১০০ মিলিয়ন ডলারে নির্মিত ‘মাসজিদুল ইমাম আবু হানিফা আন নুমান’ মসজিদ সম্প্রতি উদ্বোধন হয়েছে তাজিকিস্তানে। কাতারর সহযোগিতায় নির্মিত মধ্য এশিয়ার বৃহত্তম মসজিদ এটি।
গত ৮ জুন তাজিকিস্তানের রাজধানী দুশানবেতে উদ্বোধন করা হয় কাতারের অর্থায়নে নির্মিত মসজিদ ‘মাসজিদুল ইমাম আবু হানিফা আন নুমান’।
সংবাদ মাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী মসজিদটিকে মধ্য এশিয়ার বৃহত্তম মসজিদ হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। মসজিদটির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামদ আস-সানী ও তাজিকিস্তানের রাষ্ট্রপতি ইমাম আলী রহমান।
মসজিদটির নির্মাণ শুরু হয় ২০০৯ সালে ও ১৪ বছর পর ২০২৩ সালে এসে এর নির্মাণ কাজ শেষ হয়। মসজিদটির নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১০০ মিলিয়ন ডলার। টাকার হিসাবে যা ১০৮২ কোটি ১৬ লাখ ১০ হাজার।
মসজিদটিতে বড় চারটি মিনার আছে যেগুলোর প্রতিটির উচ্চতা ৭৪ মিটার ও আরও দুটি মিনার আছে যেগুলোর প্রতিটির উচ্চতা ২১ মিটার।
৪৩ মিটার উচ্চতার একটি বড় গম্বুজের পাশাপাশি রয়েছে ১৭টি ছোট গম্বুজ, যেগুলোর প্রতিটির উচ্চতা ৩৫ মিটার।
মসজিদ-ভবনের বহির্গত পরিসরের আয়তন ৬২ হাজার বর্গমিটারের বেশি। এক ওয়াক্তে মসজিদটির পুরো সীমানাজুড়ে মুসল্লি ধারণক্ষমতা ১ লাখ ৩২ হাজার জন।
এর মধ্যে ৪৩ হাজার জন মুসল্লি মসজিদের ভেতরে অবস্থান নিতে পারবেন, আর বাকিরা মসজিদের সীমানা চত্বরের মধ্যে।
মসজিদ কমপ্লেক্সে অন্তর্ভুক্ত থাকছে সাংস্কৃতিক ভবন, গ্রন্থাগার ও এর কেন্দ্রে আছে শিক্ষা বিভাগ, যার লক্ষ্য ইসলামী ও শিক্ষাগত মূল্যবোধের একত্রীকরণে অবদান রাখা।
তাজিকিস্তানের ধর্ম বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান ‘সুলাইমান দাওলাত যাদা’ বলেন, ‘কাতারের অর্থায়নে নির্মিত মধ্য-এশিয়ার বৃহত্তম মসজিদ ‘মাসজিদুল ইমাম আবু হানীফা আন-নুমান’।’
এর উদ্বোধন ইসলামী বিশ্বে কাতারের দুর্দান্ত ভূমিকা ও দেশ হিসেবে এর মহান অবস্থানকে প্রমাণ করে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘মসজিদটির উদ্বোধন দুই দেশ ও জনগণের মধ্যে বন্ধুত্বের চেতনায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’
‘এই মসজিদ ভবিষ্যতে বহু শতাব্দী ধরে তাজিকিস্তানের মুসলমানদের উপকার করে যাবে ও বন্ধুত্ব ও সহযোগিতা জোরদার করার ক্ষেত্রে প্রভাবশালী উপাদান হিসেবে কাজ করবে। ’
ধর্ম বিষয়ক কমিটির এই প্রধান বলেন, ‘কাতারের আমির ও তাজিকিস্তানের রাষ্ট্রপতি ইমাম আলী রহমানের অংশগ্রহণে মসজিদটির উদ্বোধন উভয়ের মধ্যে উন্নত সম্পর্কের দিকে ইঙ্গিত করে।’
সূত্র: আল জাজিরা, দ্যা পেনিনসুলা, কাতার নিউজ এজেন্সি