• বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১১:৪৭ পূর্বাহ্ন

বিশ্বের দেশে দেশে ভোট: প্রাসঙ্গিক দু’পরাশক্তি। 

Reporter Name / ২১ Time View
Update : সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

-রিন্টু আনোয়ার
চলতি বছরটি বিশ্বময় নির্বাচনের বছর। ভৌগলিক মাপে তা প্রায় বিশ্বের অর্ধেক জুড়ে। শুরুটা হয়েছে ৭ জানুয়ারিতে ১৭ কোটি জনগণের বাংলাদেশ দিয়ে। এর এক মাস পর ৮ ফেব্রুয়ারি হলো ২৪ কোটি মানুষের দেশ পাকিস্তানে। এর পরই ১৪ ফেব্রুয়ারী হয়ে গেলো বিশ্বের বৃহত্তম দ্বীপরাষ্ট্র ও মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়ায় প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট, পার্লামেন্ট ও প্রাদেশিক আইনসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। ভারতেও নির্বাচনের ঘন্টা বাজছে। গোটা বিশ্বে নির্বাচনের ভালো-মন্দ মূল্যায়নের মুরুব্বি যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের  নির্বাচনও এ বছরই। মে মাসে আফ্রিকার সবচেয়ে শিল্পোন্নত দেশ দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় নির্বাচন। ১৯৯৪ সালে বর্ণবৈষম্যের অবসানের পর থেকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন হিসেবে দেখা হচ্ছে এটিকে। আফ্রিকার অন্যান্য দেশের মধ্যে আলজেরিয়া, বতসোয়ানা, চাদ, কোমোরোস, ঘানা, মৌরিতানিয়া, মরিশাস, মোজাম্বিক, নামিবিয়া, রুয়ান্ডা, সেনেগাল, সোমালিল্যান্ড, দক্ষিণ সুদান, তিউনিসিয়া ও টোগোতে অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় নির্বাচন। এসব নির্বাচন তথা ক্ষমতা কব্জা রাখতে কে কাকে দেখছে, কার কাছ থেকে কে কী শিখছে- তাও বিষয়।
কিছু দেশে নির্বাচন নিছক আনুষ্ঠানিকতা হলেও কোনো কোনো দেশের নির্বাচন গোটা বিশ্বের জন্যই ঘটনা। যেমন, বাংলাদেশের নির্বাচনের দিকে চোখ ছিল বিশ্বের অনেক দেশের। বেশি তীক্ষ ছিল ভারত-যুক্তরাষ্ট্র, চীনসহ কিছু দেশের। পাকিস্তানের দিকেও ছিল ব্যাপক উৎসুক চোখ। দেশ দুটিতে যা হবার হয়ে গেছে।
বিশ্বের টপ সুপার পাওয়ার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৬০তম চতুর্বার্ষিক রাষ্ট্রপতি নির্বাচন এ বছরের শেষদিকে ৫ নভেম্বর। এ নির্বাচনে জো বাইডেন ক্ষমতায় এলে মেয়াদপূর্তিতে তার বয়স দাঁড়াবে ৮৬ বছর। ডোনাল্ড ট্রাম্প কি ফিরে আসতে পারেন। নির্বাচনী বছরের রেকর্ডের এ হাতছানির মাঝে আরেক সুপার পাওয়ার রাশিয়াও ভোটের দামামা।দুবছর ধরে চলা ইউক্রেন যুদ্ধে শক্ত অবস্থানে থাকা ভ্লাদিমির পুতিন রাষ্ট্রপতি পদে আছেন ২৪ বছর ধরে। আগামী মাসে হতে যাওয়া নির্বাচনে জিতে আরও ছয় বছর এ পদে থাকার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী তিনি। আত্মবিশ্বাসের জোরে তিনি আর কোনো দলের না থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থি হয়ে যাওয়ার রসিকতা করেছেন। সংবিধান সংশোধন করে ২০৩৬ পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার পথ সুগম করেই রেখেছেন পুতিন। এবার নির্বাচিত হলে রুশ কিংবদন্তী নেতা জোসেফ স্তালিনের শাসনামলকে ছাড়িয়ে যাবে পুতিন-রাজত্ব। বাস্তবে পুতিনের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। তার মূল ও একমাত্র গ্রহণযোগ্য প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যালেক্সেই নাভালনি ১৯ বছরের কারাদণ্ডাদেশ নিয়ে কারাগারে রয়েছেন।
