সবচেয়ে বড় আইফোন তৈরি করা হলো। যার ডিসপ্লের আকার ৫৫ ইঞ্চি টিভির চেয়েও বড়। এই আইফোনের উচ্চতা ৮ ফুট। কাস্টমাইজড এই আইফোন তৈরি করেছেন জনপ্রিয় ইউটিউবার ম্যাথিউ বিম এবং তার দল।
এই ফোনটিকে এখন বিশ্বের সবথেকে বড় আইফোনের তকমা দেওয়া হয়েছে। ফোনটিকে আপনি ‘চলমান সিনেমা’ হলও বলা যায়
ফোনটির বিশেষত্ব হল, এতে রয়েছে একটি বড় স্ক্রিন। এখন আপনার মনে হতে পারে, এটি হয়তো একটি ডেমো। তা কিন্তু নয়। এক্কেবারে ভুল ভাবছেন আপনি। কারণ, এই বড় ফোনটি হুবহু আইফোনের মতোই কাজ করবে।
আইফোনের যে লেটেস্ট সিরিজ বাজারে রয়েছে, তা হল আইফোন ১৪ সিরিজ। এই সিরিজে অ্যাপল কোনও ‘মিনি’ মডেল আনেনি। এই সিরিজেই রয়েছে আইফোনের সবথেকে বড় মডেলটি ১৪ প্রো ম্যাক্স।
এই হ্যান্ডসেটের স্ক্রিন সাইজ ৬.৭ ইঞ্চি। পাশাপাশি এই সিরিজেই অ্যাপল ওই আইফোন ১৪ প্রো ম্যাক্সের অনুরূপ আকারেরই একটি আইফোন ১৪ প্রো প্লাস মডেল দিয়েছে, তার সাইজও নেহাত কম নয়। তবে এই প্রথম যে এত্তবড় আইফোন তৈরি হল এমন নয়। এর আগেও ২০২০ সালে আর একটি আইফোন তৈরি করেছিল জেজেএইচসি নামের আর এক ইউটিউবার, যা প্রায় ৬ ফুটের। সেই রেকর্ডই এখন ভেঙে দিলেন ম্যাথিউ বিম নামের আর এক ইউটিউবার।
কীভাবে তৈরি হলো এই বড় আইফোন?
ম্যাথিউ বিম যে বড় আইফোনটি তৈরি করেছেন, তাতে আইফোনের সব প্রযুক্তিই রয়েছে। ফোনটির মাধ্যমে আপনি যেমন ছবি তুলতে পারবেন, তেমনই আবার পেমেন্টস, অ্যাপল পেসহ অন্যান্য আরও অ্যাপ সাপোর্ট করে। ম্যাথিউ বিম সম্প্রতি তার ইউটিউব চ্যানেল থেকে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। সেখানেই দেখা মিলেছে বিশ্বের সবথেকে বড় আইফোনের। ফোনটি তৈরি করার পর নিউইয়র্কের রাস্তাতেও সেটি নামিয়েছিলেন ম্যাথিউ বিম।
ইউটিউব ভিডিয়োতে বিম দেখিয়েছেন, কীভাবে তিনি তার ৮ ফুটের আইফোনটি স্ক্র্যাচ থেকে তৈরি করেছেন। প্রথমে তিনি ফোনটির একটি মেটাল ফ্রেম তৈরি করেছিলেন। তারপরে আইফোনের ডিজাইনটি কপি করেন এবং নিশ্চিত করেন, ফোনের সারফেসটি যেন ম্যাট লুকের, রিফ্লেক্টিভ হয় এবং তাতে যেন বাটন থাকে। লক বাটন, ভলিউম বাটন এবং মিউট বাটন রয়েছে। সেলফির জন্য রয়েছে ফ্রন্ট ফেসিং ক্যামেরা। এমনকি, ফেসটাইমও রয়েছে সুবিশাল ফোনটিতে।
ফোনটির ডিসপ্লের জন্য বিম এবং তার টিম একটি বিশালাকার স্ক্রিন ইনস্টল করেন। সেই স্ক্রিনে রয়েছে টাচ প্যানেল, যা সাধারণত টিভিতে দেখা যায়। ডিসপ্লের অন্যান্য যে সব ফাংশন রয়েছে, সেগুলোর সবই হুবহু আইফোনের মতো। পরবর্তীতে স্ক্রিনে একটি লেজার বসিয়ে দেওয়া হয়, যাতে ফোন ব্যবহারের অভিজ্ঞতা সিমলেস হয়। তারপর সেই বড় টেলিভিশন ডিসপ্লেটি কানেক্ট করা হয় ম্যাক মিনির সঙ্গে। এর দ্বারা আইফোনে যে সব অ্যাপ চলে, এই বড় ফোনটিতেও সেই সব অ্যাপই চলবে।