• শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ১০:২৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ

অনলাইন জুয়ার ফাঁদে পড়ে বাগমারায় সর্বশান্ত বহু পরিবার

Reporter Name / ১৬৫ Time View
Update : সোমবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৩

বাগমারায় পুলিশের এন্টি টেররিজম ইউনিট(এটিইউ) কার্যক্রম না থাকায় অনলাইনে জুয়াসক্তির সংখ্যা বেড়েইে চলেছে। অনলাইনে এই জুয়া খেলতে গিয়ে অনেকেই সর্বশান্ত হয়ে পড়ছে। মোবাইলে জুয়া এ্যাপস এর মাধ্যমে এই জুয়া খেলতে গিয়ে অনেকেই ঋনগ্রস্থ হয়ে পড়েছে। এলাকার সচেতন মহল বলছেন এলাকায় প্রশাসনের নজরধারী ও নিয়ন্ত্রন না থাকায় সম্প্রতি অনলাইনে জুয়া খেলার প্রবনতা বেড়েই চলেছে।

খোজ নিয়ে জানা গেছে এই জুয়াড়ীদের রয়েছে একটি গোপন সিন্ডিকেট। তারা অনলাইনের এই জুয়াড়ীদের সংখ্যা বৃদ্ধি করার জন্য গোপনে প্রচার প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা মিথ্যা প্রোপাগণ্ডা ছড়াচ্ছে অমুকে এত লক্ষ অমুখে এত লক্ষ টাকা পেয়েছে এই অনলাইন জুয়ার মাধ্যমে। এতে অনেকে লোভে পড়ে ও কৌতুহলী হয়ে নিজের মোবাইলে জুয়া এ্যাপস ডাউন লোড করে সেখানে বিকাশ বা নগত হিসাবে টাকা তুলে নেমে পড়ছে গেম খেলতে। এভাবে গেম খেলতে খেলতে এক পর্যায়ে সে নিঃস্ব হয়ে পড়লেও বিষয়টি সে গোপন রাখে এবং বলে বেড়ায় সে এভাবে জুয়া খেলে অনেক টাকা জিতেছে। যাতে এই লাইনে আরো সদস্য বৃদ্ধি পায়।

বাগমারার সব এলাকাতেই এই জুয়া খেলার প্রবনতা বেড়েই চলেছে। তবে ভবানীগঞ্জ বাজার গোডাউন মোড়, পল্লী বিদ্যুত মোড়, ব্র্যাক মোড়, বিহানলী বাজার, তাহেরপুর কলেজ মোড় সহ উপজেলার বেশ কিছু এলাকায় এরি মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে এই অনলাইন জুয়া খেলার প্রবনতা। তবে এ জন্য জুয়াড়ীকে অনলাইনে ও মোবাইল ফোনে দক্ষ হতে হবে।

এই জুয়াড়ীদের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, এই জুয়াড়ীরা বিভিন্ন অনলাইন জুয়া অ্যাপস ব্যবহার করে অনলাইন ক্যাসিনো জুয়া খেলার মাধ্যমে সাধারন মানুষকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে খেলায় অংশ গ্রহন করায়। এভাবে চক্রটি সাধারন মানুষকে খেলার আসক্তি করায়। পরে তারা ভুক্তভোগির মোবাইল ব্যাংকিং নগত/বিকাশ/রকেট প্রভৃতি মাধ্যম ব্যবহার করে ই-ট্রানজেকশন এবং নগদ লেনদেনের মাধ্যমে ধীরে ধীরে টাকা হাতিয়ে নেয়।

এভাবে এক পর্যায়ে ভুক্তভোগি লোকটি নিঃস্ব হয়ে পড়ে। জানা গেছে এই গেমে আসক্ত অধিকাংশই মাদকাশক্ত। তারা দিন রাত চব্বিশ ঘন্টাই এই গেম নিয়ে পড়ে থাকে।

এলাকার সচেতন মহলের মতে এই গেমে আসক্তির ফলে পারিবারিক নানান অশান্তি, কোন্দল, ঝগড়া বিবাদ দাম্পত্ত কলহ ও সংসার ভাঙ্গার ঘটনা বেড়েই চলেছে। সেই সাথে এই গেমে আসক্ত হয়ে এক পর্যায়ে নিঃস্ব হয়ে মাদকাশক্ত হয়ে পড়ছে অনেকেই।

এলাকার অভিভাবক ও সচেতন মহলের মতে, মানুষকে শারিরীক, মানসিক, অর্থনৈতিক সহ সবদিক থেকেই পুঙ্গ করে মেরে ফেলার মত মানববিধ্বংসি এই মোবাইল জুয়া শুরুতেই কঠোর হস্তে দমন করতে হবে। এ বিষয়ে বাগমারা থানার থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরাও তৎপর রয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় সোর্স নিয়োগ করা হয়েছে। কোথাও কোন ক্লু পেলে বা এর সাথে জড়িত থাকার কোন প্রমানাদি পেলে সাথে সাথেই অভিযান পরিচালনা করা হবে ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category