ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, ন্যায্য দাবি আদায়ে বিএনপিসহ যারা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ আহবান করেছেন তাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে দিতে হবে। বাংলাদেশের সর্বমহলের মানুষ সরকারের বিরুদ্ধে একত্রিত হয়েছে। অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দাবি করা কোনো অন্যায় দাবি নয়। আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। দেশের মানুষের জানমাল ইসলাম-ইমানের নিরাপত্তা আজ নেই। জালেম সরকার ক্ষমতায় থাকতে আমরা ঘরে বসে থাকব না।
পুরানা পল্টনের হাউস বিল্ডিং চত্বরের দলীয় কার্যালয়ের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
‘মোড়েলগঞ্জে সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীমের বক্তব্যের সময় পুলিশের বাধা ও অসৌজ্যমূলক আচরণের প্রতিবাদ, ব্যর্থ নির্বাচন কমিশন বাতিল, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতির প্রবর্তন, বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে’- এ সমাবেশের আয়োজন করে দলটির ঢাকা মহানগর শাখা।
মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, আওয়ামী লীগের ডানা গজিয়েছে ধ্বংসের জন্য। এই সরকারের বিদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলতে থাকবে।
প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেন, দেশে একটি সংকট সৃষ্টি হয়ে মারামারির দিকে যাচ্ছে। অন্যদের ন্যায় আমরাও আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ চাই।
সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশে বাধা দেওয়া হলে রাজধানীতে প্রতিবাদ করব। প্রয়োজনে আমরা প্রতিদিন রাজপথে নামব।
সভাপতির বক্তব্যে সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম বলেন, সরকার নিজেদের অধীনে নির্বাচন দিতে চায় না। যে সংবিধান মানুষের ভোটের অধিকার দিতে পারে না সেই সংবিধান আমরা চাই না।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব আলহাজ মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ আবুল কাশেম, মাওলানা এবিএম জাকারিয়া প্রমুখ।