জুনে আছে আরেকটি বড় ও উল্লেখযোগ্য নির্বাচন হল ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচন। বিভিন্ন ইস্যুতে চ্যালেঞ্জে থাকা এই জোটের নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করার দিকে বিশ্বের নজর। ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাচনে ডানপন্থিদের জনপ্রিয়তার এ এই বহুজাতিক নির্বাচনে ভোটার ইউরোপের ৪০ কোটি মানুষ। এই ভোট কট্টর ডানপন্থি, ‘পপুলিস্ট’ নেতাদের জন্য একটি অগ্নিপরীক্ষা। বছরের শেষদিকে নভেম্বরে রয়েছে ডাচ নির্বাচন। এতে  গ্রিট ওয়াইল্ডারের ইসলামবিরোধী ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিরোধী পিভিভি ফ্রিডম পার্টি ও গত বছর ইতালিতে জর্জিয়া মেলোনির কট্টর ডানপন্থী ব্রাদার্স অব ইতালির বিজয় ডানপন্থীদের পালে হাওয়া দিলেও, এই নির্বাচনেই তাদের জনপ্রিয়তা যাচাই হবে।
জুনে মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়বেন দুই নারী। যার ফলে যুগ যুগ ধরে চলে আসা পুরুষতান্ত্রিক ক্ষমতা অবকাঠামোয় আসতে যাচ্ছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। এক দিকে আছেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস মানুয়েল লোপেজ ওবরাদরের মোরেনা পার্টির প্রার্থী ক্লদিয়া শেইনবম। তিনি রাজধানী মেক্সিকো সিটির সাবেক মেয়র। অপরদিকে আছেন দেশটির ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রতিনিধি জোচিল গালভেজ। তিনি বিরোধীদলীয় জোট ‘ব্রড ফ্রন্ট ফর মেক্সিকোর’ পক্ষ থেকে নির্বাচনে অংশ নেবেন। তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী। এশিয়া মহাদেশের দেশ তাইওয়ান ও ভুটানে নির্বাচন হওয়ার কথা বছরের মাঝামাঝিতে। আফ্রিকার দেশগুলোর মধ্যে দক্ষিণ সুদান, দক্ষিণ আফ্রিকা, তিউনিসিয়া, মাদাগাস্কার ও ঘানায়ও বাজছে ভোটের ঢোল। দ্য ইকোনমিস্টের মতে, ব্রাজিল ও তুরস্কের মতো কিছু জায়গায় সাধারণ নির্বাচন হবে না তবে স্থানীয় বা পৌরসভা নির্বাচন হবে যেখানে পুরো দেশ অংশগ্রহণ করবে। যে দেশগুলো নির্বাচনে যাচ্ছে তাদের মধ্যে অনেকে জি২০ ও জি৭ এর মতো শক্তিশালী জোটের সদস্য। এ কারণে নির্বাচনগুলোতে ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব থাকতে পারে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক রাজনীতিতেও আসতে পারে পরিবর্তন। ভূরাজনীতির উত্তেজনা আগে থেকেই বিশ্ব অর্থনীতিতে জেঁকে বসে আছে। এর সঙ্গে যোগ হবে দেশে দেশে নির্বাচনের প্রভাব। ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মেক্সিকো, দক্ষিণ আফ্রিকা, যুক্তরাষ্ট্র ও ২৭ সদস্যের ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাচন গোটা বিশ্বে না হলেও কোনো কোনো দেশের রাজনীতির বাঁক বদলে দিতে পারে। অনেক দেশেই সরকারের বিরুদ্ধে অবিশ্বাস বাড়ছে। আবার নিজের অবস্থান ও কতৃত্ব আরো শক্ত-পোক্ত করে নিয়েছে কোনো কোনো দেশের সরকার।
