• সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:২৯ অপরাহ্ন

গলার কাঁটা হলো এখন বৈদেশিক ঋণ

Reporter Name / ১৬৮ Time View
Update : শনিবার, ১৭ জুন, ২০২৩

দেশের বৈদেশিক ঋণ বেড়েই যাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে সরকারি খাতের চেয়ে বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ বেশি বেড়েছে। এর মধ্যে স্বল্পমেয়াদি ঋণ সবচেয়ে বেশি। স্বল্পমেয়াদি ঋণেই ঝুঁকি বেশি। সরকারি খাতে স্বল্পমেয়াদি ঋণ কম। দীর্ঘমেয়াদি ঋণ বেশি।

গত ১৪ বছরে দেশের বৈদেশিক ঋণ বেড়েছে ৭ হাজার ৩৪৬ কোটি ডলার বা ৩২২ দশমিক ৩৩ শতাংশ। সাম্প্রতিক সময়ে বৈশ্বিক মন্দায় টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বৃদ্ধি ও আন্তর্জাতিক বাজারে সুদের হার বেড়ে যাওয়ায় এখন বাড়তি অর্থ পরিশোধ করতে হচ্ছে। ডলার সংকটে নিয়মিত ঋণ শোধ করতে না পারায় এর মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে। এতে ঋণের অর্থও বেড়ে যাচ্ছে।

একদিকে ডলার সংকট, অন্যদিকে ঋণের বোঝা বেড়ে যাওয়ার কারণে বৈদেশিক ঋণ এখন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন স্বল্পমেয়াদি বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করতে গিয়েই ডলার সংকট আরও প্রকট হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা যায়, গত ১৪ বছরে দেশের বৈদেশিক ঋণ বেড়েছে ৭ হাজার ৩৪৬ কোটি ডলার।

২০০৮ সালের শেষে মোট বৈদেশিক ঋণের স্থিতি ছিল ২ হাজার ২৭৯ কোটি ডলার। গত বছরের ডিসেম্বরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৬২৫ কোটি ডলারে। আলোচ্য সময়ে ঋণ বেড়েছে ৩২২ দশমিক ৩৩ শতাংশ। তবে ওই সময়ে মোট দেশজ উৎপাদন বেশি বেড়েছে, সে তুলনায় বৈদেশিক ঋণ বেড়েছে কম।

যে কারণে জিডিপির আকারের অনুপাতে বিদেশি ঋণ এখন আগের চেয়ে কমেছে। ২০০৮ সালে দেশের জিডিপির তুলনায় বৈদেশিক ঋণ ছিল ২৪ দশমিক ৯০ শতাংশ। গত ডিসেম্বরে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ২০ শতাংশে। ওই সময়ে দেশের বৈদেশিক ঋণ যে হারে বেড়েছে, তার চেয়ে বেশি বেড়েছে জিডিপির আকার। যে কারণে আগের চেয়ে এখন জিডিপির হিসাবে বৈদেশিক ঋণের অনুপাত কমেছে।

সাধারণত জিডিপির আকারের তুলনায় বৈদেশিক ঋণ ৪০ থেকে ৫০ শতাংশের বেশি হলে তাকে ঝুঁকিপূর্ণ ধরা হয়। সে তুলনায় বৈদেশিক ঋণের দিক থেকে বাংলাদেশ ঝুঁকিতে নেই। তবে আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (আইএমএফ) এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশকে বৈদেশিক ঋণের দিক থেকে নিম্নঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

সূত্র জানায়, প্রচলিত নিয়মের বাইরে গিয়ে বাস্তবতা ভিন্ন রূপ নিয়েছে। গত বছরের জুলাই থেকে গত ডিসেম্বর পর্যন্ত রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স দিয়ে আমদানি ব্যয় মেটানো যেত না। এখন এ খাতে ঘাটতি কমে এসেছে। কিন্তু বৈদেশিক ঋণের চাপ সার্বিক বৈদেশিক মুদ্রায় ঘাটতি বাড়িয়ে দিয়েছে। এতে ডলারের সংকট প্রকট হচ্ছে। দাম প্রতিনিয়ত বাড়ছে।

