ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় বাখমুতে প্রায় চার মাস ধরে রুশ বাহিনীর আক্রমণ প্রতিহত করে আসছেন ইউক্রেনের সেনারা। কিন্তু এখনো শহরটি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেননি তারা। শিগগিরই দীর্ঘ প্রত্যাশিত পাল্টা আক্রমণে যাবেন ইউক্রেনের সেনারা।
ইউক্রেনের শীর্ষ স্থলবাহিনীর কমান্ডার কর্নেল জেনারেল আলেকজান্দার সাইরাসকি এ কথা জানিয়েছেন। খবর রয়টার্সের।
টেলিগ্রামে দেওয়া এক বার্তায় সাইরাসকি বলেন, বাখমুতের দীর্ঘস্থায়ী ও রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ে রাশিয়ার ভাড়াটে সেনা ভাগনার গ্রুপ এখন বাখমুত নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা করছে। তাদেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ধীরে ধীরে তাদেরও আক্রমণের তেজ কমে আসছে। খুব শিগগির আমরা এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করব। এর আগে আমরা কিয়েভ, খারকিভ, বালাকলিয়া ও কুপিয়ানস্কেও তাই করেছি।
গত বছরের নভেম্বর মাসের পর থেকে যুদ্ধক্ষেত্রে বড় ধরনের অগ্রগতি পায়নি রাশিয়া। এর পর থেকে সেখানে নতুন করে সেনা পাঠিয়েছে মস্কো। সবশেষ বাখমুত ঘিরে ব্যাপক হামলা চালায় রুশ বাহিনী।
গত আগস্ট মাসের পর থেকে এ শহরের নিয়ন্ত্রণ পেতে মরিয়া রুশ বাহিনী একের পর এক হামলা চালিয়েও ইউক্রেন সেনাদের হটাতে ব্যর্থ হয়েছে। এ বছরের কোনো এক সময় পাল্টা আক্রমণের কথা বলে আসছেন ইউক্রেনের সেনারা। এ অবস্থায় পশ্চিমা মিত্রদের কাছ থেকে আরও ভারি অস্ত্র চেয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
তিনি বলেন, প্রতিটি আলোচনা। আমাদের প্রত্যেকটি যৌথ প্রচেষ্টা শান্তির খুব কাছে নিয়ে যাচ্ছে। শত্রুদের বিতাড়িত করতে পারলে তা হবে পুরো ইউরোপের বিজয়। আমাদের বন্ধুরা যদি সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করে তা হলে শত্রুরা সংঘবদ্ধ হওয়ার সময় পাবে। সবাই সহযোগিতা করলে রাশিয়ার আগ্রাসন এই বছরই প্রতিহত করতে সক্ষম হব আমরা।
ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত এই দেশটি আইসিসির সদস্য হওয়ার পরও তারা এই পরোয়ানা মানতে আইনত বাধ্য নয় বলে জানিয়েছেন দেশটির ঊর্ধ্বতন এক সরকারি কর্মকর্তা।
আর রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেছেন, কোথাও সফরে গেলে পুতিনকে গ্রেফতার করার অর্থ হলো রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা। তবে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর রাশিয়ার বিরুদ্ধে হুমকি-ধমকির অভিযোগ এনে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে আইসিসি।