নারায়ণগঞ্জের বন্দরের চৌরাপাড়া এলাকায় দীর্ঘ ৯ মাস ধরে বিকল পানির পাম্প। আর এই দীর্ঘ সময়েও পাম্পটি সংস্কার বা মেরামতের উদ্যোগ না নেওয়ায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২৪ ও ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের দেউলী চৌরাপাড়া, আমিরাবাদ, বক্তারকান্দি, কাইতাখালী, নোয়াদ্দা, পাতাকাটা, দাসেরগাঁ ও লক্ষণখোলা এলাকায় তীব্র পানি সংকট চলছে। সেখানে পানির জন্য হাহাকার দেখা দিয়েছে।
সরবরাহের দাবিতে বন্দরের চৌরাপাড়া এলাকায় কলস নিয়ে বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী। এসময় শতাধিক নারী-পুরুষ সড়ক অবরোধ করেন।
এলাকাবাসী জানায়, গত আগস্ট মাসে ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের চৌরাপাড়ার পাম্পটি বিকল হয়। মেরামত না করায় তীব্র আকার ধারণ করেছে পানি সংকট। ৯ মাস ধরে ওয়াসার লাইনে পানি পাচ্ছেন না বাসিন্দারা। দূরের কোনো পাম্প হাউস থেকে মাঝে মাঝে লাইনে পানি আসে। কিন্তু সে পানি দিয়ে সংকট দূর হয় না।
দুই বছর আগে পানি সরবরাহের দায়িত্ব নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ওপর ন্যস্ত করে ওয়াসা। সিটি করপোরেশন দায়িত্ব নেওয়ার পর পানি সরবরাহ ব্যবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায় বলে দাবি স্থানীয়দের।
২৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা কবির সোহেল বলেন, বিভিন্ন সময় হঠাৎ করেই কোনো না কোনো পাম্প বিকল হয়ে পড়ে। ফলে সারা বছরই পানি সংকট লেগে আছে ওয়ার্ডগুলোতে। পানি সংকট নিরসনে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম সেলিম ওসমান ২০১৮ সালে ২৪ ও ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে তিনটিসহ বন্দরে ১৭টি সাবমারসিবল পাম্প স্থাপন করেন। কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ওই পাম্পগুলো বর্তমানে বিকল হয়ে আছে।
এ বিষয়ে দেউলী চৌরাপাড়া পাম্প হাউজের অপারেটর আলামিন বলেন, প্রায় ৯ মাস আগে পাম্পটি নষ্ট হয়। বিষয়টি লিখিতভাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে কয়েকবার জানানো হয়েছে। ১০ দিন আগে সিটি করপোরেশন থেকে দুইজন লোক এসে পানির নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে গেছেন। এরপর আর কেউ আসেননি।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, চৌরাপাড়া পাম্পটি বিকল হয়ে গেছে। এখানে নতুন পাম্প স্থাপন করতে হবে। তা সময় সাপেক্ষ এবং ব্যয়বহুল।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম বলেন, কয়েকটি জায়গায় পানি উত্তোলনের পাম্পে সমস্যা রয়েছে। অতি দ্রুত সমস্যা সমাধান করা হবে।