ইরানে বিক্ষোভ দমনের সঙ্গে যুক্ত ২৯ ব্যক্তি ও সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান মাহসা আমিনির মৃত্যু কেন্দ্র করে ইরানজুড়ে ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভ দমনে সহিংসতায় জড়িত ছিল বলেও জানায় ওয়াশিংটন।
শুক্রবার এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় এ কথা জানিয়েছে। নিষেধাজ্ঞা দেওয়া ব্যক্তি ও সংস্থাগুলোর সঙ্গে নাগরিকদের কোনো প্রকার লেনদেনে জড়িত হতে নিষেধ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
ভয়েস অব আমেরিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার আমিনির প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী সামনে রেখে এই নিষেধাজ্ঞা ইসলামিক রেভ্যুলেশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিস) ১৮ জন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য এবং ইরানের আইন প্রয়োগকারী বাহিনী (এলইএফ) ইরানের কারাগার সংস্থার প্রধানসহ ২৯ ব্যক্তি ও গোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে আরোপ করা হয়।
এ ছাড়া ইরানের ইন্টারনেট অবরোধের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম আউটলেটকেও লক্ষ্যবস্তু করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
অন্যদিকে ব্রিটেন পৃথকভাবে তেহরানের বাধ্যতামূলক হিজাব আইন প্রয়োগের জন্য ঊর্ধ্বতন ইরানি সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীদের লক্ষ্য করে নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ইরানের সংস্কৃতি ও ইসলামিক দিকনির্দেশনা বিষয়ক মন্ত্রী, তার সহকারী, তেহরানের মেয়র এবং ইরানি পুলিশের একজন মুখপাত্র।
প্রসঙ্গত, আমিনি একজন ইরানি কুর্দি নারী। হিজাব না পরার কারণে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে পুলিশের হেফাজতে থাকাবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ কারণে কয়েক মাসব্যাপী সরকারবিরোধী বিক্ষোভ জন্ম নেয়, যা ছিল কয়েক বছরের মধ্যে ইরানি কর্তৃপক্ষের বিরোধিতার সর্ববৃহৎ প্রদর্শন।
সূত্র: আলজাজিরা।