এ অঞ্চলে বিশেষ করে বাংলাদেশের তীক্ষ্ন চোখ ভারতের নির্বাচনের দিকে। দেশটির রাজনীতি, নির্বাচন, ক্ষমতার ওপর বাংলাদেশসহ এ অঞ্চলের অনেক কিছু নির্ভর করে। সেখানেও গত মাস কয়েক ধরে এক নতুন আবহ। এপ্রিল-মে মাসে হতে যাওয়া নির্বাচনের আগেই কারচুপির প্রস্তুতির অভিযোগ উঠে গেছে ভারতে। বিপুল জয়ে টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের দৃঢ় আশা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। সরকারের মেয়াদ পূর্তি ও লোকসভা নির্বাচনের আগে বাজেট অধিবেশনে পার্লামেন্টে শেষ ভাষনে এ আশাবাদের কথা জানান তিনি।  সেইসঙ্গে বিরোধী দল কংগ্রেসে পরিবারতন্ত্রের সমালোচনা করেন নরেন্দ্র মোদী। কটাক্ষ করেন অধিবেশনে থাকা কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে নিয়ে।
দৃঢ় আত্মবিশ্বাসী মোদির দাবি, লোকসভার ৫৪৩টি আসনের মধ্যে কমপক্ষে চারশ’টিতে জিতবে বিজেপি নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন জোট এনডিএ। এতে শুধু বিজেপির পক্ষেই যাবে ৩৭০টি আসন। মোদীর এই আত্মবিশ্বাসে ষড়যন্ত্রের সন্দেহ জানান কংগ্রেস নেতা অধির। বলেন, অহঙ্কারের উত্তাপে জনগণ কাকে ভোট দেবে সেই পরোয়া করছেন না মোদি। অধিরের দাবি, ইভিএমে কারসাজির প্রস্তুতি না থাকলে এতগুলো আসনে জয়ের বিষয়ে এতোটা নিশ্চিত থাকা অসম্ভব। মোদীর ভাষণের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু ও ইন্দিরা গন্ধীর সমালোচানায় কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খড়গেসহ কংগ্রেস শীর্ষ নেতারা। সোস্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে “হ্যাশট্যাগ বাই বাই মোদী” আন্দোলন।
এ নিয়ে রীতিমত প্রতিযোগিতা চলে। ভারতকে যা দিয়েছি তা তাদের আজীবন মনে রাখতে হবে- এমন কথা বলেছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সদ্য সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেই ফেলেছিলেন, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক স্বামী-স্ত্রীর মতো। ভারতের দিক থেকে এমন শব্দ বা হালকা কথা বলা না হলেও মাঝেমধ্যে যা বলা হয় সেগুলোর মর্মার্থ কাছাকাছিই। বাংলাদেশের দিক থেকে ক্ষমতাসীনরা সেই বিশ্বস্ততার প্রমাণ রেখে চলছে ভারতের কাছে। টানা মেয়াদের পর মেয়াদ ধরে এর বেনিফিটও পাচ্ছে । ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যে ভূমিকা নিয়ে চলছে তাতে যারপরনাই সন্তুষ্টু ভারত।
বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে তার উত্তর-পূর্বের সাতটি রাজ্যে সড়ক ও নদীপথে পরিবহনের সুবিধাও তাদের এক বিশাল প্রাপ্তি। সামনে আরো পাবে। কিন্তু, ভারতের ভূমি ব্যবহার করে ল্যান্ডলকড কান্ট্রি নেপাল এবং ভুটানের সাথে সম্পূর্ণ ওভারল্যান্ড বাণিজ্য করতে বাংলাদেশ এখনো পারছে না। ভারতে ২০১৪ সালে হিন্দু-জাতীয়তাবাদী বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকে সেখানে ধর্মীয় সংখ্যালঘু, বিশেষ করে মুসলমানদের বিরুদ্ধে বৈষম্য বৃদ্ধির অভিযোগ বিজেপি সরকার আমলে নিতে নারাজ। ভারতীয় রাজনীতিবিদরাও তাদের দেশে ‘বাংলাদেশি অবৈধ অভিবাসীদের কথিত অনুপ্রবেশের অভিযোগ তোলেন। এমন অভিযোগকে শক্ত ভিত্তি দিতে আসাম এবং পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যে বসবাসকারী বাঙালি মুসলমানদের দিকে আঙুল তোলা হয়। দেশটির আসন্ন নির্বাচন বা ক্ষমতার দিকে বাংলাদেশের মহল বিশেষের নজর তাই আরেকটু বেশি।