ফলে টাকার মান কমে গিয়ে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। পণ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে। এতে মানুষের ভোগান্তি বাড়ছে। অর্থনীতির সব সূচকগুলোকে এখন আঘাত করতে শুরু করেছে ডলার সংকট। যেটি মূলত হচ্ছে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করতে গিয়ে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের চাপের কারণে বর্তমানে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। রিজার্ভ বাড়ানোর ক্ষেত্রে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধই একটি বড় চ্যালেঞ্জ। সরকারি খাতে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ ৬ হাজার ৭৯ কোটি ডলার এবং স্বল্পমেয়াদি ঋণ ২১১ কোটি ডলার। সরকারি খাতে স্বল্পমেয়াদি ঋণ কম, দীর্ঘমেয়াদি ঋণ বেশি। এ কারণে সরকারি ঋণে ঝুঁকিও কম।

ঝুঁকি হচ্ছে বেসরকারি খাতের ঋণে। বেসরকারি খাতের মোট বৈদেশিক ঋণ ২ হাজার ৪৩১ কোটি ডলার।
এর মধ্যে স্বল্পমেয়াদি ঋণ ১ হাজার ৬৪২ কোটি ডলার এবং দীর্ঘমেয়াদি ঋণ ৭৮৯ কোটি ডলার। বেসরকারি খাতে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ কম, কিন্তু স্বল্পমেয়াদি ঋণ বেশি। স্বল্পমেয়াদি ঋণ তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে পরিশোধ করতে হয়। যে কারণে এতে ঝুঁকি বেশি।

চলতি বছরের মধ্যে প্রায় ১ হাজার ১০০ কোটি ডলারের স্বল্পমেয়াদি ঋণ শোধ করতে হবে অথবা মেয়াদ আরও এক দফা বাড়াতে হবে। ইতোমধ্যে এসব ঋণের বেশিরভাগের মেয়াদই বাড়ানো হয়েছে। এই ঋণ পরিশোধ করতে গিয়েই ডলারের ওপর চাপ বাড়ছে।

বৈদেশিক ঋণের ক্ষেত্রে বড় গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে সুদের হার ও ডলারের দাম। গত বছরের মার্চে প্রতি ডলারের দাম ছিল গড়ে ৮৬ টাকা। এখন তা বেড়ে ১১০ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। এক বছরের ব্যবধানে প্রতি ডলারে ২৪ টাকা বেশি পরিশোধ করতে হচ্ছে।

বৈদেশিক ঋণের সুদের হার নির্ধারতি হয় সাধারণত ছয় মাস মেয়াদি ডলার বন্ডের লন্ডন ইন্টার ব্যাংক অফার রেটের (লাইবর) আলোকে। এক বছর আগে ডলারের ছয় মাস মেয়াদি বন্ডে লন্ডন ইন্টার ব্যাংক অফার রেট (লাইবর) ছিল ২ দশমিক ১০ শতাংশ। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ। সুদের হার বেড়েছে ৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ।

স্বল্প কিছু ঋণ এক মাস মেয়াদি ডলার বন্ডের সুদের হারের ভিত্তিতেও নেওয়া হয়। এক বছরের ব্যবধানে এর সুদ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ। ফলে ঋণের বিপরীতে আড়াই থেকে তিনগুণ বেশি সুদ পরিশোধ করতে হচ্ছে। একই সঙ্গে ডলার কিনতে হচ্ছে ২৪ টাকা বেশি দামে। ফলে ঋণ পরিশোধের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। যা দেশের রিজার্ভে চাপ বাড়াচ্ছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, চুক্তি অনুযায়ী বেসরকারি খাতে ঋণের ৭৪ শতাংশের সুদই বাজারভিত্তিক হবে। অর্থাৎ পরিশোধের সময়ের সুদ হার ও ডলারের দামে দিতে হবে। বাকি ২৬ শতাংশ ঋণের সুদ নির্ধারিত। এগুলোর মধ্যে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন (আকু)সহ ও কিছু প্রতিষ্ঠানের ঋণ রয়েছে। চলতি বছরে বেসরকারি খাতের দীর্ঘমেয়াদি ঋণের মধ্যে ১৬২ কোটি ডলার ও আগামী বছরে ১৭৭ কোটি ডলার পরিশোধ করতে হবে।

