নতুন করে পবিত্র কাবাঘরের চাবি সংরক্ষণের দায়িত্ব পেয়েছেন শায়েখ আবদুল ওয়াহাব বিন জাইন আল-আবিদিন আল-শাইবি। সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে তার হাতে পবিত্র কাবাঘরের চাবি তুলে দেওয়া হয়। এখন থেকে তিনিই পবিত্র ঘরের চাবি সংরক্ষণের দায়িত্ব পালন করবেন।
মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববী ভিত্তিক ওয়েব পোর্টাল হারামাইন শরিফাইনের এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতদিন পবিত্র কাবাঘরের চাবি সংরক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন ড. শায়খ সালেহ বিন জয়নুল আবেদিন আল-শাইবি। গত শুক্রবার (২১ জুন) দিবাগত রাতে মক্কায় মারা যান তিনি। পরদিন শনিবার পবিত্র মসজিদুল হারামে জানাজার পর তাকে জান্নাতুল মুয়াল্লায় দাফন করা হয়।
ড. শায়খ সালেহ বিন জয়নুল আবেদিন আল-শাইবির ইন্তেকালের পর পবিত্র কাবাঘরের চাবি সংরক্ষণের দায়িত্ব কে পাচ্ছেন তা নিয়ে কৌতূহল ছিল। অবশেষে আবদুল ওয়াহাব বিন জাইন আল-আবিদিন আল-শাইবিকে নতুন চাবিরক্ষক হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
কাবার চাবির দায়িত্ব গ্রহণের সময় শায়খ আবদুল ওয়াহাব আল-শাইবি তার ওপর আস্থা রাখার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং পবিত্র কাবাঘরের ঐতিহ্য ও পবিত্রতা বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
এ সময় তিনি মুসলিমদের মধ্যে ঐক্য ও ভ্রাতৃত্ববোধ বজায় রাখার আহ্বান জানান এবং মুসলিম বিশ্বের সেবায় তার পূর্বসূরিদের মতো অবদান রাখার অঙ্গীকার করেন।
শায়েখ আবদুল ওয়াহাব বিন জাইন আল-আবিদিন আল-শাইবিকে পবিত্র কাবার চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সৌদি আরবে বিশিষ্ট ব্যক্তি, অভিজাত পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় প্রাচীন ঐতিহ্য ও রীতিনীতির অনুসরণে তার হাতে কাবাঘরের চাবি তুলে দেওয়া হয়। এখন থেকে তিনিই পবিত্র এই ঘরের চাবি সংরক্ষণের দায়িত্ব পালন করবেন।
কাবাঘরের নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত শায়খ আবদুল ওয়াহাব আল শাইবি রাসুলুল্লাহ (স.)-এর বিখ্যাত সাহাবি উসমান (রা.)-এর ১১০তম উত্তরসূরি।
আল-শাইবা পরিবার বংশ পরম্পরায় পবিত্র কাবা রক্ষার সম্মানিত দায়িত্ব পালন করছে। যা বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের কাছে তাদের সম্মানিত করেছে।
জাহেলি যুগ থেকেই কাবাঘরের চাবি শাইবা গোত্রের কাছে থাকত। মক্কা বিজয়ের দিন রাসুলুল্লাহ (স.) নিজেই ওই গোত্রের উসমান ইবনে তালহা (রা.)-এর কাছে চাবি হস্তান্তর করে তাকে সম্মানিত করেন। এসময় তিনি বলে দেন, ‘এখন থেকে এ চাবি তোমার বংশধরের হাতেই থাকবে, একেবারে কেয়ামত পর্যন্ত। তোমাদের হাত থেকে এ চাবি কেউ নিতে চাইলে সে হবে জালিম।’
সেই ধারা এখনো চলমান। তাদের কাছ থেকে চাবি নিয়েই বিভিন্ন সময় সৌদি আরবের বাদশাহ এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ পবিত্র কাবাঘরে প্রবেশ করে থাকেন। তারাই কাবার দরজা খুলে দেন।