কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনালের হাই ভোল্টেজ ম্যাচে উরুগুয়ের কাছে হেরে গেল ব্রাজিল। পুরো ম্যাচে দুই দলই লড়াই করেছে সমান তালে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দুই দলের কেউই গোলের দেখা পায়নি। তাই ম্যাচটি গড়ায় টাইব্রেকারে। যেখানে ৪-২ গোলোর ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নেয় উরুগুয়ে।
১০ জনের দলে পরিণত হলেও রক্ষণে ধৈর্যের পরিচয় দেয় উরুগুয়ে। বারবার আক্রমণ সামলানো দলটি ৯০ মিনিট ব্রাজিলকে আটকে রাখতে সক্ষম হয়। নতুন নিয়ম অনুযায়ী ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানেই পরাজিত হয় ব্রাজিল।
ব্রাজিলের এই স্বপ্নভঙ্গের পেছনে জড়িয়ে আছে এক আর্জেন্টাইনের নাম। তা না হলে উরুগুয়ের বিপক্ষে ব্রাজিলের অতীত ইতিহাস বলে ম্যাচটা টাইব্রেকার অব্দি যাওয়ারই কথা নয়। তার ওপর ৭৪ মিনিটে দলটা নিমে এসেছিল ১০ জনের দলে। সেই সুযোগও লুফে নিতে পারেনি ব্রাজিল। যার পেছনে জড়িয়ে আছে এক আর্জেন্টাইনের কৌশল। সেই আর্জেন্টাইন হলেন উরুগুয়ের কোচ মার্সেলো বিয়েলসা।
২০২৩ সালে উরুগুয়ের প্রধান কোচ হওয়ার পর দলটিকে রীতিমতো বদলে দিয়েছেন মার্সেলো বিয়েলসা। কোচ হিসেবে আর্জেন্টিনাই ব্যাপক খ্যাতি রয়েছে বিয়েলসার। তাকে বলা হয় কোচদের কোচ। যার কাছে কোচিং দীক্ষা নিয়ে অনেকেই আজ কোচিং ক্যারিয়ার রাঙিয়েছেন। সাফল্য পেয়েছেন। সেই তিনি যখন একটি দলকে টেনে তোলার দায়িত্ব নেন, উন্নতির কৌশল বাতলে দেন; তখন সেই দলের উন্নতি হতে বাধ্য। এই ম্যাচেও দেখা গেছে সেটা। ১০ জনের দল হয়েও ব্রাজিলকে আটকে দিয়েছে দলটি।
তাছাড়া বিয়েলসার অধীনে দলটির পারফরম্যান্সের গ্রাফের দিকে তাকালেও যার প্রমাণ মেলে। তার অধীনে ব্রাজিল ম্যাচের আগ পর্যন্ত ১২ ম্যাচ খেলে ৯টিতেই জয় পায় উরুগুয়ে। হার কেবল ২ দুটি। এরমধ্যে বিশ্বকাপ জয়ী আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলকে হারানোর সুখ স্মৃতিও ছিল। তাই ম্যাচের আগে ব্রাজিলের চিন্তার বড় কারণ ছিলেন এই আর্জেন্টাইন বিয়েলসা। শেষ পর্যন্ত সেই বিয়েলসার কৌশলের কাছেই হার মানতে হলো ব্রাজিলকে।
অবশ্য এর পেছনে দায়টা কম নয় ব্রাজিলিয়ান ফুটবলারদেরও। টাইব্রেকার শুট আউটে দুটি গোল মিস করে বসে ব্রাজিল। অন্যদিকে উরুগুয়ে কেবল একটি। শেষ পর্যন্ত সেই ব্যবধান আর ঘোচাতে পারেনি ব্রাজিল। ৪-২ গোলে হেরে কোপার মিশনে আরও একবার স্বপ্নভঙ্গ হয় ব্রাজিলের। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে মাঠে আর ফেরা হলো না ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের। তার আগেই বিদায় নিল ব্রাজিল।