সূত্র জানায়, দেশে ঋণের সুদের হার বেশি, বিদেশে অনেক কম-এমন যুক্তি দিয়ে ২০১১ সালে বিদেশি ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে বড় ছাড় দেওয়া হয়। একই সঙ্গে বেসরকারি খাতে বিদেশি ঋণ গ্রহণ অনেকটা উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। ঋণের বিপরীতে ব্যাংক ও ব্যক্তির গ্যারান্টি নেওয়া হয়। এখন ঋণ শোধের সময় ব্যাংক ও ব্যক্তি টাকা দিতে পারলেও ডলার দিতে পারছে না।

ফলে দায় চাপছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাঁধে। এতে সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে। এছাড়া ওই সময় থেকে বৈদেশিক ঋণ নিয়ে সেগুলোর একটি অংশ বিদেশে পাচার করার প্রমাণ পেয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কিছু ঋণ কম সুদে নিয়ে বেশি সুদে দেশে এফডিআর করা হয়েছে। ফলে উৎপাদন বাড়েনি। কিন্তু ঋণের বোঝা চেপেছে।

প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, ২০০৯ সালের শুরু থেকে ২০১৩ পর্যন্ত ঋণ বেড়েছে ৯০০ কোটি ডলার। ২০০৮ সালের শেষে বৈদেশিক ঋণের স্থিতি ছিল ২ হাজার ২৭৯ কোটি ডলার। ২০১৩ সালের শেষে এ ঋণের স্থিতি বেড়ে দাঁড়ায় ৩ হাজার ১৭৯ কোটি ডলারে। ওই সময়ে ঋণ বেড়েছে ৩৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ।

২০১৪ সালের শুরু থেকে ২০১৮ সালের শেষ পর্যন্ত ঋণ বেড়েছে ২ হাজার ৫২৮ কোটি ডলার। ২০১৮ সালের শেষে ঋণের স্থিতি ছিল ৫ হাজার ৭০৭ কোটি ডলার। ওই সময়ে ঋণ বেড়েছে ৭৯ দশমিক ৫২ শতাংশ।

বৈদেশিক ঋণ গ্রহণের তিনটি ধাপের মধ্যে ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। ওই সময়ে সরকারি ও বেসরকারি দুই খাতেই বৈদেশিক ঋণ মাত্রাতিরিক্ত হারে বৃদ্ধি পায়। ওই সময়ে বিদ্যুৎসহ বিভিন্ন খাতে বড় বড় প্রকল্প নেওয়া হয়। ওইসব প্রকল্পের কারণে ঋণও নেওয়া হয় বেশি।

২০১৯ সালের শুরু থেকে ২০২২ সালের শেষ পর্যন্ত ঋণ বেড়েছে ৩ হাজার ৯১৮ কোটি ডলার। ২০২২ সালের শেষে ঋণের স্থিতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৬২৫ কোটি ডলার। আলোচ্য সময়ে ঋণ বৃদ্ধির হার ৬৮ দশমিক ৬৫ শতাংশ।

বেসরকারি খাতে ঋণ : ২০০৮ সালের শেষে বেসরকারি খাতে বৈদেশিক ঋণের স্থিতি ছিল ১৬০ কোটি ডলার। ২০২২ সালের শেষে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪৩১ কোটি ডলারে। আলোচ্য সময়ে এ খাতে বৈদেশিক ঋণ বেড়েছে ২ হাজার ২৭১ কোটি ডলার বা ১ হাজার ৪১৯ দশমিক ৩৭ শতাংশ।

২০১৩ সালের শেষে তা বেড়ে দাঁড়ায় ২৮২ কোটি ডলারে। ২০০৯ সালের শুরু থেকে ২০১৩ সালের শেষ পর্যন্ত বেড়েছে ১২২ কোটি ডলার। বৃদ্ধির হার ৭৬ দশমিক ২৫ শতাংশ।

২০১৪ সালের শুরু থেকে ২০১৮ সালের শেষ পর্যন্ত তা বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ২৫২ কোটি ডলারে। ওই সময়ে ঋণ বেড়েছে ৯৭০ কোটি ডলার। বৃদ্ধির হার ৩৪৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ। তিনটি ধাপের মধ্যে আলোচ্য সময়েই বেসরকারি খাতে সবচেয়ে বেশি বৈদেশিক ঋণ নেওয়া হয়েছে। ওই সময়ে বেসরকারি খাতে বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলোসহ বড় কিছু প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এ কারণে বেসরকারি খাতে ঋণ বেড়েছে।

