ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে বিরোধ থাকলেও বিশ্ব ইজতেমায় তারাসহ সাত দেশের মুসল্লিরা একই খিত্তায় (একই পরিমণ্ডল) অবস্থান করছেন। মিলেমিশে আল্লাহর দিদার লাভের আশায় তারা সব ভেদাভেদ ভুলে দ্বীনি এলেম দীক্ষা নিচ্ছেন। এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে তারা সারা বিশ্বে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দেবেন।
বুধবার বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে বিদেশি মেহমানদের প্যান্ডেলে গিয়ে জানা গেল এসব তথ্য।
বিশ্ব ইজতেমার পাহারা জামাতের খাদেম সোহেল রানা জানান, একটি খিত্তায় সাত দেশের নাগরিক অবস্থান করছেন। ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ভুটান, নেপাল, মালদ্বীপ ও ইরানের মুসল্লিরা এ খিত্তায় আছেন। অনেকে এসেছেন আরও আসছেন। তারা শাম্তিপূর্ণভাবে ইসলামের সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে ইবাদত বন্দেগি করছেন।
ভারতের উত্তর প্রদেশের মুসল্লি রেহাম কোরেশী (৫৫) বলেন, আমরা ইসলামের শিক্ষা নিতে এসেছি। এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজ দেশে ও বিদেশে ইসলাম প্রচার করব।
একই দেশের ফেরাশত আলী (৬০) বলেন, ইসলামের খেদমতে এসেছি। নিজের ও পরিবারের জন্য দোয়া করতে এখানে আসা।
ভারতের গুজরাটের মুরুব্বি মো. ইয়াকুব ও মো. ইয়াসিন বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম। সারা বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও ইসলামের দ্বীনি শিক্ষা মানুষকে শান্তির পথে নিয়ে যায়।
পাকিস্তানের ইসলামাবাদের নাগরিক ওমর কাশেমী বলেন, আমরা জামাত নিয়ে এসেছি। পাকিস্তান তাবলিগ জামাতের একজন সদস্য হিসেবে ইজতেমায় আসা। প্রতি বছর আমি এই ইজতেমায় আসি। ইসলামের খেদমতে আমরা অনেকেই এসেছি আরও আসছেন।
ইজতেমায় আসার উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, উদ্দেশ্য একটাই ইবাদত বন্দেগির মাধ্যমে আল্লাহকে রাজি খুশি করার জন্য ইজতেমায় আসা।
এদিকে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে দলে দলে ধর্মপ্রাণ মুসলমান আসতে শুরু করেছেন। ইতোমধ্যে অনেক দেশ থেকে বিদেশি মেহমানরা এসেছেন। আরও আসছেন। বিদেশি মেহমানদের অভ্যর্থনা জানাতে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজক কমিটির সমন্বয়কারী প্রকৌশলী মাহফুজ হান্নান মুরুব্বিদের সঙ্গে নিয়ে বিমানবন্দরে যাতায়াত করছেন।
বুধবার বিকালে স্থানীয় সাংসদ জাহিদ আহসান রাসেল ইজতেমার মুরুব্বিদের সঙ্গে বিমানবন্দরে ছিলেন বলে জানা গেছে।