বাজার থেকে ছেঁড়াফাটা ও অপ্রচলনযোগ্য নোট তুলে নিয়ে এর বিপরীতে পরিচ্ছন্ন নোট সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে। এ লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে পরিচ্ছন্ন নোট নীতিমালা জারি করা হয়েছে।
এর আওতায় বাজার থেকে অপ্রচলনযোগ্য, ছেঁড়াফাটা ও ময়লাযুক্ত সব নোট পর্যায়ক্রমে তুলে নেওয়া হবে। এর বিপরীতে পরিচ্ছন্ন নোট ছাড়া হবে। এ লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় নোট ছাপানোর ক্ষেত্রে কালি ও কাগজসহ অন্যান্য উপকরণ যাতে দীর্ঘস্থায়ী হয় সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে একটি সার্কুলার জারির মাধ্যমে এ বিষয়ে নতুন নীতিমালা ঘোষণা করা হয়। এটি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
নীতিমালায় বলা হয়, বাজারে বর্তমানে প্রচলিত ময়লাযুক্ত ছেঁড়াফাটা, আগুনে ঝলসানো, ড্যাম্প, মরিচাযুক্ত, অধিক কালিযুক্ত, অধিক লেখালেখি, স্বাক্ষরযুক্ত, বিভিন্ন খণ্ডে খণ্ডিত নোট রয়েছে। এগুলো বাজার থেকে পর্যায়ক্রমে প্রত্যাহার করা হবে। এর বিপরীতে পরিচ্ছন্ন নোট সরবরাহ করা হবে। বাজারে প্রচলিত নোটের স্থায়ীত্ব বৃদ্ধির লক্ষ্যে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পুনঃপ্রচলনযোগ্য নোট সরবরাহ করা হবে।
নোটের স্থায়ীত্ব বৃদ্ধির লক্ষ্যে জনসচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। এতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকেও সম্পৃক্ত করা হবে। নোট ব্যবহারে অধিক যত্নবান হওয়ার বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রচারণা চালানো হবে।
নীতিমালায় বলা হয়, পরিচ্ছন্ন নোট সরবরাহের লক্ষ্যে নোটের সর্টিং, প্যাকেজিং, ব্যান্ডিং নোটের প্যাকেটে ফ্লাইলিফ লাগানো ও স্ট্যাপলিং বিষয়ক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা পরিপূর্ণভাবে পালন করতে হবে। ওই নির্দেশনা অনুযায়ী নোটের বান্ডিলে কোনো স্ট্যাপলিং করা যাবে না। একই সঙ্গে নোটের বান্ডিল সুঁইয়ের মাধ্যমে ছিদ্র করে সুতা দিয়ে বাধা যাবে না।
চাহিদা নিরুপণ করে নোট উৎপাদনের সক্ষমতা বাড়ানো হবে। এটি উৎপাদনে দীর্ঘস্থায়ী, আধুনিক ও উন্নতমানের কাগজ, কালি ও নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।