২০১৯ সালের শুরু থেকে ২০২২ সালের শেষ পর্যন্ত তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪৩১ কোটি ডলারে।
আলোচ্য সময়ে ঋণ বেড়েছে ১ হাজার ১৭৯ কোটি ডলার। বৃদ্ধির হার ৯৪ দশমিক ১৭ শতাংশ।
সরকারি খাতে ঋণ : ২০০৮ সালের শেষে সরকারি খাতের বৈদেশিক ঋণের স্থিতি ছিল ২ হাজার ১২০ কোটি ডলার। ২০২২ সালের শেষ তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ১৯৪ কোটি ডলারে। আলোচ্য সময়ে ঋণ বেড়েছে ৫ হাজার ৭৪ কোটি ডলার। বৃদ্ধির হার ২৩৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ।

২০০৯ সালের শুরু থেকে ২০১৩ সালের শেষ পর্যন্ত বৈদেশিক ঋণ বেড়ে দাঁড়ায় ২ হাজার ৭৭৩ কোটি ডলারে। ওই সময়ে ঋণ বেড়েছে ৬৫৩ কোটি ডলার বা ৩০ দশমিক ৮০ শতাংশ।

২০১৪ সালের শুরু থেকে ২০১৮ সালের শেষ পর্যন্ত তা বেড়ে দাঁড়ায় ৪ হাজার ৪৫৫ কোটি ডলারে। ওই সময়ে বেড়েছে ১ হাজার ৬৮২ কোটি ডলার। বৃদ্ধির হার ৬০ দশমিক ৬৬ শতাংশ।

২০১৯ সালের শুরু থেকে ২০২২ সালের শেষে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৭ হাজার ১৯৪ কোটি ডলারে। ওই সময়ে বেড়েছে ২ হাজার ৭৩৯ কোটি ডলার। বৃদ্ধির হার ৬১ দশমিক ৪৮ শতাংশ।

২০১৪ সাল থেকেই সরকারি খাতে বেশি ঋণ নেওয়া শুরু হয়। ওই সময়ে সরকার বিদেশি ঋণে বড় বড় প্রকল্প হাতে নিতে শুরু করে।

ঋণের প্রবৃদ্ধি : বছরভিত্তিক তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০০৭ সালে মোট বৈদেশিক ঋণ ছিল ২ হাজার ২৬ কোটি ডলার। যা ওই সময়ে জিডিপির প্রায় ২৬ শতাংশ। ওই সময়ে জিডিপির আকার কম ছিল বলে অনুপাতে বৈদেশিক ঋণ বেশি ছিল। ২০০৮ সালে এ ঋণ সামান্য বেড়ে ২ হাজার ২৭৯ কোটি ডলারে দাঁড়ায়। যা ওই সময়ে জিডিপির প্রায় ২৫ শতাংশ। ওই বছরে ঋণ বাড়ার চেয়ে জিডিপির আকার বেশি বাড়ায় বৈদেশিক ঋণের অনুপাত কমেছে।

২০০৯ সালে বৈদেশিক ঋণ বেড়ে দাঁড়ায় ২ হাজার ৪০০ কোটি ডলারে। ২০১০ সালে তা সামান্য কমে হয় ২ হাজার ৩১৬ কোটি ডলার। গত ১৪ বছরের মধ্যে ওই বছরেই কেবল ঋণ কমেছে। প্রতিবছরই তা বেড়েছে।
২০০৮ সালে ঋণ সাড়ে ১০ শতাংশ বৃদ্ধির পর থেকে টানা তিন বছরের মধ্যে এক বছর কমেছে, বাকি দুই বছর ৪ থেকে ৫ শতাংশ হারে বেড়েছে। ২০১২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ঋণ বেড়েছে ব্যাপক হারে।

প্রতিবছর গড়ে ১৬ শতাংশ হারে বেড়েছে। ২০১৫ ও ২০১৬ সালে কিছুটা কম বেড়েছে। ২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ঋণ বেড়েছে গড়ে ১৭ শতাংশ করে। ২০২১ সালে ঋণ সংকট প্রকট আকার ধারণ করায় গত বছর ঋণ নেওয়া হয়েছে কম। যে কারণে ওই বছর বেড়েছে ৬ শতাংশ। আলোচ্য সময়ের মধ্যে ২০২১ সালে সবচেয়ে বেশি ঋণ বেড়েছে সাড়ে ২৪ শতাংশ। এর আগে ২০১৭ সালে বেড়েছে সাড়ে ২২ শতাংশ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category