নতুন বছরে যারা বিদেশ ভ্রমণে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন, তারা অনেকেই বিভিন্ন দেশ সম্পর্কে খোঁজ খবর নেওয়ার চেষ্টা করেন। সাধারণ জায়গা হলে তো চিন্তা নেই, তবে অফবিট প্লেসের খোঁজ করতে চাইলে জেনে নিন কোন কোন দেশে ভ্রমণ করবেন।
ওভেশন নেটওয়ার্ক একচেটিয়াভাবে ফোর্বসের সঙ্গে নতুন ভ্রমণস্থানের তালিকা তৈরি করেছে। এই স্থানগুলোই হয়তো ট্রেন্ড হতে চলেছে।
ইতালির সার্ডিনিয়া
অপূর্ব সুন্দর কোস্টা স্মেরালদা, পরিচ্ছন্ন সমুদ্রসৈকত ও বুটিক শপের জন্য বিখ্যাত ইতালির সার্ডিনিয়া। এখানে সমুদ্রের ধারে অবস্থিত ছবির মতো সুন্দর গ্রামগুলো ঘুরে দেখার পাশাপাশি উপভোগ করতে পারবেন সেখানকার সুস্বাদু খাবার।
ইতালির এই স্থান প্রকৃতি, সমুদ্রসৈকত ও খাদ্যপ্রেমীদের জন্য যেন স্বর্গ সমান। এখানে আপনি ওরোসি বে ঘুরে বেড়াতে পারেন মনের সুখে।
স্ট্রিট আরপ্ট দেখার জন্য যেতে পারেন ইউরোপের বৃহত্তম উপত্যকাগুলোর অন্যতম অরগোসোলো বা গোরোপ্পুত।
তুর্কির উরলা
ইজমির থেকে মাত্র আধা ঘণ্টার দূরত্বে অবস্থিত উরলা একটি শান্ত নিরিবিলি শহর। স্থানটি ওয়াইনারি ও প্রাণবন্ত শিল্প দৃশ্যের জন্য বিখ্যাত।
যারা সত্যিকারের সংস্কৃতিপ্রেমী ও তার চাক্ষুস অভিজ্ঞতা চান, ওয়াইন পছন্দ করেন, অ্যাডভেঞ্চার খুঁজছেন তারা এখানে যেতে পারেন।
এখানে গেলে মাছের অর্ডার দিতে ভুলবেন না। মাছের স্বাদ অতুলনীয়। এছাড়া পর্যটকরা এখানকার রাকি ও তুর্কি কফির স্বাদ বেশ পছন্দ করেন।
জাপানের নিসেকো
আপনি যদি সাধারণ আমেরিকান বা ইউরোপীয় স্থানগুলোর বাইরে একটি শীতল স্থান উপভোগ করতে চান তবে নিসেকো একটি দুর্দান্ত জায়গা।
এটি জাপানের টপ স্কি এলাকা। স্কিয়াররা এখানে যেতেই পারে। এছাড়া যারা জাপানের পাহাড়ি রিসোর্ট ও নতুন জায়গায় ঘুরতে যেতে চান তাদের জন্য এটি সেরা বিকল্প।
দক্ষিণ কোরিয়ার জেজু
কোরিয়ান দ্বীপের কাছে অবস্থিত জেজু, ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের মর্যাদা পেয়েছে। এর নিজস্ব স্থানীয় উপভাষা ও সংস্কৃতি আছে।
সার্ফার, হাইকার ও জিওলজির ছাত্ররা জেজুর মতো জায়গাটি দারুণ উপভোগ করতে পারবেন। এখানে যাওয়ার সময় গাছ-গাছালিতে ভরা ক্যালডেরায় হাইকিং যেন এক দারুণ অভিজ্ঞতা।
সেখানে গিয়ে আগ্নেয়গিরির গহ্বরে প্রবেশ করে সেই স্থান ভ্রমণ করতে পারেন। আসলে এটি একটি সুপ্ত আগ্নেয়গিরি। জানা যায়, ৭ হাজার বছরেরও বেশি সময় কোনো বিস্ফোরণ ঘটেনি সেখানে।
শ্রীলঙ্কার টাঙ্গালে
শ্রীলঙ্কার টাঙ্গালে সাদা বালির সৈকত ও ফিরোজা রঙের পানির জন্য জনপ্রিয়। শান্তিতে কিছুটা সময় কাটাতে জায়গাটি দুর্দান্ত। কালামেটিয়া পাখির অভয়ারণ্য সেখানে, যা ভ্রমণের সময় অবশ্যই দেখতে ভুলবেন না।