ভোটের আগে বিতর্কিত সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট (সিএএ) নিয়ে ফের আলোচনা তুঙ্গে। ২০১৯ সালে আইনে পরিণত হয়েছিল নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিএএ। এই আইনের মাধ্যমে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান থেকে আসা হিন্দু, বৌদ্ধ সহ ৬টি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষদের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রদানের আশ্বাস দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। নাগরিকত্ব আইন স্বাধীন ভারতের পুরনো আইন। সেই আইনেই বেশ কিছু সংশোধনী এনেছে বিজেপি সরকার। বলা হয়েছে, বাইরে থেকে আসা ব্যক্তিরা সংশোধিত আইনে আগের চেয়ে অনেক দ্রুত নাগরিকত্ব পাবেন। তবে দেশ জুড়ে তীব্র প্রতিবাদের মুখে পড়ে সিএএ কার্যকর করা সম্ভব হয়নি। এরপর বিগত প্রায় ৫ বছর ধরে এই আইনের ধারা এবং নিয়ম বানিয়ে চলছে মোদি সরকার। তবে, সিএএ কার্যকর হয়নি। সামনের  লোকসভা নির্বাচন ঘনিয়ে আসতেই ফের তুঙ্গে সিএএ আলোচনা।  তা বেশি পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে । পশ্চিমবঙ্গের মুসলিমদের অনেকেরই শঙ্কা ধর্মীয় পরিচয়ের কারণে বিজেপির উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের রোষানলে পড়বে তারা। হতে পারে রোহিঙ্গাদের মতো করুন পরিণতি ।  কিছুটা উত্তেজনা আসাম রাজ্যেও। জের পড়েছে বাংলাদেশেও। পরিস্থিতি পর্যব্ক্ষেণ ও দেখাদেখির পারদ চড়ছে দুদেশেই।
সবমিলে এবছরে নির্বাচন হবার কথা রয়েছে মোট ৮০টি দেশে, যাতে ভোট দেয়ার কথা বিশ্বের প্রায় অর্ধেক মানুষেরই।২০২৪ সালকে তাই ভোটের বছর বলাই যায়। দেশে দেশে ভোট, আরেকদিকে যুদ্ধ-এই রসায়ন বিশ্বকে কোথায় নেবে উদ্বেগ আছে অনেকের। যার নমুনা কোরীয় উপদ্বীপ, পূর্ব চীন সাগর, দক্ষিণ চীন সাগর, মিয়ানমার, ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ইরান বনাম যুক্তরাষ্ট্র, ইয়েমেন, সোমালিয়া, ইথিওপিয়া, দক্ষিণ সুদান, কঙ্গো, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক, নাইজেরিয়া, মালি, লিবিয়া, মিসর, ইসরায়েল, আফগানিস্তান, লেবানন, ইরাক, তুরস্ক, ইউক্রেন, কাজাখস্তান, ভেনেজুয়েলা, মেক্সিকোসহ আরো নানা দেশ ও অঞ্চলে। বিশ্বে এখন সচরাচর কারো ভূমি বা মানচিত্র কেউ নিয়ে যায় না। অর্থনীতি কবজায় নেয়। মোড়লীপনার হাব বানায়। এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র প্রাসঙ্গিক সবখানেই। পিছে পিছে রাশিয়াও।
তাই দেশে দেশে নির্বাচনে যাঁরা জিতবেন, তাঁরা ঠিক করবেন ভর্তুকি, কর-সুবিধা, প্রযুক্তি হস্তান্তর, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উন্নয়ন, নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা, বাণিজ্য বাধা, বিনিয়োগ, ঋণ মওকুফ ও জ্বালানি রূপান্তর—এসব বিষয়ে ওই দেশের নীতি কী হবে। এসব নীতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ একটি দেশের অর্থনীতির গতিপ্রকৃতি এসব নীতির ওপর নির্ভর করে।
লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category