরকারের নির্দেশে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা নিয়ে সারাদেশে একযোগে অভিযান শুরু করে সেনাবাহিনী। নির্বিচারে তল্লাসি ও গ্রেফতার চালানো হয়। এই অভিযানের নাম দেয়া হয়েছিল অপারেশন ক্লিন হার্ট। অপারেশন ক্লিন হার্ট এর আওতায় সেনাবাহিনী বিভিন্ন জায়গায় যাদের আটক করে তাদের মধ্যে অন্তত ৪০ জনের বেশি হেফাজতে মৃত্যু হয় বলে সংবাদ মাধ্যমের খবরে প্রকাশিত হয়। সেনাবাহিনী মোট ৮৪ দিন অভিযান পরিচালনার পর তাদের ব্যারাকে ফিরিয়ে নেয়া হয়। যেদিন থেকে সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহার শুরু হয়, তার আগের দিন “যৌথ অভিযান দায়মুক্তি অধ্যাদেশ ২০০৩” জারি করা হয়। এর মাধ্যমে শেষ হয় অপারেশন ক্লিনহার্ট।
এবারের প্রেক্ষিতটা ভিন্ন। এখন পর্যন্ত সেসরকম কিছুর আলামত নেই। তবে অধ্যাপক ইউনূসের তত্ত্বাবধায়ক সরকার ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতাসহ সেনাবাহিনীকে মাঠে নামানোয় তেমন কোনো সংকট তৈরি হবে কি না সেটি নিয়ে সংশয় তো আছেই। বিশ্লেষকদের মতে “বর্তমানে বড় কোনো ঝুঁকি না থাকলেও সরকারের এই সিদ্ধান্তকে সিভিল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ভালোভাবে নিবে না। কারণ, জনপ্রশাসনের কর্মকর্তারা এটি নিয়ে পরে ইস্যুও তৈরি করতেও পারে।”
তবে,শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দেশের চলমান বিভিন্ন ইস্যুতে বিএনপি, জামায়াত, জাতীয় পার্টিসহ অনেক রাজনৈতিক দলের মধ্যে মতপার্থক্য তৈরি হলেও সরকারের এই সিদ্ধান্তে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নাজুক অবস্থায় সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেয়া এই মুহূর্তের জন্য যৌক্তিক বলে মনে করছেন সবাই। পাশাপাশি সেনাবাহিনীর এই ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার শুধুমাত্র দেশে শৃঙ্খলা ফেরাতেই যেন কাজে লাগে সরকারকে সেদিকে নজর রাখার কথাও বলছে রাজনৈতিক দলের নেতারা।
সংশ্লিষ্টরা মনে করেন,শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে ও খাতে বিশৃঙ্খলা চলছে,এই সংকট কাটাতে সেনাবাহিনীর হাতে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা থাকলে মাঠের পরিস্থিতি বদলাতে পারে।
বস্তুত মানুষ যাতে নিরাপদ বোধ করে এবং জনবান্ধব পরিবেশে চলাচল করতে পারে, সেজন্য সেনাবাহিনীকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের এই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। দেরিতে হলেও অন্তর্বর্তী সরকারের এ সিদ্ধান্ত সাধুবাদযোগ্য। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে যে ধরনের অরাজক কর্মকাণ্ডের খবর পাওয়া যাচ্ছিল, তাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সরকারের তরফে কঠোর পদক্ষেপের প্রয়োজন ছিল। বিগত সরকার পতনের পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোতে জনবলের স্বল্পতা লক্ষ করা গেছে। বিগত সরকারের সময়ে পুলিশের ভূমিকা ও পরবর্তীকালে সমাজে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতির অভাবে পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় জনমনেও নিরাপত্তাহীনতা বিরাজ করছিল। ফলে দেশের সব জায়গায় আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা অনেকাংশে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। আশা করা যায়, সেনাবাহিনীকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়ায় পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
বলার অপেক্ষা রাখে না, পরিস্থিতির উন্নতি হলে সেনাবাহিনীর এ দায়িত্ব পালনের প্রয়োজনীয়তা থাকবে না। তবে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা লাভের পর দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে ক্ষমতার কোনো অপপ্রয়োগ ঘটবে না, এমনটাই প্রত্যাশা। অবশ্য জনগণকেও সর্বাত্মক সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। ভুলে গেলে চলবে না, পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সহযোগিতা ও মর্যাদাপূর্ণ সম্পর্কের মাধ্যমে সেনাবাহিনীর কমিশন্ড অফিসারদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার সুফল ভোগ করবে দেশের মানুষই। একথা অনস্বীকার্য যে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী একটি জনবান্ধব সুশৃঙ্খল বাহিনী। তাদের সঙ্গে যোগাযোগে বা তাদের কাছ থেকে সহযোগিতা নিতে সাধারণ মানুষের কোনো সমস্যা হবে না বলেই আমাদের বিশ্বাস। সেনাবাহিনীকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়ার মাধ্যমে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে, এটাই সকলের প্রত্যাশা।
লেখকঃ সাংবাদিক ও কলামিস্ট
rintu108@gmail.com