আন্তর্জাতিক নারী ফুটবলে বাংলাদেশের অবস্থানটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলো জাপান। দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করলেও এ অঞ্চলের বাইরে লড়াই করার পর্যায়ে যেতে যে আরও কাঠখড় পোড়াতে হবে বাংলাদেশকে, সেই পাঠ জাপানি মেয়েরা দিয়ে দিলো এশিয়ান গেমসের অভিষেক ম্যাচে।
এশিয়ার সবচেয়ে বড় ক্রীড়া আসরে প্রথম অংশগ্রহণ, তাও আবার শুরুটা সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ও এশিয়ান গেমস নারী ফুটবলের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন জাপানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। পরাজয় অনুমিতই ছিল। দেখার ছিল কত গোলে জাপানকে আটকিয়ে রাখা যায়। দুই অর্ধে চারটি করে গোল খেয়ে ৮-০ ব্যবধানে হেরে এশিয়ান গেমস শুরু করলো সাইফুল বারী টিটুর দল।
শুক্রবার চীনের হাংজুতে বাংলাদেশের বিপক্ষে হেসেখেলে জিতেছে জাপান। সাবিনারাও বাস্তবতা বুঝতে পেরেছেন। তাদের সামনে পরিষ্কার হয়েছে দুই দেশের ফুটবলের আকাশ-পাতাল পার্থক্য।
জাপানের কাছে হারানোর কিছুই নেই বাংলাদেশের। চীন যাওয়ার আগে দলের কোচ সাইফুল বারী টিটু ও অধিনায়ক সাবিনা খাতুনও তা বলেছিলেন। বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল জাপানের কাছে যত কম গোল খাওয়া যায়। সেই কম গোলের সংখ্যাটা শেষ পর্যন্ত হয়েছে ৮। দুই হালি গোল খেলেও হতাশার কিছু নেই। জাপান যে বিশ্বের ৮ নম্বর দল। বাংলাদেশের অবস্থান সেখানে ১৪২ নম্বরে।
ষষ্ঠ মিনিটে রেমিনা চিবাকে দিয়ে গোলের যে সূচনা করে জাপান, প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে সেটিকে ৪-০ তে নিয়ে যান ইয়ুঝু শিকোওশি। মাঝের দুই গোলের একটি রেমিনার, অন্যটি মমোকো তানিকাওয়ার।
দ্বিতীয়ার্ধে জাপান গোল করেছে ৪৯, ৫৮, ৮০ ও ৮৫ মিনিটে। জাপানের জোড়া গোল করেছেন রেমিনা চিবা, মমোকো তানিকাওয়া ও কোতোনো সাকাকিবারা। একটি করে গোল তানিকাবা ও শিওকোশির।
বাংলাদেশ দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে ২৫ সেপ্টেম্বর ভিয়েতনামের বিপক্ষে এবং শেষ ম্যাচ নেপালের বিপক্ষে ২৮ সেপ্টেম্বর।