দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্যবহৃত ব্রিটেনের দুটি যুদ্ধজাহাজের ধ্বংসাবশেষ লুটের সন্দেহে চীনের নিবন্ধিত একটি জাহাজ আটক করেছে মালয়েশিয়া।
বেআইনিভাবে দক্ষিণ চীন সাগরে নোঙর করায় ওই জাহাজ জব্দ করা হয় বলে জানিয়েছে বিবিসি।
আজ থেকে ৮০ বছরেরও বেশি সময় আগে জাপানি সেনারা ব্রিটিশ এইচএমএস প্রিন্স অব ওয়েলস এবং এইচএমএস রিপালস নামক দুটি জাহাজ ডুবিয়ে দিয়েছিল।
চীনা জাহাজটিতে ওই দুই জাহাজেরই গোলাবারুদের সন্ধান মিলেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এর আগে এ অভিযানকে সমুদ্র যুদ্ধ সমাধিকে অপবিত্রকরণ বলে এর নিন্দা জানিয়েছে।
অনুসন্ধানকারীরা বিরল ‘লো-ব্যাকগ্রাউন্ড’ বা ‘প্রাক-যুদ্ধ’ স্টিল, এর জন্য পুরোনো জাহাজের ধ্বংসাবশেষ তালাশ করে। এসব স্টিল কম মাত্রায় তেজস্ক্রিয়। ফলে তা বিরল এবং মূল্যবান সম্পদ। চিকিৎসাক্ষেত্রে এবং বৈজ্ঞানিক সরঞ্জামে এই স্টিল ব্যবহার করা হয়।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার ব্রিটিশ ওই দুটি জাহাজ মালয়েশিয়ার পূর্ব উপকূলে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে সমুদ্রের তলায় ছিল। কয়েক দশক ধরে সেটিকে নিশানা করা হয়েছে।
মালয়েশিয়ার প্রতিরক্ষার জন্য যুদ্ধের সময় সিঙ্গাপুর অভিমুখে রওনা হয়েছিল ব্রিটিশ রয়েল নেভির ওই দুই যুদ্ধজাহাজ। কিন্তু ১৯৪১ সালের ১০ ডিসেম্বর জাপানের টর্পেডোর আঘাতে সেটি ডুবে যায়।
পার্ল হারবারে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবহরে হামলার ঠিক তিনদিন পর ওই হামলা হয়। এতে প্রায় ৮৪২ জন সেনা সদস্য নিহত হয়েছিল। ব্রিটিশ নৌবাহিনীর ইতিহাসে এটিকে সবচেয়ে বড় বিপর্যয় বলেই মনে করা হয়।
গতমাসে মালয়েশিয়ার জলসীমায় বিদেশি জাহাজের উপস্থিতির বিষয়ে জানান জেলে ও ডুবুরিরা। এরপর স্থানীয় নৌপুলিশ চীনের জাহাজ আটক করে। ফুঝৌ’তে নিবন্ধিত ওই জাহাজে ছিল ৩২ জন ক্রু।
জাহাজে তল্লাশি চালিয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্যবহৃত কামানের সন্দেহজনক গোলার সন্ধান পাওয়া গেছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মালয়েশিয়ান মেরিটাইম এনফোর্সমেন্ট এজেন্সি (এমএমইএ)। মালয়েশিয়ার সংস্থাগুলো এই গোলার উৎস জানতে তদন্তও চালাচ্ছে।