দক্ষিণ ফ্রান্সের আলোচিত পর্যটন নগরী নিস শহরে ৩ জুন (মঙ্গলবার) শুরু হতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক ওশান সম্মেলন। তিন দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য বিশ্বসমুদ্র রক্ষা করা।
এটি জাতিসংঘের তৃতীয় মহাসাগর সম্মেলনের (থার্ড ইউএন ওশান কনফারেন্স) পূর্ব প্রস্তুতিমূলক একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক বৈঠক। ৬ জুন শেষ হবে বিশ্বের সমুদ্র বিজ্ঞানীদের এই কংগ্রেস।
সম্মেলনে বিশ্বজুড়ে দুই হাজারেরও বেশি বিজ্ঞানী, নীতিনির্ধারক, পরিবেশবিদ ও গবেষক অংশগ্রহণ করবেন, যারা মহাসাগরের বিভিন্ন আধুনিক চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করবেন। জলবায়ু পরিবর্তন, সমুদ্র দূষণ, অতিরিক্ত মাছ ধরা, সামুদ্রিক বাস্তুসংস্থান সংরক্ষণ ও সম্পদ ব্যবস্থাপনা এ আলোচ্য সূচির প্রধান বিষয়।
সম্মেলনে ৫০০-এর বেশি মৌখিক উপস্থাপনা, ৬২০টি বৈজ্ঞানিক পোস্টার ও ৩৩টি টাউনহল মিটিং অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া নিস অপেরা হাউসে ‘আর্টস অ্যান্ড সায়েন্স’ শিরোনামে বিশেষ এক সন্ধ্যার আয়োজন রয়েছে, যেখানে বিজ্ঞান ও শিল্পের সংমিশ্রণ উপস্থাপন করা হবে।
বাংলাদেশ থেকেও সামুদ্রিক গবেষক ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা এ সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন। জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুঁকিপূর্ণ উপকূলীয় দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ আন্তর্জাতিক মহলে বিশেষ তাৎপর্য বহণ করে। বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা স্থানীয় ও বৈশ্বিক তথ্য বিনিময়ের মাধ্যমে সমুদ্র সংরক্ষণে নতুন উদ্ভাবনী সমাধান প্রস্তাব করবেন।
ওয়ান ওশান সায়েন্স কংগ্রেস ২০২৫ শুধুমাত্র বৈজ্ঞানিক আলোচনা নয়, এটি জাতিসংঘের মহাসাগর সম্মেলনের একটি মঞ্চ, যেখানে বৈশ্বিক সমুদ্র সংরক্ষণ নীতিমালা নির্ধারণের দিকনির্দেশনা প্রদান করা হবে।
এতে জলবায়ু সংকট মোকাবিলা, সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্র রক্ষা এবং ক্ষুদ্র দ্বীপ রাষ্ট্র ও উপকূলীয় দেশের টেকসই উন্নয়নের জন্য বিশ্বব্যাপী ঐক্যের পথ সুগম হবে।
বিশ্বের সব দেশের অংশগ্রহণ ও সহযোগিতায় এ সম্মেলন সমুদ্রের ভবিষ্যৎ সুরক্ষার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হবে। বাংলাদেশসহ গোটাবিশ্বকে এ মহাসাগর রক্ষায় আরও সক্রিয় ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।