কুমিল্লা লাকসাম উপজেলার দৌলতগঞ্জ বাজারে পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও কামাল ডেকোরেটর সংলগ্ন সাইকেল মার্কেটে আগুন লেগে প্রায় ১৭টি দোকান ও গোডাউন পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট ও স্থানীয়দের সহায়তায় প্রায় আড়াই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে।
সালেহা ট্রেডার্সের পিছনে তাদের মালামালের গোডাউন থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। ওই গোডাউন থেকে মুহূর্তের মধ্যে পার্শ্ববর্তী দোকান ও গোডাউনে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে ওই এলাকায় বসবাসকারীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো সঠিকভাবে জানা যায়নি।
ক্ষতিগ্রস্ত রাজন ইলেক্ট্রনিক মালিক মাহবুব মেম্বার বলেন, রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি চলে যাই। প্রতি সাপ্তাহিক শুক্রবার প্রায় সব দোকান বন্ধ থাকে আমার দোকানও বন্ধ ছিল। সন্ধ্যায় ফোন করে বলছেন আমাদের দোকানে আগুন লেগেছে। আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে স্থানীয়রা। কেউ কেউ বলছেন আমার দোকানের পাশে চায়ের স্টোর এবং ছালেহা ট্রেডার্স দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে আগুন আশপাশের দোকানগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে।
আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ছালেহা ট্রেডার্স মালিক খালেদ মিয়া বলেন, আমার সব স্বপ্ন পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আমার কিছুই অবশিষ্ট রইল না। আগুনে দোকানের সব মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। পরে তিনি জানান, আমার গোডাউনের পাশে একটি চায়ের স্টোর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।
এছাড়াও আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত দোকান ও গোডাউন গুলো রয়েছে, মিজান সাইকেল দোকান ও গোডাউন, কবির সাইকেল দোকান ও গোডাউন, নিউ কবির পুষ্প, আনোয়ার চা দোকান, রাহীম স্পোর্টস ও মেসার্স জনি।
লাকসাম ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সে কর্মকর্তা শাহাদাৎ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে লাকসাম দৌলতগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। পরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম ও ইপিজেড ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ আগুনের সূত্রপাতের ঘটনা এখন বলা সম্ভব নয়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারহানুর রহমান, থানার (ওসি) আবদুল্লাহ আল মাহফুজ, পৌর মেয়র অধ্যাপক আবুল খায়ের, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মহব্বত আলী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা।