পাকিস্তানের ক্ষমতা কাঠামোর শীর্ষে অবস্থান করা সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের ‘ঝুঁকিতে ফেলার’ অভিযোগে মামলা হয়েছে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমান বিরোধী নেতা ইমরান খানের বিরুদ্ধে।
রাজধানী ইসলামাবাদের রমনা পুলিশ স্টেশনে মামলাটি করেছেন মনজুর আহমেদ নামের এক ম্যাজিস্ট্রেট। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকাকালে বিভিন্ন সময়ে সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের প্রতি ‘অবমাননাকর’ মন্তব্য করেছেন ইমরান খান।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের দণ্ডবিধির ৫০০, ৫০৫ এবং ১৩৮ নম্বর ধারাকে অন্তর্ভুক্ত করে প্রস্তুত করা হয়েছে মামলার এজাহার। ৫০০ এবং ১৩৮ ধারায় মামলা করা হলে অভিযেুক্তের সর্বোচ্চ ২ বছরের কারাদণ্ড ও জরিমানার সাজা হয়, কিন্তু ৫০৫ নম্বর ধারায় মামলা করা হলে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে অভিযুক্ত হন ওই ব্যক্তি।
সফল ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিবিদ বনে যাওয়া ইমরান খান ২০১৮ সালের নির্বাচনে জয় ও সেনাবাহিনীর আশীর্বাদ নিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হন। কিন্তু সরকারপ্রধান হওয়ার পর থেকেই সামরিক বাহিনীর সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে থাকে তার।
এই পরিস্থিতিতে পার্লামেন্টের বিরোধী দলীয় এমপিরা ধীরে ধীরে একজোট হতে থাকেন এবং তাদের আনা অনাস্থা প্রস্তাবের জেরে ২০২১ সালের এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে চ্যুত হন ইমরান খান।ক্ষমতা হারানোর পর থেকে একের পর এক মামলা হচ্ছে ইমরানের বিরুদ্ধে। জিও টিভি’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে রাজধানী ইসলামাবাদের বিভিন্ন পুলিশ স্টেশন ও আদালতে পাকিস্তানের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা দায়ের হয়েছে।